বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অস্ত্র আইনের মামলাতেও খালাস পেয়েছেন। এর ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর তার খালাসের পর এখন আর তার মুক্তিতে কোনো আইনি বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শিশির মনির।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের আপিল বেঞ্চ, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে রায় দেয়। এতে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া সহ অন্যান্য আসামিদের সাজা কমিয়ে দেওয়া হয় এবং পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পরেশ বড়ুয়া এর সাজা কমিয়ে ১৪ বছর করা হয়েছে, অপর চারজনকে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল চীনে তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদ, যা উলফা (ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন) এর জন্য আনা হয়েছিল। পরে তদন্তে জানা যায়, এসব অস্ত্র সমুদ্রপথে বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণা করে।
অস্ত্র আইনের মামলায় আসামিদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, পরেশ বড়ুয়া এবং অন্যান্য ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমানে বাবরসহ বেশ কয়েকজন আসামির খালাস হওয়ার পর তাদের মুক্তি কার্যকর হওয়ার পথে রয়েছে। আইনি বাধা না থাকায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অস্ত্র আইনের মামলাতেও খালাস পেয়েছেন। এর ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর তার খালাসের পর এখন আর তার মুক্তিতে কোনো আইনি বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শিশির মনির।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের আপিল বেঞ্চ, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে রায় দেয়। এতে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া সহ অন্যান্য আসামিদের সাজা কমিয়ে দেওয়া হয় এবং পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পরেশ বড়ুয়া এর সাজা কমিয়ে ১৪ বছর করা হয়েছে, অপর চারজনকে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল চীনে তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদ, যা উলফা (ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন) এর জন্য আনা হয়েছিল। পরে তদন্তে জানা যায়, এসব অস্ত্র সমুদ্রপথে বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণা করে।
অস্ত্র আইনের মামলায় আসামিদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, পরেশ বড়ুয়া এবং অন্যান্য ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমানে বাবরসহ বেশ কয়েকজন আসামির খালাস হওয়ার পর তাদের মুক্তি কার্যকর হওয়ার পথে রয়েছে। আইনি বাধা না থাকায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।