হতাশা আর ব্যর্থতায় ভরা একটি মৌসুমে আরও একবার ছন্দপতন ঘটল ম্যানচেস্টার সিটির। শক্তিমত্তায় অনেক এগিয়ে থাকা দলটিকে হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা তুলে নিল ক্রিস্টাল প্যালেস।
শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে ১-০ গোলে জয় পায় প্যালেস। ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এবেরেচি এজে।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় এর আগে দুবার ফাইনালে উঠেছিল প্যালেস, দুবারই স্বপ্নভঙ্গ ঘটেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এবার ম্যানচেস্টারের আরেক দলকে হারিয়ে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় কোনো শিরোপা জিতল তারা।
পুরো ম্যাচে সিটির বল দখলের হার ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। তারা গোলের উদ্দেশ্যে ২৩টি শট নেয়, যার ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, প্যালেস সাতটি শটের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে রেখে একটিতে সফল হয়।
এজে গোল করলেও, ম্যাচজুড়ে অসাধারণ সেভ করে সিটির পথ আটকে দেওয়ায় ডিন হেন্ডারসনের ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
শুরু থেকেই একচেটিয়া পজেশন নিয়ে খেলা শুরু করে সিটি। ষষ্ঠ মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনের বাড়ানো বলে হলান্ড পা লাগালেও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি।
প্রথম ১৫ মিনিটে সিটির দখলে ছিল ৮৫ শতাংশ বল। তাদের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল প্যালেস। কিন্তু ষোড়শ মিনিটে প্রথম প্রতি-আক্রমণে গিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় তারা। ডান দিক থেকে দানিয়েল মুনোসের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ভলিতে গোল করেন এজে।
গোল হজম করে হতভম্ব হয়ে পড়েন সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। পাঁচ মিনিট পর আরও একটি পাল্টা আক্রমণে মুনোস বল বাড়ালেও ইসমাইলা সার গোলরক্ষকের হাতে সহজেই তুলে দেন।
৩৩তম মিনিটে সিটি পায় পেনাল্টির সুযোগ, যখন বের্নার্দো সিলভা ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন। শুরুতে হলান্ড প্রস্তুতি নিলেও পরে বল তুলে দেন ওমার মার্মাউশের হাতে। তার নেওয়া শট রুখে দেন হেন্ডারসন। ফিরতি বলেও হলান্ড গোল করতে ব্যর্থ হন।
৪৩তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে জেরেমি ডোকুর নেয়া জোরালো শটও দুর্দান্ত সেভে ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন।
৫৭তম মিনিটে মুনোস গোল করলেও, ভিএআরের সহায়তায় অফসাইড ধরা পড়ায় গোল বাতিল হয়।
শেষ সময় পর্যন্ত আক্রমণের ধারা বজায় রাখে সিটি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডে ব্রুইনের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। এরপর আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন হেন্ডারসন।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই প্যালেস গ্যালারি উল্লাসে ফেটে পড়ে, আর সিটির অংশে নেমে আসে নীরবতা।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
হতাশা আর ব্যর্থতায় ভরা একটি মৌসুমে আরও একবার ছন্দপতন ঘটল ম্যানচেস্টার সিটির। শক্তিমত্তায় অনেক এগিয়ে থাকা দলটিকে হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা তুলে নিল ক্রিস্টাল প্যালেস।
শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে ১-০ গোলে জয় পায় প্যালেস। ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এবেরেচি এজে।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় এর আগে দুবার ফাইনালে উঠেছিল প্যালেস, দুবারই স্বপ্নভঙ্গ ঘটেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এবার ম্যানচেস্টারের আরেক দলকে হারিয়ে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় কোনো শিরোপা জিতল তারা।
পুরো ম্যাচে সিটির বল দখলের হার ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। তারা গোলের উদ্দেশ্যে ২৩টি শট নেয়, যার ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, প্যালেস সাতটি শটের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে রেখে একটিতে সফল হয়।
এজে গোল করলেও, ম্যাচজুড়ে অসাধারণ সেভ করে সিটির পথ আটকে দেওয়ায় ডিন হেন্ডারসনের ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
শুরু থেকেই একচেটিয়া পজেশন নিয়ে খেলা শুরু করে সিটি। ষষ্ঠ মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনের বাড়ানো বলে হলান্ড পা লাগালেও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি।
প্রথম ১৫ মিনিটে সিটির দখলে ছিল ৮৫ শতাংশ বল। তাদের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল প্যালেস। কিন্তু ষোড়শ মিনিটে প্রথম প্রতি-আক্রমণে গিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় তারা। ডান দিক থেকে দানিয়েল মুনোসের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ভলিতে গোল করেন এজে।
গোল হজম করে হতভম্ব হয়ে পড়েন সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। পাঁচ মিনিট পর আরও একটি পাল্টা আক্রমণে মুনোস বল বাড়ালেও ইসমাইলা সার গোলরক্ষকের হাতে সহজেই তুলে দেন।
৩৩তম মিনিটে সিটি পায় পেনাল্টির সুযোগ, যখন বের্নার্দো সিলভা ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন। শুরুতে হলান্ড প্রস্তুতি নিলেও পরে বল তুলে দেন ওমার মার্মাউশের হাতে। তার নেওয়া শট রুখে দেন হেন্ডারসন। ফিরতি বলেও হলান্ড গোল করতে ব্যর্থ হন।
৪৩তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে জেরেমি ডোকুর নেয়া জোরালো শটও দুর্দান্ত সেভে ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন।
৫৭তম মিনিটে মুনোস গোল করলেও, ভিএআরের সহায়তায় অফসাইড ধরা পড়ায় গোল বাতিল হয়।
শেষ সময় পর্যন্ত আক্রমণের ধারা বজায় রাখে সিটি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডে ব্রুইনের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। এরপর আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন হেন্ডারসন।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই প্যালেস গ্যালারি উল্লাসে ফেটে পড়ে, আর সিটির অংশে নেমে আসে নীরবতা।