alt

জাতীয়

বড় সংখ্যায় পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু

বাকী বিল্লাহ ও মাসুদ রানা : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

আ’লীগ সরকার পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বড় সংখায় পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে কনস্টেবল ৪ হাজার ৪শ’ ৪২ জন ও এসআইসহ প্রায় ৫ হাজারের বেশি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ও কনস্টেবল পদে নিয়োগে অনলাইনে আবেদন চলছে। সাব-ইন্সপেক্টর পদে আবেদনের শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। কনস্টেবল পদে আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ অক্টোবর।

পুলিশ সদর দপ্তর জানান, বর্তমানে পুলিশের বিভিন্ন পদ মর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা থেকে সদস্য পর্যন্ত সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নানা ভাবে ও পিটুনির শিকার হয়ে ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৪শ’ ৬৩ জন। তার মধ্যে গুরুত্বর আহত ৪০৩ জন। এখনও অনেকেই চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া আহত অনেকেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন।

এদিকে নতুন করে আবার পুলিশ সংস্কার আইনকে আধুনিক করার জন্য কাজ শুরু করছেন। এ নিয়ে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পুলিশ সংস্কার আইন আরও আধুনিকরণ করে খসড়া চূড়ান্ত করার টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

পুলিশের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখনই পুলিশি আইন সংস্কার করা জরুরি। না হয় আবার রাজনৈতিক বা দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসলে পুলিশকে টিকে থাকার হাতিয়ার বা পেটুয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করবে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, নিয়োগ প্রর্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা নেয়া হবে প্রার্থীর নিজ জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে রাখতে হবে কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র। শারীরিক মাপ পরীক্ষায় বয়স, উচ্চতা, বুকের প্রস্থ ও ওজন ঠিক আছে কিনা যাচাই করা হবে। এরপর অংশ নিতে হবে দৌড়, জাম্পিং, রোপ ক্লাইমিং, পুশ-আপ, ড্রাগিং-এ।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে জেলার পুলিশ সুপার পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করবেন। একই সঙ্গে তিনি লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করে প্রার্থীদের জানিয়ে দেবেন। লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে নির্দিষ্ট দিনে বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞানের ওপর ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নির্ধারিত তারিখে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এতে থাকবে ১৫ নম্বর। ব্যক্তিগত পরিচিতিমূলক প্রশ্নের পাশাপাশি প্রার্থীর মানসিক দক্ষতা, মূল্যবোধ বিচারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয় এ পরীক্ষায়।

ডিবি হারুন-বিপ্লবসহ পুলিশের ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

কাগজপত্রে পুলিশ বাহিনীতে তাদের চাকরি রয়েছে এখনও, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসেও তারা কর্মস্থলে যাননি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে বুধবার (৯ অক্টোবর) পর্যন্ত তারা অদৃশ্য রয়েছেন পুলিশের এই ১৮৭ সদস্য। এ তালিকায় রয়েছেন পুলিশের বহুল আলোচিত ডিআইজি (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আর অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারও। অবশ্য এ দুই কর্মকর্তাসহ ১৮৭ সদস্যের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন ডিআইজি, ৭ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুইজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৫ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ৫ জন পরিদর্শক, ১৪ জন উপপরিদর্শক ও সার্জেন্ট, ৯ জন সহকারী উপপরিদর্শক, ৭ জন নায়েক ও ১৩৬ জন কনস্টেবল রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে পুলিশের ওই ১৮৭ সদস্যের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কেন তারা কর্মস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন না নিয়ম অনুযায়ী এজন্য তাদের শোকজ করা হবে। ‘সন্তোষজনক’ জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই কর্মকর্তা জানান, এই তালিকার মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে গুলি করে হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে।

সর্বশেষ পলাতক এই ১৮৭ সদস্যদের বিষয়ে গত ১ অক্টোবর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কাজে যোগ দেননি, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা আর পুলিশ সদস্য নন, তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।

সম্প্রতি আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, পুলিশ বাহিনীতে যারা এখনও কাজে যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে। যারা কাজে যোগ দেননি তাদের প্রথমে নোটিশ করা হয়েছে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যদি না আসেন আমাদের অবস্থান ক্লিয়ার, তাদের চাকরিতে রাখার সুযোগ নেই।

আইজিপি জানান, যারা (পুলিশ সদস্য) বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন, যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এমন ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা কর্মস্থলে যোগ দেননি তারা হয়তো মামলার কারণে কিংবা অন্য কারণে যোগ দেননি।

