পার্ক দ্যা প্রিন্সেসে প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটি সমর্থকদের আশা জাগিয়েছিলো। তবে তাদের ক্ষণিকের আনন্দে ভাসিয়ে তা আর দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেনি। আবারো হেরেছে ম্যানসিটি।
মঙ্গলবার রাতের বেনফিকার বিরুদ্ধে বার্সেলোনার মতো প্রত্যার্বতনের গল্প লিখে ২-০ তে পিছিয়ে পরেও ম্যাচ জিতেছে পিএসজি। ফলে শেষ ষোলোর প্লে অফে খেলার আশা বেঁচে রইলো তাদের।
এই পরাজয়ের ফলে প্রিমিয়ার লিগে শেষ কয়েকটি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা হার অব্যাহত রেখেছে ম্যানচেষ্টারের রাজারা। আজকের পরাজয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার প্রবল আশংঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে ক্লাবটি। রাউন্ড অফ সিক্সটিনের প্লে অফে টিকে থাকতে হলে শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে ২০২২-২৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা রাজাদের।
এদিন ম্যাচের শুরুতে তুমুল আক্রমণ সাজিয়ে কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল পিএসজি। কিন্তু গোলরক্ষক এদারসনের কল্যানে বেঁচে যায় ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যাচের ১৩ মিনিটের সময় সিটির কেবিন ডি ব্রুইনার বুলেট গতির শট গোল মুখ থেকে ফিরিয়ে দেয় পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণে দু’দল খেলছিলো চোখ ধাঁধানো ফুটবল।
ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য গোল পায়নি পিএসজি। এবার ম্যানসিটি ডিফেন্ডার ইস্কো গাভারদিওল গোল মুখ থেকে বল ফিরিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে দেন দলকে।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে আশরাফ হাকিমি সিটির জাল খুঁজে পেলেও রেফারি ভিআরের সহায়তায় জানিয়ে দেন অফসাইডে ছিলেন হাকিমি।
প্রথমার্ধে কোন দলই গোল আদায় করতে না পেরে বিরতিতে যায়। তবে খেলা হয়েছে চোখ ধাঁধানো।
ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় সিটির জ্যাক গ্রিলিশ গোল করেন। পিএসজির গোলকিপার বল ফিরিয়ে দিলেও ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে গোল করেন সাভিনিওর জায়গায় বদলি নামা জ্যাক গ্রিলিশ।
এই গোলের ৩ মিনিট পর গোল করেন আর্লিং হ্যালান্ড। ফাঁকায় দাঁড়ানো আলিং হাল্যান্ডের পায়ে বল আসলে তিনি ৫৩ মিনিটে নিখুঁত গোল করেন। ২-০ তে পিছিয়ে পরার পর অনেকেই ভেবেছিলো পিএসজি হয়তো ম্যাচটি হারতে যাচ্ছে।
৫৬ মিনিটের সময় পিএসজির বারকোলা বাম প্রান্ত থেকে দ্রুত গতিতে আক্রমণে উঠেন। গোল মুখে শিকারের আশায় ওৎ পেতে থাকা উসমান দেম্বেলের দিকে বল বাড়ান।মাটি কামড়ানো শটে দেম্বেলে গোল করলে ২-১ ব্যবধান কমায় পিএসজি।
৬০ মিনিটের সময় ডিজরের শট বার পোস্ট থেকে ফিরে আসলে দলের প্রথম গোলে এসিস্ট করা বারকোলা গোল করেন। ২-২ গোলে সমতায় ফিরে পিএসজি।
৪ মিনিটে ২ গোল হজম করে ভেঙে পরে সিটির পুরো ডিফেন্স লাইন।হতাশায় ভোগা সিটির অর্ধে আক্রমণের ঢেউ তুলে পিএসজি। ম্যাচের ৭৮ মিনিটের সময় ভিতিনার বাড়ানো বলে জোয়াও নাভাস দূর্দান্ত হেডে গোল করে ৩-২ এগিয়ে দেয় পিএসজিকে।
এরপর প্রবলভাবে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও সফল হয়নি সিটি। পিএসজিও ছাড় দেয়নি। ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে তৃতীয় মিনিটে পিএসজির গনসালো রামোস আরেকটি গোল করলে ৪-২ হেরে ম্যাচ শেষ করে ম্যানচেষ্টারের রাজারা।
মৌসুমের শুরুতে যা অকল্পনীয় ছিলো এখন সেই শঙ্কাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও কোচ পেপ গুয়ার্দিওলাকে — এই পরাজয়ের পর সিটি কী এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে উঠতে পারবে! প্রথম ৮ দলের মধ্যে থেকে শেষ ষোলোতে যাবার আশা তো অনেক আগেই শেষ। এখন প্লে অফে খেলার আশাও এখন ঝুলে গেলো।
নতুন আঙ্গিকের ৩৬ দলের আসরে শীর্ষ আট দল সরাসরি যাবে শেষ ষোলোয়। নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে শেষ ষোলোর বাকি আট দলের মধ্যে জায়গা করে নিতে।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে সবশেষ চার ম্যাচে জয়হীন ম্যানসিটি; হেরেছে ৩ ম্যাচ। ৭ ম্যাচে ২ জয় ও ২ ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ২৫তম স্থানে নেমে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় এখন তারা। এখন পরিষ্কার হিসাব, প্লে–অফ পর্বে উঠতে আগামী বুধবার ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে গার্দিওলার দলকে। জয় ছাড়া অন্য যে কোনো ফলেই বিদায় নিতে হবে ইংলিশ ক্লাবটিকে।
আর এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ২৬ নাম্বার থেকে ২২এ উঠে প্লে অফ খেলার আশায় বড় হাওয়া লাগলো পিএসজির। তাদের ম্যাচ বাকি আর একটি।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
পার্ক দ্যা প্রিন্সেসে প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটি সমর্থকদের আশা জাগিয়েছিলো। তবে তাদের ক্ষণিকের আনন্দে ভাসিয়ে তা আর দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেনি। আবারো হেরেছে ম্যানসিটি।
মঙ্গলবার রাতের বেনফিকার বিরুদ্ধে বার্সেলোনার মতো প্রত্যার্বতনের গল্প লিখে ২-০ তে পিছিয়ে পরেও ম্যাচ জিতেছে পিএসজি। ফলে শেষ ষোলোর প্লে অফে খেলার আশা বেঁচে রইলো তাদের।
এই পরাজয়ের ফলে প্রিমিয়ার লিগে শেষ কয়েকটি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা হার অব্যাহত রেখেছে ম্যানচেষ্টারের রাজারা। আজকের পরাজয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার প্রবল আশংঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে ক্লাবটি। রাউন্ড অফ সিক্সটিনের প্লে অফে টিকে থাকতে হলে শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে ২০২২-২৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা রাজাদের।
এদিন ম্যাচের শুরুতে তুমুল আক্রমণ সাজিয়ে কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল পিএসজি। কিন্তু গোলরক্ষক এদারসনের কল্যানে বেঁচে যায় ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যাচের ১৩ মিনিটের সময় সিটির কেবিন ডি ব্রুইনার বুলেট গতির শট গোল মুখ থেকে ফিরিয়ে দেয় পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণে দু’দল খেলছিলো চোখ ধাঁধানো ফুটবল।
ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য গোল পায়নি পিএসজি। এবার ম্যানসিটি ডিফেন্ডার ইস্কো গাভারদিওল গোল মুখ থেকে বল ফিরিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে দেন দলকে।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে আশরাফ হাকিমি সিটির জাল খুঁজে পেলেও রেফারি ভিআরের সহায়তায় জানিয়ে দেন অফসাইডে ছিলেন হাকিমি।
প্রথমার্ধে কোন দলই গোল আদায় করতে না পেরে বিরতিতে যায়। তবে খেলা হয়েছে চোখ ধাঁধানো।
ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় সিটির জ্যাক গ্রিলিশ গোল করেন। পিএসজির গোলকিপার বল ফিরিয়ে দিলেও ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে গোল করেন সাভিনিওর জায়গায় বদলি নামা জ্যাক গ্রিলিশ।
এই গোলের ৩ মিনিট পর গোল করেন আর্লিং হ্যালান্ড। ফাঁকায় দাঁড়ানো আলিং হাল্যান্ডের পায়ে বল আসলে তিনি ৫৩ মিনিটে নিখুঁত গোল করেন। ২-০ তে পিছিয়ে পরার পর অনেকেই ভেবেছিলো পিএসজি হয়তো ম্যাচটি হারতে যাচ্ছে।
৫৬ মিনিটের সময় পিএসজির বারকোলা বাম প্রান্ত থেকে দ্রুত গতিতে আক্রমণে উঠেন। গোল মুখে শিকারের আশায় ওৎ পেতে থাকা উসমান দেম্বেলের দিকে বল বাড়ান।মাটি কামড়ানো শটে দেম্বেলে গোল করলে ২-১ ব্যবধান কমায় পিএসজি।
৬০ মিনিটের সময় ডিজরের শট বার পোস্ট থেকে ফিরে আসলে দলের প্রথম গোলে এসিস্ট করা বারকোলা গোল করেন। ২-২ গোলে সমতায় ফিরে পিএসজি।
৪ মিনিটে ২ গোল হজম করে ভেঙে পরে সিটির পুরো ডিফেন্স লাইন।হতাশায় ভোগা সিটির অর্ধে আক্রমণের ঢেউ তুলে পিএসজি। ম্যাচের ৭৮ মিনিটের সময় ভিতিনার বাড়ানো বলে জোয়াও নাভাস দূর্দান্ত হেডে গোল করে ৩-২ এগিয়ে দেয় পিএসজিকে।
এরপর প্রবলভাবে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও সফল হয়নি সিটি। পিএসজিও ছাড় দেয়নি। ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে তৃতীয় মিনিটে পিএসজির গনসালো রামোস আরেকটি গোল করলে ৪-২ হেরে ম্যাচ শেষ করে ম্যানচেষ্টারের রাজারা।
মৌসুমের শুরুতে যা অকল্পনীয় ছিলো এখন সেই শঙ্কাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও কোচ পেপ গুয়ার্দিওলাকে — এই পরাজয়ের পর সিটি কী এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে উঠতে পারবে! প্রথম ৮ দলের মধ্যে থেকে শেষ ষোলোতে যাবার আশা তো অনেক আগেই শেষ। এখন প্লে অফে খেলার আশাও এখন ঝুলে গেলো।
নতুন আঙ্গিকের ৩৬ দলের আসরে শীর্ষ আট দল সরাসরি যাবে শেষ ষোলোয়। নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে শেষ ষোলোর বাকি আট দলের মধ্যে জায়গা করে নিতে।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে সবশেষ চার ম্যাচে জয়হীন ম্যানসিটি; হেরেছে ৩ ম্যাচ। ৭ ম্যাচে ২ জয় ও ২ ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ২৫তম স্থানে নেমে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় এখন তারা। এখন পরিষ্কার হিসাব, প্লে–অফ পর্বে উঠতে আগামী বুধবার ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে গার্দিওলার দলকে। জয় ছাড়া অন্য যে কোনো ফলেই বিদায় নিতে হবে ইংলিশ ক্লাবটিকে।
আর এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ২৬ নাম্বার থেকে ২২এ উঠে প্লে অফ খেলার আশায় বড় হাওয়া লাগলো পিএসজির। তাদের ম্যাচ বাকি আর একটি।