ভারতের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানেই অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। ফলে ৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ভারত।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ঠস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় রোহিত-কোহলিরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংলিশরা। ২০ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
এদিন দারুণ শুরু করে ভারতের বোলাররা। শুরুতেই আঘাত হানে আকসার পাটেল। ১৫ বলে ২৩ রান করা জস বাটলারকে আউট করেন আকসার পাটেল। এরপরেই ফিলিপ সল্টের স্টাম্প উড়িয়ে দের বুমরাহ্। এরপর একে একে আঘাত হানতে থাকে স্পিনাররা। জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলীর উইকেটও তুলে নেন আকসার পাটেল। বেয়ারস্টো দলীয় ৩৫ রানে এবং মঈন আলী ৪৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
এরপর স্যাম কারান, হ্যারি ব্রুক, ক্রিস জর্ডানের উইকেট তুলে নেন কুলদীপ ইয়াদাব। স্যাম কারানের উইকেটের পর হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১৯ রানের জুটি গড়লেও তা দীর্ঘ হতে পারেনি ভারতের স্পিন ঝরে৷ এরপর দলীয় ৮৬ রানে দিশেহারা ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন রানআউট হয়ে ঘরে ফেরে। দলীয় ৮৮ রানে আদিল রশিদের রান আউটের পর শতক পূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও জোফরা আর্চারের ১৫ বলে ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে শতক পেরোয় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানেই থামতে হয় ইংলিশদের।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮:৩০ টায় গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে ৯ টা ২০ মিনিটে টস হয় এবং খেলা শুরু হয় ৯ টা ৪৫ মিনিটে।
এদিন দলীয় ১৯ রানেই ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানে রিস টপলি। ৯ বলে ১ ছক্কায় ৯ রান করা ভিরাট কোহলি বোল্ট হয়ে ঘরে ফিরেন। এরপর রিশাভ পান্তকে ফেরান স্যাম ক্যারান। এরপর রোহিত শার্মা ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো স্কোরের দিকে নিয়ে যায়। দলীয় ১১৩ রানে রোহিতকে বোল্ড আউট করেন আদিল রশিদ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে ভারতের। দলীয় ১২৪ রানে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ, ১৪৬ রানে হার্ডিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে এবং ১৭০ রানে আকসার পাটেল আউট হন। শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানের পুঁজি পায় ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭১/৭ (রোহিত ৫৭, কোহলি ৯, পান্ত ৪, সুরিয়াকুমার ৪৭, পান্ডিয়া ২৩, জাদেজা ১৭*, দুবে ০, আকসার ১০, আর্শদিপ ১*; টপলি ৩-০-২৫-১, আর্চার ৪-০-৩৩-১, কারান ২-০-২৫-১, রাশিদ ৪-০-২৫-১, জর্ডান ৩-০-৩৭-৩, লিভিংস্টোন ৪-০-২৪-০)
ইংল্যান্ড: ১৬.৪ ওভারে ১০৩ (সল্ট ৫, বাটলার ২৩, মইন ৮, বেয়ারস্টো ০, ব্রুক ২৫, কারান ২, লিভিংস্টোন ১১, জর্ডান ১, আর্চার ২১, রাশিদ ২, টপলি ৩*; আর্শদিপ ২-০-১৭-০, বুমরাহ ২.৪-০-১২-২, আকসার ৪-০-২৩-৩, কুলদিপ ৪-০-১৯-৩, জাদেজা ৩-০-১৬-০, পান্ডিয়া ১-০-১৪-০)
ফল: ভারত ৬৮ রানে জয়ী
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: আকসার পাটেল
শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
ভারতের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানেই অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। ফলে ৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ভারত।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ঠস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় রোহিত-কোহলিরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংলিশরা। ২০ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
এদিন দারুণ শুরু করে ভারতের বোলাররা। শুরুতেই আঘাত হানে আকসার পাটেল। ১৫ বলে ২৩ রান করা জস বাটলারকে আউট করেন আকসার পাটেল। এরপরেই ফিলিপ সল্টের স্টাম্প উড়িয়ে দের বুমরাহ্। এরপর একে একে আঘাত হানতে থাকে স্পিনাররা। জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলীর উইকেটও তুলে নেন আকসার পাটেল। বেয়ারস্টো দলীয় ৩৫ রানে এবং মঈন আলী ৪৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
এরপর স্যাম কারান, হ্যারি ব্রুক, ক্রিস জর্ডানের উইকেট তুলে নেন কুলদীপ ইয়াদাব। স্যাম কারানের উইকেটের পর হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১৯ রানের জুটি গড়লেও তা দীর্ঘ হতে পারেনি ভারতের স্পিন ঝরে৷ এরপর দলীয় ৮৬ রানে দিশেহারা ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন রানআউট হয়ে ঘরে ফেরে। দলীয় ৮৮ রানে আদিল রশিদের রান আউটের পর শতক পূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও জোফরা আর্চারের ১৫ বলে ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে শতক পেরোয় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানেই থামতে হয় ইংলিশদের।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮:৩০ টায় গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে ৯ টা ২০ মিনিটে টস হয় এবং খেলা শুরু হয় ৯ টা ৪৫ মিনিটে।
এদিন দলীয় ১৯ রানেই ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানে রিস টপলি। ৯ বলে ১ ছক্কায় ৯ রান করা ভিরাট কোহলি বোল্ট হয়ে ঘরে ফিরেন। এরপর রিশাভ পান্তকে ফেরান স্যাম ক্যারান। এরপর রোহিত শার্মা ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো স্কোরের দিকে নিয়ে যায়। দলীয় ১১৩ রানে রোহিতকে বোল্ড আউট করেন আদিল রশিদ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে ভারতের। দলীয় ১২৪ রানে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ, ১৪৬ রানে হার্ডিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে এবং ১৭০ রানে আকসার পাটেল আউট হন। শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানের পুঁজি পায় ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭১/৭ (রোহিত ৫৭, কোহলি ৯, পান্ত ৪, সুরিয়াকুমার ৪৭, পান্ডিয়া ২৩, জাদেজা ১৭*, দুবে ০, আকসার ১০, আর্শদিপ ১*; টপলি ৩-০-২৫-১, আর্চার ৪-০-৩৩-১, কারান ২-০-২৫-১, রাশিদ ৪-০-২৫-১, জর্ডান ৩-০-৩৭-৩, লিভিংস্টোন ৪-০-২৪-০)
ইংল্যান্ড: ১৬.৪ ওভারে ১০৩ (সল্ট ৫, বাটলার ২৩, মইন ৮, বেয়ারস্টো ০, ব্রুক ২৫, কারান ২, লিভিংস্টোন ১১, জর্ডান ১, আর্চার ২১, রাশিদ ২, টপলি ৩*; আর্শদিপ ২-০-১৭-০, বুমরাহ ২.৪-০-১২-২, আকসার ৪-০-২৩-৩, কুলদিপ ৪-০-১৯-৩, জাদেজা ৩-০-১৬-০, পান্ডিয়া ১-০-১৪-০)
ফল: ভারত ৬৮ রানে জয়ী
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: আকসার পাটেল