স্পেনিশ লা লিগা
ওসমানে ডেম্বেলের করা ৯০ মিনিটের গোলে বার্সেলোনা সোমবার নিজেদের মাঠে রিয়াল ভায়াদোলিদকে পরাজিত করে স্পেনিশ লা লিগার পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে। আগের দিন অ্যাটলেটিকো পয়েন্ট নষ্ট করায় এখন বার্সেলোনা মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে তৃতীয় স্থানে।
এ জয় বার্সেলোনাকে শিরোপার দাবীদার করে তুলেছে। অথচ মৌসুমের প্রথম দিকে তারা বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছিল। এখন ছন্দময় ফুটবল খেলছে তারা। আগামী শনিবার এলক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়ার আগে এ জয় তাদের জন্য বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এ ম্যাচে বার্সেলোনা প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও গোলের জন্য তাদেরকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাছাড়া রেফারির কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তও তাদের পক্ষে গেছে। সফরকারীরা শেষ ৭৯ মিনিটের পর থেকে খেলেছে দশ জন নিয়ে। ওসমানে ডেম্বেলেকে ফাউল করায় ওস্কার পালানোকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। কিন্তু মনে করা হয় রেফারি সিদ্ধান্তটি বেশ কঠিনই দিয়েছেন। এছাড়া জর্দি অ্যালবার হাতে একবার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল লাগলেও রেফারি পেনাল্টির বাশি বাজাননি। ভিএআর দেখে রেফারির মনে হয়েছে হ্যান্ডবল ইচ্ছাকৃত ছিলনা। তাই তিনি পেনাল্টি দেননি। তাছাড়া ডেম্বেলের গোলের কিছুক্ষণ আগে জর্দি অ্যালবা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেয়ার সময় ফাউল করলেও রেফারি সেটি এড়িয়ে যান। সেই আক্রমণ থেকেই গোলটি করে বার্সেলোনা। সব মিলিয়ে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়েই পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে ভায়াদোলিদ। স্পেনিশ সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী যদি চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা লিগ শিরোপা জিততে পারে তাহলে এ ম্যাচের রেফারিং নিয়ে অনেক কথাই হবে। বিশেষ করে অ্যাটলেটিকো এবং রিয়াল মাদ্রিদ এ ম্যাচের উদাহরন দিয়ে দাবী করবে যে বার্সেলোনা রেফারির সহায়তা নিয়ে শিরোপা জিতেছে।
ইনজুরি এবং কোভিড-১৯ এর কারণে ভায়াদোলিদ এ ম্যাচে ১২জন খেলোয়াড়কে পায়নি। খন্ডিত শক্তি নিয়ে খেলেও তারা বার্সেলোনার সাথে পাল্লা দিয়েছে। এমনকি সুযোগও সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না বলে কোন পয়েন্ট পায়নি। শুরুর দিকে কেনান কোড্রর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ভায়াদোলিদের লক্ষ্য ছিল যে কোন প্রকারেই হোক মেসিকে অকার্যর করে রাখা। সে লক্ষ্যে তারা সফল হয়েছে। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি মেসি। খেলায় বার্সেলোনার প্রাধান্য থাকলেও ছিল না জয়ী হওয়ার মরিয়া চেষ্টা। তাদের শারীরিক ভাষা ছিল ক্লান্তির। যদিও তারা দুই সপ্তাহ বিরতির পর নেমেছিল খেলতে।
বিরতির পর বার্সেলোনা আক্রমণের ধার বাড়ায়। কিন্তু ফল ছিল একই। পেনাল্টি বক্সের বাইরে গিয়েই তারা খেই হারিয়ে ফেলে। ভায়াদোলিদের রক্ষণভাগ কার্যকর ভাবে তাদের আক্রমণগুলো রুখে দেয়। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ভায়াদোলিদ। কেবল আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ভাল ফিনিশিংয়ের অভাবে তারা গোল পায়নি। এমনই একটি আক্রমণ থেকে পেনাল্টির দাবী তুলেছিল ভায়াদোলিদ। কিন্তু রেফারি সেটি গ্রাহ্য করেননি। তবে বার্সেলোনার পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি যায় ৭৯ মিনিটে। ডেম্বেলেকে পেছন থেকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখানো হয় পালানোকে। এর ফলে বাকি সময় একজন কম নিয়ে খেলে সফরকারীরা। সে সুযোগেই গোল করতে সমর্থ হয় বার্সেলোনা। আরাহোর পাস থেকে ভলির সাহায্যে ৯০ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করে ডেম্বেলে।
স্পেনিশ লা লিগা
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১
ওসমানে ডেম্বেলের করা ৯০ মিনিটের গোলে বার্সেলোনা সোমবার নিজেদের মাঠে রিয়াল ভায়াদোলিদকে পরাজিত করে স্পেনিশ লা লিগার পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে। আগের দিন অ্যাটলেটিকো পয়েন্ট নষ্ট করায় এখন বার্সেলোনা মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে তৃতীয় স্থানে।
এ জয় বার্সেলোনাকে শিরোপার দাবীদার করে তুলেছে। অথচ মৌসুমের প্রথম দিকে তারা বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছিল। এখন ছন্দময় ফুটবল খেলছে তারা। আগামী শনিবার এলক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়ার আগে এ জয় তাদের জন্য বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এ ম্যাচে বার্সেলোনা প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও গোলের জন্য তাদেরকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাছাড়া রেফারির কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তও তাদের পক্ষে গেছে। সফরকারীরা শেষ ৭৯ মিনিটের পর থেকে খেলেছে দশ জন নিয়ে। ওসমানে ডেম্বেলেকে ফাউল করায় ওস্কার পালানোকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। কিন্তু মনে করা হয় রেফারি সিদ্ধান্তটি বেশ কঠিনই দিয়েছেন। এছাড়া জর্দি অ্যালবার হাতে একবার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল লাগলেও রেফারি পেনাল্টির বাশি বাজাননি। ভিএআর দেখে রেফারির মনে হয়েছে হ্যান্ডবল ইচ্ছাকৃত ছিলনা। তাই তিনি পেনাল্টি দেননি। তাছাড়া ডেম্বেলের গোলের কিছুক্ষণ আগে জর্দি অ্যালবা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেয়ার সময় ফাউল করলেও রেফারি সেটি এড়িয়ে যান। সেই আক্রমণ থেকেই গোলটি করে বার্সেলোনা। সব মিলিয়ে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়েই পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে ভায়াদোলিদ। স্পেনিশ সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী যদি চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা লিগ শিরোপা জিততে পারে তাহলে এ ম্যাচের রেফারিং নিয়ে অনেক কথাই হবে। বিশেষ করে অ্যাটলেটিকো এবং রিয়াল মাদ্রিদ এ ম্যাচের উদাহরন দিয়ে দাবী করবে যে বার্সেলোনা রেফারির সহায়তা নিয়ে শিরোপা জিতেছে।
ইনজুরি এবং কোভিড-১৯ এর কারণে ভায়াদোলিদ এ ম্যাচে ১২জন খেলোয়াড়কে পায়নি। খন্ডিত শক্তি নিয়ে খেলেও তারা বার্সেলোনার সাথে পাল্লা দিয়েছে। এমনকি সুযোগও সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না বলে কোন পয়েন্ট পায়নি। শুরুর দিকে কেনান কোড্রর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ভায়াদোলিদের লক্ষ্য ছিল যে কোন প্রকারেই হোক মেসিকে অকার্যর করে রাখা। সে লক্ষ্যে তারা সফল হয়েছে। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি মেসি। খেলায় বার্সেলোনার প্রাধান্য থাকলেও ছিল না জয়ী হওয়ার মরিয়া চেষ্টা। তাদের শারীরিক ভাষা ছিল ক্লান্তির। যদিও তারা দুই সপ্তাহ বিরতির পর নেমেছিল খেলতে।
বিরতির পর বার্সেলোনা আক্রমণের ধার বাড়ায়। কিন্তু ফল ছিল একই। পেনাল্টি বক্সের বাইরে গিয়েই তারা খেই হারিয়ে ফেলে। ভায়াদোলিদের রক্ষণভাগ কার্যকর ভাবে তাদের আক্রমণগুলো রুখে দেয়। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ভায়াদোলিদ। কেবল আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ভাল ফিনিশিংয়ের অভাবে তারা গোল পায়নি। এমনই একটি আক্রমণ থেকে পেনাল্টির দাবী তুলেছিল ভায়াদোলিদ। কিন্তু রেফারি সেটি গ্রাহ্য করেননি। তবে বার্সেলোনার পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি যায় ৭৯ মিনিটে। ডেম্বেলেকে পেছন থেকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখানো হয় পালানোকে। এর ফলে বাকি সময় একজন কম নিয়ে খেলে সফরকারীরা। সে সুযোগেই গোল করতে সমর্থ হয় বার্সেলোনা। আরাহোর পাস থেকে ভলির সাহায্যে ৯০ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করে ডেম্বেলে।