পুলিশ সূত্র জানায়, পলাতকের তালিকায় একমাত্র ডিআইজি হারুন অর রশীদ (ডিবি হারুন) রয়েছেন। পুলিশ ক্যাডারের ২০ ব্যাচের এই বিতর্কিত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনের প্রথম সারির কয়েক সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে নানা নাটকের জন্ম দেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে তাকে ডিবির পদ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের অপারেশন বিভাগে অতিরিক্ত কমিশনার করা হয়। সেখানে থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত আন্দোলন দমাতে নানা ধরনের কার্যক্রম চালান তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, বহুল আলোচিত এই হারুন গত ৫ আগস্টও রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার নির্দেশ দেন। ওইদিন তিনি ডিএমপির কন্ট্রোল রুমে বসে সব পরিস্থিতি দেখেন এবং শেষ সময় পর্যন্ত পুলিশকে আক্রমণ চালাতে নির্দেশ দেন।

লাখো জনতা গণভবনের দিকে যেতে থাকলে ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অ্যাকশনে যাওয়ারও নির্দেশ দেন। তবে টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার ভারত চলে যাওয়ার খবরে বিমর্ষ হয়ে নিজেও কন্ট্রোল রুম থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এক পর্যায়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুমের দেয়াল টপকে হারুন সেদিন পুলিশ সদর দপ্তরে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে নেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেদিন তিনি মাস্ক পরে পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান।

এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট পর্যন্ত হারুনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন সক্রিয় পাওয়া যায়। ওইদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন তিনি পালিয়ে যাননি, দেশেই রয়েছেন। তবে এরপর থেকে তার হদিস মিলছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে তথ্য এসেছে, হারুন ছাত্র-জনতার হামলার শিকার হয়ে গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ডিআইজি হারুন ছাড়াও পলাতকদের তালিকায় রয়েছেন, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার। তাকে শেষদিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর তারও হদিস মিলছে না। এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে, বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার অবৈধ পথে পালিয়েছেন। এ ছাড়া কর্মস্থলে যোগ না দেয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান ও যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায় রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে-পরে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে।

এদিকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও গত ১৯ সেপ্টেম্বর কয়েকজনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত ও পদায়ন করার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দারকে রাজশাহীর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ও ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়কে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে সংযুক্ত করার আদেশ জারি হয়। তবে তারা বর্তমান কর্মস্থলেও নেই বলে জানা গেছে।

এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়েবসাইটে যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায় ও মেহেদী হাসানকে ডিএমপিতে সংযুক্ত করার তথ্য সন্নিবেশ করা রয়েছে। তবে তারা ডিএমপিতে আসেন না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ডিএমপির ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বা যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক পুলিশের এই সদস্যদের কাজে যোগ দিতে বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় সময় বেঁধে দেয় সরকার। অনেকে কাজে যোগ দিয়ে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে চলে গেলেও বুধবার পর্যন্ত ১৮৭ জনের হদিস নেই পুলিশ সদর দপ্তরে।

পুলিশ হেডকোয়াটার্স জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর এবং পুলিশ হেডকোয়াটার্সে হামলার পর অনেকে পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপদ আশ্রয় চলে গেছেন। এরপর অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজিসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার ২৭ জনকে বাধ্যতা মূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। অনেককেই ওএসডি করে রাখা হয়েছে। ওই সব পদে পদোন্নতি নিয়ে নতুন করে পদায়র করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।

ছবি

ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের বিচারপতির মর্যাদা: বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ

ছবি

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘অনুমোদনে অনিয়ম’, খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

ডিসি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন

লেবানন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নথিভুক্তির আহ্বান

ছবি

বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত

ছবি

শিক্ষা প্রকৌশলের গাড়ি নিয়ে বিলাসিতা, ৩৮ গাড়ির ২০টিই বেহাত

সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী : রুমিন ফারহানা

সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ

ছবি

মূল্যস্ফীতি হঠাৎ বাড়েনি, কমতে সময় লাগবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

পিএসসির চেয়ারম্যান হলেন মোবাশ্বের মোনেম

ছবি

চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক অর্ধেক কমল

ছবি

র‌্যাবের সাবেক ডিজি হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

১৪ বছরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৫১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি: টিআইবি

ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি এড়াতে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা

ছবি

রেনু হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

আগামী সপ্তাহে বিদায় নিতে পারে বর্ষা

ছবি

শপথ নিলেন নতুন ২৩ বিচারপতি

ছবি

২৩ বিচারপতির শপথ আজ

ছবি

দুর্গাপূজা: বাংলাবান্ধা-বুড়িমারি-বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ছবি

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণের আহ্বান

ছবি

গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৮১ জন, মৃত্যু ৫ জনের

ছবি

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে শেখ আব্দুর রশীদের নিয়োগ

ছবি

কোথাও যাননি শেখ হাসিনা, দিল্লিতেই আছেন : বিবিসি বাংলা

ছবি

পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন পদত্যাগ করেছেন

ছবি

ম্যাজিস্ট্রেট উর্মির বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলার আবেদন

ছবি

শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

কেন মেটে না ভবদহের সমস্যা ? ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন

ছবি

দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো থ্রেট নেই : ডিএমপি কমিশনার

ছবি

এবার পূজায় কোন শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

ফের কর্মবিরতিতে নার্স ও মিডওয়াইফরা

ছবি

শেরপুরে বন্যার পানি কমছে, তবে এখনও পানিবন্দী বহু মানুষ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করলেন আসিফ নজরুল

ছবি

দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ছে

ছবি

রাজনৈতিক অস্থিরতায় দলবদ্ধ সহিংসতা ও গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ: জেএমবিএফ

ছবি

দুদক রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি: ইফতেখারুজ্জামান

সেই আলোচিত উর্মি শাবির ছাত্রী

tab

জাতীয়

বড় সংখ্যায় পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু

বাকী বিল্লাহ ও মাসুদ রানা

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

আ’লীগ সরকার পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বড় সংখায় পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে কনস্টেবল ৪ হাজার ৪শ’ ৪২ জন ও এসআইসহ প্রায় ৫ হাজারের বেশি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ও কনস্টেবল পদে নিয়োগে অনলাইনে আবেদন চলছে। সাব-ইন্সপেক্টর পদে আবেদনের শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। কনস্টেবল পদে আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ অক্টোবর।

পুলিশ সদর দপ্তর জানান, বর্তমানে পুলিশের বিভিন্ন পদ মর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা থেকে সদস্য পর্যন্ত সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নানা ভাবে ও পিটুনির শিকার হয়ে ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৪শ’ ৬৩ জন। তার মধ্যে গুরুত্বর আহত ৪০৩ জন। এখনও অনেকেই চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া আহত অনেকেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন।

এদিকে নতুন করে আবার পুলিশ সংস্কার আইনকে আধুনিক করার জন্য কাজ শুরু করছেন। এ নিয়ে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পুলিশ সংস্কার আইন আরও আধুনিকরণ করে খসড়া চূড়ান্ত করার টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

পুলিশের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখনই পুলিশি আইন সংস্কার করা জরুরি। না হয় আবার রাজনৈতিক বা দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসলে পুলিশকে টিকে থাকার হাতিয়ার বা পেটুয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করবে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, নিয়োগ প্রর্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা নেয়া হবে প্রার্থীর নিজ জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে রাখতে হবে কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র। শারীরিক মাপ পরীক্ষায় বয়স, উচ্চতা, বুকের প্রস্থ ও ওজন ঠিক আছে কিনা যাচাই করা হবে। এরপর অংশ নিতে হবে দৌড়, জাম্পিং, রোপ ক্লাইমিং, পুশ-আপ, ড্রাগিং-এ।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে জেলার পুলিশ সুপার পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করবেন। একই সঙ্গে তিনি লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করে প্রার্থীদের জানিয়ে দেবেন। লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে নির্দিষ্ট দিনে বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞানের ওপর ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নির্ধারিত তারিখে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এতে থাকবে ১৫ নম্বর। ব্যক্তিগত পরিচিতিমূলক প্রশ্নের পাশাপাশি প্রার্থীর মানসিক দক্ষতা, মূল্যবোধ বিচারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয় এ পরীক্ষায়।

ডিবি হারুন-বিপ্লবসহ পুলিশের ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

কাগজপত্রে পুলিশ বাহিনীতে তাদের চাকরি রয়েছে এখনও, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসেও তারা কর্মস্থলে যাননি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে বুধবার (৯ অক্টোবর) পর্যন্ত তারা অদৃশ্য রয়েছেন পুলিশের এই ১৮৭ সদস্য। এ তালিকায় রয়েছেন পুলিশের বহুল আলোচিত ডিআইজি (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আর অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারও। অবশ্য এ দুই কর্মকর্তাসহ ১৮৭ সদস্যের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন ডিআইজি, ৭ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুইজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৫ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ৫ জন পরিদর্শক, ১৪ জন উপপরিদর্শক ও সার্জেন্ট, ৯ জন সহকারী উপপরিদর্শক, ৭ জন নায়েক ও ১৩৬ জন কনস্টেবল রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে পুলিশের ওই ১৮৭ সদস্যের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কেন তারা কর্মস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন না নিয়ম অনুযায়ী এজন্য তাদের শোকজ করা হবে। ‘সন্তোষজনক’ জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই কর্মকর্তা জানান, এই তালিকার মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে গুলি করে হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে।

সর্বশেষ পলাতক এই ১৮৭ সদস্যদের বিষয়ে গত ১ অক্টোবর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কাজে যোগ দেননি, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা আর পুলিশ সদস্য নন, তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।

সম্প্রতি আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, পুলিশ বাহিনীতে যারা এখনও কাজে যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে। যারা কাজে যোগ দেননি তাদের প্রথমে নোটিশ করা হয়েছে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যদি না আসেন আমাদের অবস্থান ক্লিয়ার, তাদের চাকরিতে রাখার সুযোগ নেই।

আইজিপি জানান, যারা (পুলিশ সদস্য) বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন, যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এমন ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা কর্মস্থলে যোগ দেননি তারা হয়তো মামলার কারণে কিংবা অন্য কারণে যোগ দেননি।

পুলিশ সূত্র জানায়, পলাতকের তালিকায় একমাত্র ডিআইজি হারুন অর রশীদ (ডিবি হারুন) রয়েছেন। পুলিশ ক্যাডারের ২০ ব্যাচের এই বিতর্কিত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনের প্রথম সারির কয়েক সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে নানা নাটকের জন্ম দেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে তাকে ডিবির পদ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের অপারেশন বিভাগে অতিরিক্ত কমিশনার করা হয়। সেখানে থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত আন্দোলন দমাতে নানা ধরনের কার্যক্রম চালান তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, বহুল আলোচিত এই হারুন গত ৫ আগস্টও রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার নির্দেশ দেন। ওইদিন তিনি ডিএমপির কন্ট্রোল রুমে বসে সব পরিস্থিতি দেখেন এবং শেষ সময় পর্যন্ত পুলিশকে আক্রমণ চালাতে নির্দেশ দেন।

লাখো জনতা গণভবনের দিকে যেতে থাকলে ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অ্যাকশনে যাওয়ারও নির্দেশ দেন। তবে টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার ভারত চলে যাওয়ার খবরে বিমর্ষ হয়ে নিজেও কন্ট্রোল রুম থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এক পর্যায়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুমের দেয়াল টপকে হারুন সেদিন পুলিশ সদর দপ্তরে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে নেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেদিন তিনি মাস্ক পরে পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান।

এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট পর্যন্ত হারুনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন সক্রিয় পাওয়া যায়। ওইদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন তিনি পালিয়ে যাননি, দেশেই রয়েছেন। তবে এরপর থেকে তার হদিস মিলছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে তথ্য এসেছে, হারুন ছাত্র-জনতার হামলার শিকার হয়ে গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ডিআইজি হারুন ছাড়াও পলাতকদের তালিকায় রয়েছেন, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার। তাকে শেষদিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর তারও হদিস মিলছে না। এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে, বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার অবৈধ পথে পালিয়েছেন। এ ছাড়া কর্মস্থলে যোগ না দেয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান ও যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায় রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে-পরে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে।

এদিকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও গত ১৯ সেপ্টেম্বর কয়েকজনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত ও পদায়ন করার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দারকে রাজশাহীর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ও ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়কে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে সংযুক্ত করার আদেশ জারি হয়। তবে তারা বর্তমান কর্মস্থলেও নেই বলে জানা গেছে।

এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়েবসাইটে যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায় ও মেহেদী হাসানকে ডিএমপিতে সংযুক্ত করার তথ্য সন্নিবেশ করা রয়েছে। তবে তারা ডিএমপিতে আসেন না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ডিএমপির ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বা যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক পুলিশের এই সদস্যদের কাজে যোগ দিতে বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় সময় বেঁধে দেয় সরকার। অনেকে কাজে যোগ দিয়ে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে চলে গেলেও বুধবার পর্যন্ত ১৮৭ জনের হদিস নেই পুলিশ সদর দপ্তরে।

পুলিশ হেডকোয়াটার্স জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর এবং পুলিশ হেডকোয়াটার্সে হামলার পর অনেকে পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপদ আশ্রয় চলে গেছেন। এরপর অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজিসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার ২৭ জনকে বাধ্যতা মূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। অনেককেই ওএসডি করে রাখা হয়েছে। ওই সব পদে পদোন্নতি নিয়ে নতুন করে পদায়র করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।

back to top