লকডাউন শিথিল হবার পর টিকা না নিয়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ ঘরের বাইরে বের হলে শাস্তি পাবেন বলে একজন মন্ত্রী যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তার সঙ্গে একমত নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বিভিন্ন গণমাধ্যমের ‘জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ’ করে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘টিকা নেওয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না’ বলে যে সংবাদটি প্রচার হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়নি।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “দ্রুতই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ‘টিকা নেয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না’ বলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যে সংবাদটি প্রচার হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নয়। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোথাও দেয়া বা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।”
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাশেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক টিকা সংক্রান্ত শাস্তির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
ওই সভায় এবং সভার পরে সাংবাদিকদের যখন সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছিলেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী, সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে সেসময় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে তিনি কোনো দ্বিমত পোষণ করেননি। ঐ সভায় চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী এক সপ্তাহ ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার পর ১১ অগাস্ট থেকে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস খোলারও সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সীমিত পরিসরে ‘রোটেশন করে’ যানবাহনও সে সময় চলবে বলে জানানো হয়।
সভা শেষে মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, “ভ্যাকসিন ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো লোক, যারা ১১ তারিখ থেকে মুভ করবে, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি যদি রাস্তাঘাট, গাড়িতে, মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেলে, টেম্পো বা বাসে বা ট্রেনে হোক, নো বডি এলাউড টু মুভ, তাদেরকে অবশ্যই ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে।”
মাস্কের বিষয়েও শাস্তির কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করব। এমন কথাও আসছে, যদি তারা আইন না মানে, তাহলে সরকার হয়তো অধ্যাদেশ জারি করবে। যেহেতু এখন পার্লামেন্ট চালু নেই, আইন করতে পারবে না। অধ্যাদেশ জারি করে হলেও কিছু শাস্তি ইনফোর্স করার ক্ষমতা বিভিন্ন লেভেলে দেয়া হতে পারে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১
লকডাউন শিথিল হবার পর টিকা না নিয়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ ঘরের বাইরে বের হলে শাস্তি পাবেন বলে একজন মন্ত্রী যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তার সঙ্গে একমত নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বিভিন্ন গণমাধ্যমের ‘জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ’ করে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘টিকা নেওয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না’ বলে যে সংবাদটি প্রচার হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়নি।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “দ্রুতই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ‘টিকা নেয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না’ বলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যে সংবাদটি প্রচার হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নয়। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোথাও দেয়া বা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।”
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাশেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক টিকা সংক্রান্ত শাস্তির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
ওই সভায় এবং সভার পরে সাংবাদিকদের যখন সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছিলেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী, সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে সেসময় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে তিনি কোনো দ্বিমত পোষণ করেননি। ঐ সভায় চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী এক সপ্তাহ ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার পর ১১ অগাস্ট থেকে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস খোলারও সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সীমিত পরিসরে ‘রোটেশন করে’ যানবাহনও সে সময় চলবে বলে জানানো হয়।
সভা শেষে মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, “ভ্যাকসিন ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো লোক, যারা ১১ তারিখ থেকে মুভ করবে, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি যদি রাস্তাঘাট, গাড়িতে, মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেলে, টেম্পো বা বাসে বা ট্রেনে হোক, নো বডি এলাউড টু মুভ, তাদেরকে অবশ্যই ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে।”
মাস্কের বিষয়েও শাস্তির কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করব। এমন কথাও আসছে, যদি তারা আইন না মানে, তাহলে সরকার হয়তো অধ্যাদেশ জারি করবে। যেহেতু এখন পার্লামেন্ট চালু নেই, আইন করতে পারবে না। অধ্যাদেশ জারি করে হলেও কিছু শাস্তি ইনফোর্স করার ক্ষমতা বিভিন্ন লেভেলে দেয়া হতে পারে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।