বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জোর জবরদস্তি না করে একটি ‘ভিত্তিমূল্য’ নির্ধারণের মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম পুনর্মূল্যায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "বিদ্যুৎখাতে শোষণমূলক কিছু ট্যারিফ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন গণতান্ত্রিক আবহে সেগুলো পুনরায় আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হচ্ছে। কাউকে জোর করে কিছু চাপানো হচ্ছে না।"
ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনমূল্য প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৪৪ পয়সা ধরা হয়েছে। এই মূল্য ধরে অন্যান্য কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর ট্যারিফ সমন্বয় করা হবে। বর্তমানে এসব কেন্দ্রের ইউনিটপ্রতি দাম ১০ টাকার আশপাশে রয়েছে।
ভারতের আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড প্রকল্প থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম অনেক সময় ১৬ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এই চুক্তি বাতিলের দাবি ওঠলেও উপদেষ্টা বলেন, "বাস্তবতার নিরিখে সেটা সম্ভব নয়।"
তিনি জানান, দাম সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দুই কেন্দ্রের দামের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে ২০–৩০ পয়সা, তবে সেটা ৩–৪ টাকা হবে না। একইভাবে গ্যাসভিত্তিক ও অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ট্যারিফও পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
জ্বালানি খাতে সরকারের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা স্বল্পমেয়াদি সরকার। হয়তো আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকব। কিন্তু গ্যাস বা জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়।"
বকেয়া পরিশোধ নিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের সময় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের বকেয়া ছিল, যা কমিয়ে এখন ৬০০ মিলিয়ন ডলারে আনা হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে ভর্তুকির চাপ কমবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নয়ন ব্যয় কাটছাঁটের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, "মাত্র ১০ দিনের মধ্যে পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পে ১৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। ফরিদপুরের ভাঙায় অপ্রয়োজনীয় সেন্ট্রাল এসি রেলস্টেশন প্রকল্পও বাতিল করেছি।"
সাগরে জ্বালানি অনুসন্ধান সংক্রান্ত টেন্ডার বিষয়ে তিনি জানান, আগের টেন্ডারে সাড়া না আসায় সংশোধনীর কাজ চলছে। অনুমোদন পেলেই নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম এবং এফইআরবির নেতারা।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জোর জবরদস্তি না করে একটি ‘ভিত্তিমূল্য’ নির্ধারণের মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম পুনর্মূল্যায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "বিদ্যুৎখাতে শোষণমূলক কিছু ট্যারিফ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন গণতান্ত্রিক আবহে সেগুলো পুনরায় আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হচ্ছে। কাউকে জোর করে কিছু চাপানো হচ্ছে না।"
ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনমূল্য প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৪৪ পয়সা ধরা হয়েছে। এই মূল্য ধরে অন্যান্য কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর ট্যারিফ সমন্বয় করা হবে। বর্তমানে এসব কেন্দ্রের ইউনিটপ্রতি দাম ১০ টাকার আশপাশে রয়েছে।
ভারতের আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড প্রকল্প থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম অনেক সময় ১৬ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এই চুক্তি বাতিলের দাবি ওঠলেও উপদেষ্টা বলেন, "বাস্তবতার নিরিখে সেটা সম্ভব নয়।"
তিনি জানান, দাম সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দুই কেন্দ্রের দামের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে ২০–৩০ পয়সা, তবে সেটা ৩–৪ টাকা হবে না। একইভাবে গ্যাসভিত্তিক ও অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ট্যারিফও পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
জ্বালানি খাতে সরকারের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা স্বল্পমেয়াদি সরকার। হয়তো আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকব। কিন্তু গ্যাস বা জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়।"
বকেয়া পরিশোধ নিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের সময় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের বকেয়া ছিল, যা কমিয়ে এখন ৬০০ মিলিয়ন ডলারে আনা হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে ভর্তুকির চাপ কমবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নয়ন ব্যয় কাটছাঁটের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, "মাত্র ১০ দিনের মধ্যে পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পে ১৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। ফরিদপুরের ভাঙায় অপ্রয়োজনীয় সেন্ট্রাল এসি রেলস্টেশন প্রকল্পও বাতিল করেছি।"
সাগরে জ্বালানি অনুসন্ধান সংক্রান্ত টেন্ডার বিষয়ে তিনি জানান, আগের টেন্ডারে সাড়া না আসায় সংশোধনীর কাজ চলছে। অনুমোদন পেলেই নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম এবং এফইআরবির নেতারা।