শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে সচিবালয় ছেড়েছে। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সচিবালয়ের সামনে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল মন্ত্রণালয়ের সভায় প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি। সেই বৈঠকে অস্থায়ী আবাসনসহ আমাদের ৩টি দাবি নিয়ে আলোচানা হবে। এরইমধ্যে আমাদের ৩টি দাবির মধ্যে ২টি মেনে নেয়ায় আমরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’
‘শাটডাউন’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস শাটডাউন থাকবে। আগামীকাল সভার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।’ এসময় অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে একটা চিঠি এসেছে। সেই চিঠিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। ১৫ তারিখে সভা হবে, সেখানে আমাদের ৩টি দাবি নিয়েই যথযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাই আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করাসহ ৩ দফা দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে সোমবার বিকেলে সচিবালয় ঘেরাও করে অনশন ও বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীকে কাজ দেয়ার বিষয়ে চিঠি সংশোধনের আশ্বাস দেয়া হয়। পরে তারা অনশন প্রত্যাহার করে নেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সংশোধন করে দ্বিতীয়বার পাঠানো মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীকে কাজ বুঝিয়ে দিতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে আগামীকাল সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে আলোচ্যসূচি হিসেবে থাকবে প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল স্টিল স্ট্রাকচারের মাধ্যমে নির্মাণ করে আবাসন সমস্যার সাময়িক অবসান করা।
এরআগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দেয়, তাতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীকে কাজ বুঝিয়ে দিতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে আগামীকাল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিকে ‘অসম্পূর্ণ’ বলে তা সংশোধনের আহ্বান জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছিলেন বিকাল ৪টার মধ্যে চিঠি সংশোধন না করলে তারা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন। পরে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিকাল ৪টার পরপর অনশনকারী শিক্ষার্থীরা রিকশা-ভ্যানে করে সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে সেখানে গিয়ে অনশন শুরু করেন এবং অন্য শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে সচিবালয় ছেড়েছে। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সচিবালয়ের সামনে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল মন্ত্রণালয়ের সভায় প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি। সেই বৈঠকে অস্থায়ী আবাসনসহ আমাদের ৩টি দাবি নিয়ে আলোচানা হবে। এরইমধ্যে আমাদের ৩টি দাবির মধ্যে ২টি মেনে নেয়ায় আমরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’
‘শাটডাউন’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস শাটডাউন থাকবে। আগামীকাল সভার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।’ এসময় অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে একটা চিঠি এসেছে। সেই চিঠিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। ১৫ তারিখে সভা হবে, সেখানে আমাদের ৩টি দাবি নিয়েই যথযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাই আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করাসহ ৩ দফা দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে সোমবার বিকেলে সচিবালয় ঘেরাও করে অনশন ও বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীকে কাজ দেয়ার বিষয়ে চিঠি সংশোধনের আশ্বাস দেয়া হয়। পরে তারা অনশন প্রত্যাহার করে নেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সংশোধন করে দ্বিতীয়বার পাঠানো মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীকে কাজ বুঝিয়ে দিতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে আগামীকাল সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে আলোচ্যসূচি হিসেবে থাকবে প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল স্টিল স্ট্রাকচারের মাধ্যমে নির্মাণ করে আবাসন সমস্যার সাময়িক অবসান করা।
এরআগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দেয়, তাতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীকে কাজ বুঝিয়ে দিতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে আগামীকাল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিকে ‘অসম্পূর্ণ’ বলে তা সংশোধনের আহ্বান জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছিলেন বিকাল ৪টার মধ্যে চিঠি সংশোধন না করলে তারা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন। পরে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিকাল ৪টার পরপর অনশনকারী শিক্ষার্থীরা রিকশা-ভ্যানে করে সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে সেখানে গিয়ে অনশন শুরু করেন এবং অন্য শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন।