চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
অলিভার জিরুদের দ্বিতীয়ার্ধে করা গোলে ইংলিশ দল চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগ ম্যাচে স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে দিয়েছে। প্রথম লেগে হেরে যাওয়ায় দিয়েগো সিমেওনির অ্যাটলেটিকোর পক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা কঠিন হয়ে গেল। কোভিড-১৯ এর কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় ম্যাচটি হয় হাঙ্গেরির রাজধানী বুখারেস্টে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে একেবার হতাশাজনক পারফরমেন্স করে অ্যাটলেটিকো। তারা পুরো ম্যাচে একবারও প্রতিপক্ষের পোস্টে শট রাখতে পারেনি। অপর দিকে অপেক্ষাকৃত ভাল খেলে জয় ছিনিয়ে নেয় টমাস টুখেলের শীষ্যরা। জিরুদ ওভারহেড কিকে দর্শনীয় গোল করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে দেন। যদিও গোলের প্রথম সুযোগটি সৃষ্টি করেছিল অ্যাটলেটিকোই। চেলসির সীমানায় বল পেয়ে লুইস সুয়ারেজ ক্রস করেছিলেন গোল মুখে। কিন্তু থমাস লেমার তাতে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হন। তখন বলতে গেলের চেলসির পোস্ট ছিল অনেকটাই অরক্ষিত। পুরো ম্যাচে সুয়ারেজ ঐ একটি সুযোগই করতে পেরেছিলেন। বাকি সময়ে তিনি বলার মতো কিছুই করতে পারেননি।
অপর দিকে বলের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারলে চেলসি বার বার অ্যাটলেটিকোর রক্ষণভাগে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছিল। প্রথম ৪৫ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক ইয়ান ওব্ল্যাককে তেমন কোন পরীক্ষাই দিতে হয়নি। বিরতির আগে সুয়ারেজ একটি ৫০-৫০ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু চেলসির গোলরক্ষককে পরাস্ত করার মতো পরিস্থিতি তিনি তৈরী করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলাও একই ভাবে এগিয়ে চলছিল। বল দখলে চেলসি এগিয়ে থাকলেও গোল করার মতো সুযোগ তারা তৈরী করতে পারছিলনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাটলেটিকোর রক্ষণভাগ সেগুলো প্রতিহত করে দেয়। অবশেষে জিরুদ উড়ে আসা একট্রি বলে ওভারহেড কিক করে পরাস্ত করেন ওব্ল্যাককে। প্রাথমিকভাবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেয়া হয়েছিল। পরে ভিএআর দেখে রেফারি নিশ্চিত হন বলটি জিরুদের কাছে যাওয়ার আগে অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড় হারমোসোর স্পর্শ লেগেছিল। এর ফলে অফসাইডের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে গোল ঘোষণা করেন রেফারি। গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে অ্যাটলেটিকো। খেলোয়াড় পরিবর্তণ করেন কোচ। কিন্তু কোন কিছুতেই লাভ হয়নি। তাদেরকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। আগামী মাসে ফিরতি লেগে ঘুরে দাড়ানোর সুযোগ পাবে অ্যাটলেটিকো। সে ম্যাচে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে পারলে উঠে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তা নাহলে আরও একবার শূন্য হাতে বিদায় নিতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
অলিভার জিরুদের দ্বিতীয়ার্ধে করা গোলে ইংলিশ দল চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগ ম্যাচে স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে দিয়েছে। প্রথম লেগে হেরে যাওয়ায় দিয়েগো সিমেওনির অ্যাটলেটিকোর পক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা কঠিন হয়ে গেল। কোভিড-১৯ এর কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় ম্যাচটি হয় হাঙ্গেরির রাজধানী বুখারেস্টে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে একেবার হতাশাজনক পারফরমেন্স করে অ্যাটলেটিকো। তারা পুরো ম্যাচে একবারও প্রতিপক্ষের পোস্টে শট রাখতে পারেনি। অপর দিকে অপেক্ষাকৃত ভাল খেলে জয় ছিনিয়ে নেয় টমাস টুখেলের শীষ্যরা। জিরুদ ওভারহেড কিকে দর্শনীয় গোল করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে দেন। যদিও গোলের প্রথম সুযোগটি সৃষ্টি করেছিল অ্যাটলেটিকোই। চেলসির সীমানায় বল পেয়ে লুইস সুয়ারেজ ক্রস করেছিলেন গোল মুখে। কিন্তু থমাস লেমার তাতে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হন। তখন বলতে গেলের চেলসির পোস্ট ছিল অনেকটাই অরক্ষিত। পুরো ম্যাচে সুয়ারেজ ঐ একটি সুযোগই করতে পেরেছিলেন। বাকি সময়ে তিনি বলার মতো কিছুই করতে পারেননি।
অপর দিকে বলের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারলে চেলসি বার বার অ্যাটলেটিকোর রক্ষণভাগে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছিল। প্রথম ৪৫ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক ইয়ান ওব্ল্যাককে তেমন কোন পরীক্ষাই দিতে হয়নি। বিরতির আগে সুয়ারেজ একটি ৫০-৫০ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু চেলসির গোলরক্ষককে পরাস্ত করার মতো পরিস্থিতি তিনি তৈরী করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলাও একই ভাবে এগিয়ে চলছিল। বল দখলে চেলসি এগিয়ে থাকলেও গোল করার মতো সুযোগ তারা তৈরী করতে পারছিলনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাটলেটিকোর রক্ষণভাগ সেগুলো প্রতিহত করে দেয়। অবশেষে জিরুদ উড়ে আসা একট্রি বলে ওভারহেড কিক করে পরাস্ত করেন ওব্ল্যাককে। প্রাথমিকভাবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেয়া হয়েছিল। পরে ভিএআর দেখে রেফারি নিশ্চিত হন বলটি জিরুদের কাছে যাওয়ার আগে অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড় হারমোসোর স্পর্শ লেগেছিল। এর ফলে অফসাইডের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে গোল ঘোষণা করেন রেফারি। গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে অ্যাটলেটিকো। খেলোয়াড় পরিবর্তণ করেন কোচ। কিন্তু কোন কিছুতেই লাভ হয়নি। তাদেরকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। আগামী মাসে ফিরতি লেগে ঘুরে দাড়ানোর সুযোগ পাবে অ্যাটলেটিকো। সে ম্যাচে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে পারলে উঠে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তা নাহলে আরও একবার শূন্য হাতে বিদায় নিতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে।