‘খন্দকার মোশতাক ছবি নামিয়েছিলেন; জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন’, ‘আমরা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই’
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা ‘উচিত হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে, সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতির মাধ্যমে এই বক্তব্যকে ‘অনাকাক্সিক্ষ’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন রিজভী বলেন, ‘খন্দকার মোশতাক ছবি (শেখ মুজিবুর রহমানের) নামিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন। ইতিহাস আপনার নির্ধারণ করবে, বিচার করবে; সেই বিচারের ভার থাকল- জনগণ বিচার করবে। কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনে, জাতির ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান- সেটা স্বীকার করা হোক। আমরা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই। আমরা ছোট মনে পরিচয় দেব না। এজন্য বলছি, শেখ মুজিবের ছবি নামানোটা উচিত হয়নি।’
এর কয়েক ঘণ্টা পর দেয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে রিজভী বলেন, ‘আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।’
রিজভী তার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।’
গত রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানের সময় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের পেছনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমালোচনার মুখে তা নামিয়ে ফেলা হয়। নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেইসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে নামানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলায়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’
আর তার প্রেক্ষিতেই রিজভী মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ সাহেব (মাহফুজ আলম) জানিয়েছেন যে, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। দেখুন, এটা করেছেন ঠিক আছে কিন্তু সময় তো সবসময় এক রকম যায় না। যার যতটুকু ইতিহাসে অবস্থান আছে- সেটা থাক। আমি মনে করি, তার (শেখ মুজিবুর রহমান) ছবিটা নামিয়ে ফেলাটা উচিত হয়নি।’
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। ঢাকাসহ ৮টি বিভাগে একযোগে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছিলেন, গণতন্ত্রের হত্যার ধারা তার হাত দিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি- তাদের হাত দিয়ে হত্যা-গুম-খুন, আমরা দেখেছি ওই সময়ে রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার’৭৫ এর ১৫ অগাস্ট ঘটল।
রিজভী বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক অন্যায়, অনেক দুঃশাসন দেখেছি- তার পরেও ছবিটা ছিল।’
কিন্তু বিবৃতি দিয়ে এই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন রিজভী।
‘খন্দকার মোশতাক ছবি নামিয়েছিলেন; জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন’, ‘আমরা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই’
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা ‘উচিত হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে, সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতির মাধ্যমে এই বক্তব্যকে ‘অনাকাক্সিক্ষ’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন রিজভী বলেন, ‘খন্দকার মোশতাক ছবি (শেখ মুজিবুর রহমানের) নামিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন। ইতিহাস আপনার নির্ধারণ করবে, বিচার করবে; সেই বিচারের ভার থাকল- জনগণ বিচার করবে। কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনে, জাতির ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান- সেটা স্বীকার করা হোক। আমরা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই। আমরা ছোট মনে পরিচয় দেব না। এজন্য বলছি, শেখ মুজিবের ছবি নামানোটা উচিত হয়নি।’
এর কয়েক ঘণ্টা পর দেয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে রিজভী বলেন, ‘আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।’
রিজভী তার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।’
গত রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানের সময় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের পেছনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমালোচনার মুখে তা নামিয়ে ফেলা হয়। নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেইসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে নামানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলায়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’
আর তার প্রেক্ষিতেই রিজভী মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ সাহেব (মাহফুজ আলম) জানিয়েছেন যে, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। দেখুন, এটা করেছেন ঠিক আছে কিন্তু সময় তো সবসময় এক রকম যায় না। যার যতটুকু ইতিহাসে অবস্থান আছে- সেটা থাক। আমি মনে করি, তার (শেখ মুজিবুর রহমান) ছবিটা নামিয়ে ফেলাটা উচিত হয়নি।’
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। ঢাকাসহ ৮টি বিভাগে একযোগে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছিলেন, গণতন্ত্রের হত্যার ধারা তার হাত দিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি- তাদের হাত দিয়ে হত্যা-গুম-খুন, আমরা দেখেছি ওই সময়ে রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার’৭৫ এর ১৫ অগাস্ট ঘটল।
রিজভী বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক অন্যায়, অনেক দুঃশাসন দেখেছি- তার পরেও ছবিটা ছিল।’
কিন্তু বিবৃতি দিয়ে এই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন রিজভী।