আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দায়িত্ব পালন করা তিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক মামলায় এবার রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে। বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খানের করা এ মামলায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পাঁচ সাবেক আইজিপিসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার নতুন অভিযোগ যুক্ত করার আবেদন করলে বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তা মঞ্জুর করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার মাধ্যমে এ তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালিত হয়। গায়েবি মামলা, গুম, খুন, গণগ্রেপ্তার, কারচুপি, আগের রাতে ভোট দেওয়াসহ নানা অনিয়মে দেশজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়, যার মাধ্যমে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে কাজ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
২০১৪ সালের নির্বাচনে কাজী রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বে, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিন নির্বাচনেই প্রশ্নবিদ্ধভাবে জয় পায় আওয়ামী লীগ। বিএনপি ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র সাতটি আসন পায়।
‘গণরায়হীন’ এই তিন নির্বাচন এবং সেগুলোতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাইকোর্টের এক রায়ে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী আংশিক বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পথ খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দায়িত্ব পালন করা তিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক মামলায় এবার রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে। বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খানের করা এ মামলায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পাঁচ সাবেক আইজিপিসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার নতুন অভিযোগ যুক্ত করার আবেদন করলে বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তা মঞ্জুর করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার মাধ্যমে এ তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালিত হয়। গায়েবি মামলা, গুম, খুন, গণগ্রেপ্তার, কারচুপি, আগের রাতে ভোট দেওয়াসহ নানা অনিয়মে দেশজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়, যার মাধ্যমে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে কাজ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
২০১৪ সালের নির্বাচনে কাজী রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বে, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিন নির্বাচনেই প্রশ্নবিদ্ধভাবে জয় পায় আওয়ামী লীগ। বিএনপি ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র সাতটি আসন পায়।
‘গণরায়হীন’ এই তিন নির্বাচন এবং সেগুলোতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাইকোর্টের এক রায়ে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী আংশিক বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পথ খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।