স্পেনিশ লা লিগা
পিছিয়ে পড়েও শেষ দিকে করিম বেনজামার জোড়া গোলের সাহায্যে রিয়াল মাদ্রিদ শনিবার নিজেদের মাঠে এলচেকে পরাজিত করে স্পেনিশ লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে। ম্যাচের শুরু থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল খেলা রিয়াল মাদ্রিদ খেলার এক ঘন্টার সময়ে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। এর পর চাপ আরও বাড়িয়ে দুই গোল আদায় করে নেয় জিনেদিন জিদান বাহিনী। দুটি গোলই করেন করিম বেনজামা। হেডে প্রথম গোল করে সমতা ফেরানোর পর ইনজুরি টাইমে ভলির সাহায্যে জয়সূচক গোলটি করেন এ ফরাসী।
রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের দিনে গেটাফের সাথে গোলশূন্য ড্র করে আবারও পয়েন্ট নষ্ট করেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এ ম্যাচটি ড্র করায় ২৭ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ হয়েছে ৬৩ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে রিয়ালের সংগ্রহ ৫৭। বার্সেলোনা এক ম্যাচ কম খেলে সংগ্রহ করেছে ৫৬ পয়েন্ট। রবিবার তারা নিজেদের ম্যাচে জিতলে ব্যবধান কমে চার হবে।
এ ম্যাচ দিয়েই আবার মাঠে ফিরেছেন অধিনায়ক সার্জিও র্যামোস। সেন্টার ডিফেন্ডার হিসেবে তিনি খেলেন রাফায়েল ভারানের সাথে। এছাড়া নাচো খেলেন রাইটব্যাক হিসেবে। ফারল্যান্ড মেন্ডি একাদশে থাকলেও শুরুর দিকে তিনি মিডফিল্ডেই খেলেছেন। অর্থাৎ রিয়াল এ ম্যাচটি শুরু করেছিল ৩-৪-৩ ফর্মেশনে। গোল খাওয়ার পর অবশ্য তারা আগের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে ফিরে যায় এবং দুই গোল করে ম্যাচ জেতে। এম্যাচে শেষ দিকে ১৫ মিনিট খেলার সুযোগ পান ইডেন হ্যাজার্ড। তবে তিনি বলার মতো কিছুই করতে পারেননি। বরং তার আগে খেলতে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই বেশী কার্যকর ছিলেন।
র্যামোস দুইবার বিতর্কের সাথে জড়িয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে এলচের পেনাল্টি বক্সে ইভান মারকনির সাথে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে গিয়ে পেনাল্টির দাবী করেন তিনি। যদিও রেফারি তার বিপক্ষেই ফাউলের বাশি বাজিয়েছেন। নিজেদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে তিনি বল দখলের লড়াইয়ে ফাউল করেছিলেন। অবশ্য তার আগে রেফারি অফসাইডের বাশি বাজালে রক্ষা পায় রিয়াল। তা নাহলে সেটি পেনাল্টি হতে পারতো এলচের পক্ষে।
দানি কালভো কর্নার কিক থেকে হেডে গোল করে এগিয়ে দেন এলচেকে। ৬০ মিনিটে এ গোলের পরই কোচ জিদান মাঠে নামান একসাথে তিন খেলোয়াড়কে। টনি ক্রুস, লুকা মড্রিচ এবং রড্রিগোকে মাঠে নামান। তখন তিনি র্যামোসকে তুলে নেন। লুকাস ভাজকে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলেন এবং নাচো খেলেন সেন্টার ডিফেন্ডার হিসেবে। মেন্ডি ফিরে যান তার লেফট ব্যাক পজিশনে। এ পরিবর্তন বেশ কাজে দেয়। ৭৩ মিনিটে লুকা মড্রিচের ক্রসে মাথা লাগিয়ে সমতা ফেরান করিম বেনজামা। তার আগে অবশ্য বেনজামা অন্তত তিনবার দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ নষ্ট করেন। এর মধ্যে ভিনিসিয়ুসের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি বাইরে মারেন। সমতা ফেরানোর উজ্জীবিত হয়ে ওঠে রিয়াল এবং ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোলটি করতে সমর্থ হয় তারা। রড্রিগোর ক্রস ভলি মেরে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন বেনজামা।
স্পেনিশ লা লিগা
রোববার, ১৪ মার্চ ২০২১
পিছিয়ে পড়েও শেষ দিকে করিম বেনজামার জোড়া গোলের সাহায্যে রিয়াল মাদ্রিদ শনিবার নিজেদের মাঠে এলচেকে পরাজিত করে স্পেনিশ লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে। ম্যাচের শুরু থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল খেলা রিয়াল মাদ্রিদ খেলার এক ঘন্টার সময়ে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। এর পর চাপ আরও বাড়িয়ে দুই গোল আদায় করে নেয় জিনেদিন জিদান বাহিনী। দুটি গোলই করেন করিম বেনজামা। হেডে প্রথম গোল করে সমতা ফেরানোর পর ইনজুরি টাইমে ভলির সাহায্যে জয়সূচক গোলটি করেন এ ফরাসী।
রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের দিনে গেটাফের সাথে গোলশূন্য ড্র করে আবারও পয়েন্ট নষ্ট করেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এ ম্যাচটি ড্র করায় ২৭ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ হয়েছে ৬৩ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে রিয়ালের সংগ্রহ ৫৭। বার্সেলোনা এক ম্যাচ কম খেলে সংগ্রহ করেছে ৫৬ পয়েন্ট। রবিবার তারা নিজেদের ম্যাচে জিতলে ব্যবধান কমে চার হবে।
এ ম্যাচ দিয়েই আবার মাঠে ফিরেছেন অধিনায়ক সার্জিও র্যামোস। সেন্টার ডিফেন্ডার হিসেবে তিনি খেলেন রাফায়েল ভারানের সাথে। এছাড়া নাচো খেলেন রাইটব্যাক হিসেবে। ফারল্যান্ড মেন্ডি একাদশে থাকলেও শুরুর দিকে তিনি মিডফিল্ডেই খেলেছেন। অর্থাৎ রিয়াল এ ম্যাচটি শুরু করেছিল ৩-৪-৩ ফর্মেশনে। গোল খাওয়ার পর অবশ্য তারা আগের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে ফিরে যায় এবং দুই গোল করে ম্যাচ জেতে। এম্যাচে শেষ দিকে ১৫ মিনিট খেলার সুযোগ পান ইডেন হ্যাজার্ড। তবে তিনি বলার মতো কিছুই করতে পারেননি। বরং তার আগে খেলতে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই বেশী কার্যকর ছিলেন।
র্যামোস দুইবার বিতর্কের সাথে জড়িয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে এলচের পেনাল্টি বক্সে ইভান মারকনির সাথে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে গিয়ে পেনাল্টির দাবী করেন তিনি। যদিও রেফারি তার বিপক্ষেই ফাউলের বাশি বাজিয়েছেন। নিজেদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে তিনি বল দখলের লড়াইয়ে ফাউল করেছিলেন। অবশ্য তার আগে রেফারি অফসাইডের বাশি বাজালে রক্ষা পায় রিয়াল। তা নাহলে সেটি পেনাল্টি হতে পারতো এলচের পক্ষে।
দানি কালভো কর্নার কিক থেকে হেডে গোল করে এগিয়ে দেন এলচেকে। ৬০ মিনিটে এ গোলের পরই কোচ জিদান মাঠে নামান একসাথে তিন খেলোয়াড়কে। টনি ক্রুস, লুকা মড্রিচ এবং রড্রিগোকে মাঠে নামান। তখন তিনি র্যামোসকে তুলে নেন। লুকাস ভাজকে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলেন এবং নাচো খেলেন সেন্টার ডিফেন্ডার হিসেবে। মেন্ডি ফিরে যান তার লেফট ব্যাক পজিশনে। এ পরিবর্তন বেশ কাজে দেয়। ৭৩ মিনিটে লুকা মড্রিচের ক্রসে মাথা লাগিয়ে সমতা ফেরান করিম বেনজামা। তার আগে অবশ্য বেনজামা অন্তত তিনবার দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ নষ্ট করেন। এর মধ্যে ভিনিসিয়ুসের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি বাইরে মারেন। সমতা ফেরানোর উজ্জীবিত হয়ে ওঠে রিয়াল এবং ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোলটি করতে সমর্থ হয় তারা। রড্রিগোর ক্রস ভলি মেরে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন বেনজামা।