ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও আশঙ্কাজনক রূপ নিতে পারে এমন উদ্বেগের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বর্ষাকালে আমরা গত কয়েক বছর ধরেই দেখেছি এডিস বাহিত যে ডেঙ্গু পরিস্থিতিটি সেটি সময় সময় অত্যন্ত আশঙ্কাজনক রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালে আমরা দেখেছি, ডেঙ্গু মহামারি আমাদের কীভাবে আক্রান্ত করেছিল। ২০২১ সালে এসে একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমরা মনে করি, দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সেটি মোকাবিলা করতে পারব।”
ডেঙ্গু সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “গতকাল সকাল ৮টার পর্যন্ত ঢাকায় ২৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। ১৬ জন ছিলেন ঢাকার বাইরের। এই সময় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এক হাজার ৭২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ২৫ জন রোগী ছিলেন। অন্যান্য বিভাগে মোট ভর্তি ছিলেন ৪৭ জন রোগী। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৪৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন দুই হাজার ৩৭০ জন। জুলাই মাসে ২৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, আগস্টের তিন দিনে ৭৮৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।”
করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল বলেন, “এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা শনাক্ত ৪৬ শতাংশ ও মৃত্যু ২৫ শতাংশ বেড়েছে। গত সাত দিনে তিন লাখ ৯২ হাজার ৯৩৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তাতে এক লাখ ১৬ হাজার ২৬৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫৩ হাজার ৭৪৯ জন বেশি। চলতি সপ্তাহে ৪৮০ জন বেশি মারা গেছেন। জানুয়ারি থেকে সংক্রমণের যে চিত্র তাতে জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী আমরা দেখেছি। আগস্ট মাসেও রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জেলাভিত্তিক রোগীর হিসাবে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে। তারপরই চট্টগ্রাম। রাজশাহীতে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। বিভাগেও মৃত্যুর হিসাবে ঢাকার পরেই আছে চট্টগ্রাম।”
বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১
ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও আশঙ্কাজনক রূপ নিতে পারে এমন উদ্বেগের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বর্ষাকালে আমরা গত কয়েক বছর ধরেই দেখেছি এডিস বাহিত যে ডেঙ্গু পরিস্থিতিটি সেটি সময় সময় অত্যন্ত আশঙ্কাজনক রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালে আমরা দেখেছি, ডেঙ্গু মহামারি আমাদের কীভাবে আক্রান্ত করেছিল। ২০২১ সালে এসে একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমরা মনে করি, দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সেটি মোকাবিলা করতে পারব।”
ডেঙ্গু সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “গতকাল সকাল ৮টার পর্যন্ত ঢাকায় ২৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। ১৬ জন ছিলেন ঢাকার বাইরের। এই সময় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এক হাজার ৭২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ২৫ জন রোগী ছিলেন। অন্যান্য বিভাগে মোট ভর্তি ছিলেন ৪৭ জন রোগী। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৪৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন দুই হাজার ৩৭০ জন। জুলাই মাসে ২৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, আগস্টের তিন দিনে ৭৮৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।”
করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল বলেন, “এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা শনাক্ত ৪৬ শতাংশ ও মৃত্যু ২৫ শতাংশ বেড়েছে। গত সাত দিনে তিন লাখ ৯২ হাজার ৯৩৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তাতে এক লাখ ১৬ হাজার ২৬৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫৩ হাজার ৭৪৯ জন বেশি। চলতি সপ্তাহে ৪৮০ জন বেশি মারা গেছেন। জানুয়ারি থেকে সংক্রমণের যে চিত্র তাতে জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী আমরা দেখেছি। আগস্ট মাসেও রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জেলাভিত্তিক রোগীর হিসাবে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে। তারপরই চট্টগ্রাম। রাজশাহীতে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। বিভাগেও মৃত্যুর হিসাবে ঢাকার পরেই আছে চট্টগ্রাম।”