আজ বিশ্ব বাঘ দিবস
‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ (২৯ জুলাই) পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস। তবে, সুন্দরবনে বাঘ রক্ষায় বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি। ফলে বাঘের সংখ্যা প্রতিবছরই কমছে।
সুন্দরবন এলাকার গত কয়েক বছরের ঘটনা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, গত দেড় বছরে হঠাৎ করেই দেশে বাঘের মৃত্যু বেড়ে গেছে। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই একটি করে বাঘের মৃত্যু হয়। এদের মধ্য বেশি ভাগ বাঘের মানুষের পিটুনির শিকার হয়ে এবং চোরা শিকারিদের অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয়। এছাড়া গত দেড় বছরে বাঘ মারা গেছে তিনটি। গত বছর দুটি ও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে একটি বাঘ মারা যায়। শুধু বাঘ হত্যা নয়, সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনাও গত দেড় বছরে বেড়ে গেছে। গত দেড় বছরে মোট পাঁচবার আগুন লেগেছে।
প্রায় এক যুগ আগে ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রথম বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৩টি রাষ্ট্র অংশ নেয়। সম্মেলনে নিজ নিজ দেশে বাঘের সংখ্যা এক যুগের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে নেপাল বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। ভারত ও ভুটানও দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তবে এ লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাঘের মৃত্যু ও হত্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছিল, সেখান থেকেও আবার পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালে করা একটি জরিপের ফলাফলে বর্তমানে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ পদ্ধতিতে পরিচালিত জরিপে বাঘের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১০৬টি।
এর আগে ২০০৪ সালের জরিপের তথ্যানুযায়ী ৪৪০টি বাঘ ছিল। এর মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় ৮৯টি পুরুষ ও ১৭০টি স্ত্রী বাঘ এবং ১২টি বাচ্চা বাঘ রয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ৩২টি পুরুষ ও ১২৮টি স্ত্রী বাঘ এবং ৯টি বাচ্চা বাঘের অবস্থান জরিপে উল্লেখ করা হয়েছিল। মাত্র ১৪ বছরে ৩২৬টি বাঘ কমে যাওয়াকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে সচেতন মহল।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বন্য প্রাণিবিষয়ক সংস্থা ওয়াইল্ড টিমের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে হলে বন বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আজ বিশ্ব বাঘ দিবস
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ (২৯ জুলাই) পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস। তবে, সুন্দরবনে বাঘ রক্ষায় বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি। ফলে বাঘের সংখ্যা প্রতিবছরই কমছে।
সুন্দরবন এলাকার গত কয়েক বছরের ঘটনা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, গত দেড় বছরে হঠাৎ করেই দেশে বাঘের মৃত্যু বেড়ে গেছে। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই একটি করে বাঘের মৃত্যু হয়। এদের মধ্য বেশি ভাগ বাঘের মানুষের পিটুনির শিকার হয়ে এবং চোরা শিকারিদের অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয়। এছাড়া গত দেড় বছরে বাঘ মারা গেছে তিনটি। গত বছর দুটি ও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে একটি বাঘ মারা যায়। শুধু বাঘ হত্যা নয়, সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনাও গত দেড় বছরে বেড়ে গেছে। গত দেড় বছরে মোট পাঁচবার আগুন লেগেছে।
প্রায় এক যুগ আগে ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রথম বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৩টি রাষ্ট্র অংশ নেয়। সম্মেলনে নিজ নিজ দেশে বাঘের সংখ্যা এক যুগের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে নেপাল বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। ভারত ও ভুটানও দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তবে এ লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাঘের মৃত্যু ও হত্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছিল, সেখান থেকেও আবার পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালে করা একটি জরিপের ফলাফলে বর্তমানে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ পদ্ধতিতে পরিচালিত জরিপে বাঘের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১০৬টি।
এর আগে ২০০৪ সালের জরিপের তথ্যানুযায়ী ৪৪০টি বাঘ ছিল। এর মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় ৮৯টি পুরুষ ও ১৭০টি স্ত্রী বাঘ এবং ১২টি বাচ্চা বাঘ রয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ৩২টি পুরুষ ও ১২৮টি স্ত্রী বাঘ এবং ৯টি বাচ্চা বাঘের অবস্থান জরিপে উল্লেখ করা হয়েছিল। মাত্র ১৪ বছরে ৩২৬টি বাঘ কমে যাওয়াকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে সচেতন মহল।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বন্য প্রাণিবিষয়ক সংস্থা ওয়াইল্ড টিমের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে হলে বন বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।