জুলাই-আগস্ট হত্যা
গেল বছর জুলাই আগস্টে ‘বৈষম্যবিরোধী’ আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কলরেকর্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। সে সব কল রেকর্ড সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে, ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওভারঅল এভিডেন্সের ব্যাপারে ফরেনসিক টেস্টের জন্য আমরা কোর্টের আদেশ নিয়েছি।’
গেল বছর ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লংমার্চের দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যান।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বিচারের মুখোমুখী করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারততে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভাব্রাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারত এর আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি।
সোমবার চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ফুটেজ বিভিন্ন মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও কল রেকর্ড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে, বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে, বিভিন্ন সোর্স থেকে সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা এগুলো পেয়েছি ও কালেকশন করেছি।
‘এই গুলো বেছে বেছে সে ভয়েসগুলো, সেই ভিডিও ফুটেজগুলো, সেই দৃশ্যগুলো, সেই মেসেজগুলোকে ডিজিটাল ফরেনসিক করার জন্য সিআইডির কাছ পাঠানোর ব্যাপারে, সিআইডিকে একটা ফরেনসিক রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে পিটিশনও মুভ করেছিলাম’ বলে তাজুল।
তিনি বলেন, ‘সেই পিটিশনে আমাদের প্রাপ্ত সার্টিফিকেশন গুলোয় ওরা পরীক্ষা করে আমাদের সার্টিফিকেশনগুলোয় দিবে। সেই ক্ষেত্রে যদি ওনারা কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বলে থাকে। বিশেষ ব্যক্তি না আসলে ওভারল এভিডেন্সের ব্যাপারে আমরা ফরেনসিক টেস্টের জন্য কোর্টের আদেশ নিয়েছি।’
এই সব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অসহযোগিতা পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁশুলি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সুতরাং কাউকে এ মূহূর্তে দায়ী করা বা ব্লেইম করার মতো অবস্থায় আমরা যাইনি। আমরা আপাতত করাও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা কাউকে দায়ী করছি না।’
এই সম্পর্কে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একজন অ্যাডিশনাল এসপি (ল্যাব) সংবাদকে জানান, কেউ কল রেকর্ড দিলে, ওটা কার ভয়েস সব কিছু পরীক্ষা করে জানা সম্ভব বলে তিনি জানান।
জুলাই-আগস্ট হত্যা
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
গেল বছর জুলাই আগস্টে ‘বৈষম্যবিরোধী’ আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কলরেকর্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। সে সব কল রেকর্ড সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে, ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওভারঅল এভিডেন্সের ব্যাপারে ফরেনসিক টেস্টের জন্য আমরা কোর্টের আদেশ নিয়েছি।’
গেল বছর ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লংমার্চের দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যান।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বিচারের মুখোমুখী করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারততে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভাব্রাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারত এর আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি।
সোমবার চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ফুটেজ বিভিন্ন মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও কল রেকর্ড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে, বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে, বিভিন্ন সোর্স থেকে সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা এগুলো পেয়েছি ও কালেকশন করেছি।
‘এই গুলো বেছে বেছে সে ভয়েসগুলো, সেই ভিডিও ফুটেজগুলো, সেই দৃশ্যগুলো, সেই মেসেজগুলোকে ডিজিটাল ফরেনসিক করার জন্য সিআইডির কাছ পাঠানোর ব্যাপারে, সিআইডিকে একটা ফরেনসিক রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে পিটিশনও মুভ করেছিলাম’ বলে তাজুল।
তিনি বলেন, ‘সেই পিটিশনে আমাদের প্রাপ্ত সার্টিফিকেশন গুলোয় ওরা পরীক্ষা করে আমাদের সার্টিফিকেশনগুলোয় দিবে। সেই ক্ষেত্রে যদি ওনারা কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বলে থাকে। বিশেষ ব্যক্তি না আসলে ওভারল এভিডেন্সের ব্যাপারে আমরা ফরেনসিক টেস্টের জন্য কোর্টের আদেশ নিয়েছি।’
এই সব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অসহযোগিতা পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁশুলি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সুতরাং কাউকে এ মূহূর্তে দায়ী করা বা ব্লেইম করার মতো অবস্থায় আমরা যাইনি। আমরা আপাতত করাও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা কাউকে দায়ী করছি না।’
এই সম্পর্কে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একজন অ্যাডিশনাল এসপি (ল্যাব) সংবাদকে জানান, কেউ কল রেকর্ড দিলে, ওটা কার ভয়েস সব কিছু পরীক্ষা করে জানা সম্ভব বলে তিনি জানান।