ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘এই টিকার সিআরও প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি বেশ কিছুদিন আগেই এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনুমোদন দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।’
‘কোভ্যাক্সিন’র যেসব ডকুমেন্টস উপস্থাপন করেছে, তার সবই বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক ছিল, জানিয়ে ডা. মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘গত ১৮ জুলাই ন্যাশনাল ইথিক্যাল কমিটি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। মানে তারা এখন মানুষের ওপর (কোভ্যাক্সিন) টিকা প্রয়োগ করতে পারবে।’
বিএমআরসির অনুমোদন পেলেও ট্রায়াল শুরুর আগে বাংলাদেশে ওই টিকা আনার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে জানিয়ে অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন ‘ওষুধ আনার পর ট্রায়াল শুরুর আগে তারা আমাদের অবশ্যই জানাবে, কোথায় কী দিচ্ছে। আমরা নিয়মিত এটা পর্যবেক্ষণ করব।’
দেশটির হায়দরাবাদে প্রতিষ্ঠিত ‘ভারত বায়োটেক’ ও ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ’ যৌথভাবে ‘কোভ্যাক্সিন’ তৈরি করেছে। গত জানুয়ারিতে এটি ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়।
‘দি টাইমস অব ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ‘কোভ্যাক্সিন’ দুই ডোজের টিকা। প্রথম ডোজ গ্রহণের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়। ভারতে এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮১ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। তবে দুই ডোজ নেয়ার পর এই টিকার কার্যকারিতা মানবদেহে কতদিন থাকতে পারে সেটি এখনও পরিস্কার নয়। এমনকি গর্ভবতী নারীরা এই টিকা নিতে পারবে কি না এবং তাদের জন্য এই টিকা নিরাপদ কি না, সে সর্ম্পকে কোন গবেষণা হয়নি।
অন্যান্য টিকার মতো ‘কোভ্যাক্সিন’ গ্রহণের পর কিছু পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে শারীরিক দুর্বলতা, ইনজেকশন নেয়ার স্থলে ব্যাথা, লালছে দাগ হওয়া, জ্বালাতন করা, জ¦র, মাথা ব্যাথা, বমি হওয়া, শরীর ব্যাথা হতে পারে।
যদিও ‘ভারত বায়োটেক’ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি দাবি করেছেন, ‘কোভ্যাক্সিন’ করোনা ভাইরাসের ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ ও ‘ইউকে ভ্যারিয়েন্ট’সহ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
ভারত ছাড়াও ইরান, ফিলিপাইনস, মৌরিতিয়াস, মেক্সিকো, নেপাল, গায়ানা, প্যারাগুয়ে ও জিম্বাবুয়ে ‘কোভ্যাক্সিন’ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতের এই টিকার স্বীকৃতি দেয়নি।
দেশে এর আগে গত ২৪ জুন চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সকে তাদের উদ্ভাবিত একটি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দেয় বিএমআরসি।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্নার টিকা টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। এসব টিকা বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিডিসি’ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদিত।
মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘এই টিকার সিআরও প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি বেশ কিছুদিন আগেই এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনুমোদন দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।’
‘কোভ্যাক্সিন’র যেসব ডকুমেন্টস উপস্থাপন করেছে, তার সবই বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক ছিল, জানিয়ে ডা. মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘গত ১৮ জুলাই ন্যাশনাল ইথিক্যাল কমিটি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। মানে তারা এখন মানুষের ওপর (কোভ্যাক্সিন) টিকা প্রয়োগ করতে পারবে।’
বিএমআরসির অনুমোদন পেলেও ট্রায়াল শুরুর আগে বাংলাদেশে ওই টিকা আনার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে জানিয়ে অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন ‘ওষুধ আনার পর ট্রায়াল শুরুর আগে তারা আমাদের অবশ্যই জানাবে, কোথায় কী দিচ্ছে। আমরা নিয়মিত এটা পর্যবেক্ষণ করব।’
দেশটির হায়দরাবাদে প্রতিষ্ঠিত ‘ভারত বায়োটেক’ ও ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ’ যৌথভাবে ‘কোভ্যাক্সিন’ তৈরি করেছে। গত জানুয়ারিতে এটি ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়।
‘দি টাইমস অব ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ‘কোভ্যাক্সিন’ দুই ডোজের টিকা। প্রথম ডোজ গ্রহণের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়। ভারতে এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮১ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। তবে দুই ডোজ নেয়ার পর এই টিকার কার্যকারিতা মানবদেহে কতদিন থাকতে পারে সেটি এখনও পরিস্কার নয়। এমনকি গর্ভবতী নারীরা এই টিকা নিতে পারবে কি না এবং তাদের জন্য এই টিকা নিরাপদ কি না, সে সর্ম্পকে কোন গবেষণা হয়নি।
অন্যান্য টিকার মতো ‘কোভ্যাক্সিন’ গ্রহণের পর কিছু পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে শারীরিক দুর্বলতা, ইনজেকশন নেয়ার স্থলে ব্যাথা, লালছে দাগ হওয়া, জ্বালাতন করা, জ¦র, মাথা ব্যাথা, বমি হওয়া, শরীর ব্যাথা হতে পারে।
যদিও ‘ভারত বায়োটেক’ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি দাবি করেছেন, ‘কোভ্যাক্সিন’ করোনা ভাইরাসের ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ ও ‘ইউকে ভ্যারিয়েন্ট’সহ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
ভারত ছাড়াও ইরান, ফিলিপাইনস, মৌরিতিয়াস, মেক্সিকো, নেপাল, গায়ানা, প্যারাগুয়ে ও জিম্বাবুয়ে ‘কোভ্যাক্সিন’ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতের এই টিকার স্বীকৃতি দেয়নি।
দেশে এর আগে গত ২৪ জুন চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সকে তাদের উদ্ভাবিত একটি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দেয় বিএমআরসি।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্নার টিকা টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। এসব টিকা বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিডিসি’ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদিত।