নাসিমা আক্তার জুঁই
নেপাল এসএ গেমসে স্বর্ণজেতা কারাতেকা মারজান আক্তারের রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সমস্যা। এক বছর আগে ধরা পড়েছে যক্ষাও। অনেক কষ্টে কোনো রকম সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে পুরোপুরি সারেনি এই রোগ। এর ওপর প্রচণ্ড রকমে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এমন অসস্থ অবস্থায় শহিদ সোহ্রায়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেও স্বর্ণপদক নিয়ে ম্যাট ছেড়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক আসরে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দিলেন সেনাবাহিনীর এই কারাতেকা। অন্যদিকে কারাতের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন আনসারের নাসিমা আক্তার জুঁই। এই আসরেই কারাতে থেকে অবসর নেন তিনি। রোববার,(১১ মে ২০২৫) শহিদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনে দু’জনেই আর না খেলার কথা সাফ জানিয়ে দেন।
ছোটবেলাতেই মার্শাল আর্টের প্রতি প্রিয়ার ভালোলাগা তৈরি হয়। ভিকারুন্নেসা স্কুলে পড়ার সময় স্কুলে কারাতে শেখার সুযোগ এসে যায়। সেই শুরু। এরপর ক্লাব পর্যায় হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ভিকারুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে সেনাবাহিনীতে অল্প বেতনে চাকরি করছেন। সোনা জয়ের পর আক্ষেপের সুরে মারজান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছি। আমার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে। এত চড়াই উতরাই পরও যে আমরা রেজাল্ট দিতে পারি সেটা এক্সটা অর্ডিনারি পাওয়ার ছাড়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া সম্ভব নয়।’ পাকিস্তান এসএ গেমসে স্বর্ণপদক ধরে রাখার মিশনে যাবেন কিনা? জানতে চাইলে মারজানের উত্তর, ‘মনে হয় না এসএ গেমসে খেলতে পারব। অসুস্থতায় আমার আর খেলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে ২০০১ সাল থেকে খেলে আসা আনসারের নাসিমা আক্তার জুঁইও কারাতেকে গুডবাই বলে দিয়েছেন। তার কথা, ‘অনেক তো হলো, ২০-২৫ বছর। আর খেলতে চাই না। অবসরে যাচ্ছি।’ এবারের আসরে টিম কাতো ইভেন্টে সিলভার পদক জিতে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন। তবে তার মূল ইভেন্ট ছিল কুমিতে। জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ, রুপা, ব্রোঞ্জ মিলিয়ে ১০-১৫টি পদক জিতেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাফল্যে রয়েছে অনেক। যার অন্যতম- ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জয়। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ামি ওপেনে ব্রোঞ্জ জয় করেন প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে। নাসিমার কথা, ‘নতুন প্রজন্ম আসছে, ওদের ম্যাট ছেড়ে দেয়া ভালো। ওদের সুযোগ না দিলে আমার দেশ উন্নতি করবে না। আমি কোচ, রেফারি হিসেবে থাকবো।’
খেলোয়াড় ও সমর্থকদের
মধ্যে সংঘর্ষ
এদিকে জাতীয় কারাতের শেষ দিনে সেনাবাহিনী এবং আনসার দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দুই ঘণ্টার জন্য খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কারাতে ফেডারেশন। জানা গেছে, আহত তিনজনই আনসার ও ভিডিপি দলের সদস্য এবং তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘খেলার সময় অনেক কিছুই হয়। এটা তেমন গুরুতর বিষয় নয়।’ খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
নাসিমা আক্তার জুঁই
রোববার, ১১ মে ২০২৫
নেপাল এসএ গেমসে স্বর্ণজেতা কারাতেকা মারজান আক্তারের রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সমস্যা। এক বছর আগে ধরা পড়েছে যক্ষাও। অনেক কষ্টে কোনো রকম সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে পুরোপুরি সারেনি এই রোগ। এর ওপর প্রচণ্ড রকমে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এমন অসস্থ অবস্থায় শহিদ সোহ্রায়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেও স্বর্ণপদক নিয়ে ম্যাট ছেড়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক আসরে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দিলেন সেনাবাহিনীর এই কারাতেকা। অন্যদিকে কারাতের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন আনসারের নাসিমা আক্তার জুঁই। এই আসরেই কারাতে থেকে অবসর নেন তিনি। রোববার,(১১ মে ২০২৫) শহিদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনে দু’জনেই আর না খেলার কথা সাফ জানিয়ে দেন।
ছোটবেলাতেই মার্শাল আর্টের প্রতি প্রিয়ার ভালোলাগা তৈরি হয়। ভিকারুন্নেসা স্কুলে পড়ার সময় স্কুলে কারাতে শেখার সুযোগ এসে যায়। সেই শুরু। এরপর ক্লাব পর্যায় হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ভিকারুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে সেনাবাহিনীতে অল্প বেতনে চাকরি করছেন। সোনা জয়ের পর আক্ষেপের সুরে মারজান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছি। আমার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে। এত চড়াই উতরাই পরও যে আমরা রেজাল্ট দিতে পারি সেটা এক্সটা অর্ডিনারি পাওয়ার ছাড়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া সম্ভব নয়।’ পাকিস্তান এসএ গেমসে স্বর্ণপদক ধরে রাখার মিশনে যাবেন কিনা? জানতে চাইলে মারজানের উত্তর, ‘মনে হয় না এসএ গেমসে খেলতে পারব। অসুস্থতায় আমার আর খেলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে ২০০১ সাল থেকে খেলে আসা আনসারের নাসিমা আক্তার জুঁইও কারাতেকে গুডবাই বলে দিয়েছেন। তার কথা, ‘অনেক তো হলো, ২০-২৫ বছর। আর খেলতে চাই না। অবসরে যাচ্ছি।’ এবারের আসরে টিম কাতো ইভেন্টে সিলভার পদক জিতে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন। তবে তার মূল ইভেন্ট ছিল কুমিতে। জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ, রুপা, ব্রোঞ্জ মিলিয়ে ১০-১৫টি পদক জিতেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাফল্যে রয়েছে অনেক। যার অন্যতম- ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জয়। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ামি ওপেনে ব্রোঞ্জ জয় করেন প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে। নাসিমার কথা, ‘নতুন প্রজন্ম আসছে, ওদের ম্যাট ছেড়ে দেয়া ভালো। ওদের সুযোগ না দিলে আমার দেশ উন্নতি করবে না। আমি কোচ, রেফারি হিসেবে থাকবো।’
খেলোয়াড় ও সমর্থকদের
মধ্যে সংঘর্ষ
এদিকে জাতীয় কারাতের শেষ দিনে সেনাবাহিনী এবং আনসার দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দুই ঘণ্টার জন্য খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কারাতে ফেডারেশন। জানা গেছে, আহত তিনজনই আনসার ও ভিডিপি দলের সদস্য এবং তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘খেলার সময় অনেক কিছুই হয়। এটা তেমন গুরুতর বিষয় নয়।’ খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।