চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
কাইলিয়ান এমবাপ্পে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একবার জ্বলে উঠে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে অসামান্য এক জয় এনে দিয়েছেন। বায়ার্নের মাঠে তার জোড়া গোলের সাহায্যে পিএসজি জিতেছে ৩-২ গোলে। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বার প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ওঠার পথে বেশ খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে ফরাসী ক্লাবটি। গত আসরের ফাইনালে বায়ার্নের কাছে ১-০ গোলে হেরে প্রথম শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল পিএসজি। বলা যায় এ ম্যাচ জিতে সে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে তারা। যদিও পিএসজির পুরো কাজ এখনো শেষ হয়নি। নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ফিরতি লেগের ম্যাচে ড্র করতে হবে। অথবা এক গোলের ব্যবধানে হারলেও তারাই উঠে যাবে সেমিফাইনালে।
২২ বছর বয়সী এমবাপ্পে আগের রাউন্ডে বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে দলকে তুলেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার করলেন জোড়া গোল। তিনি ম্যাচের প্রথম এবং শেষ গোলটি করেন। এ মাঝ খানে নিজ দলের মার্কিনহোস করেন একটি গোল। বায়ার্নের এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং এবং থমাস মুলার একটি করে গোল করেন। গত আসরের ফাইনালিস্ট দুই দলের ম্যাচ যে খুবই প্রতিদ্বনিদ্বতাপূর্ণ হবে তা আগেই ধারনা করা হয়েছিল, হয়েছেও তাই। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের প্রাধান্য থাকলেও গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল পিএসজি। এমবাপ্পে ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায়ই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এ গোলের জন্য অবশ্য বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের কিছুটা ব্যর্থতা রয়েছে। এমবাপ্পের শটটি তার ধরে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এমবাপ্পের শট সরাসরি নয়্যারের কাছে গেলেও তিনি তা ধরে রাখতে পারেননি। তার হাত ফসকে চলে যায় জালে। তার আগে অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিক বায়ার্ন। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লাগায়। পিএসজি ব্যবধান দ্বিগুন করে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে লম্বা পাসের বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বায়ার্নের অফ সাইড ফাদ এড়িয়ে গোলটি করেন মার্কিনহোস। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে বায়ার্ন। তারা সফলও হয়। ২৮ মিনিটে চুপো মোটিংয়ে গোল ব্যবধান কমায়। মোটি গত আগস্টে বায়ার্নে যোগ দেন পিএসজি থেকে। বিরতির সময় পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায় বায়ার্ন। তারা সফল হয় ৬০ মিনিটের মাথায়। এ সময়ে কিমিচের ফ্রি কিকে মাথা লাগিয়ে সমতা ফেরান মুলার। পিএসজি অবশ্য আবার এগিয়ে যেতে বেশী সময় নেয়নি। আট মিনিট পরই এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। তিনি বেশ খানিকটা দূর থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ডিফেন্ডার জেরম বোয়াটেংকে কাটিয়ে পোস্ট ঘেসে বল জালে পাঠান। বায়ার্ন আবার সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকে। তারা সুযোগও তৈরী করে কিন্তু কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি। খেলার একেবারে শেষ সময়ে বায়ার্ন একটি পেনাল্টির দাবী জানায়। কিংসলে কোম্যানে ক্রস পেনাল্টি বক্সের মধ্যে অ্যান্ডার হেরেরার হাতে লাগলে এ দাবী জানায় তারা। কিন্তু রেফারি অ্যান্টনিও ম্যাটু লাহোজ তা নাকচ করে দেন। রিপ্লেতেও দেখা গেছে যে রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন।
দুই দল আবার মুখোমুখি হবে মঙ্গলবার। ম্যাচটি হবে পিএসজির মাঠে। প্রতিপক্ষের মাঠে তিন গোল করা পিএসজি এক গোলে এগিয়ে থেকে খেলতে নামবে। যা তাদেরকে নিশ্চিতভাবেই বাড়তি সুবিধা দেবে। তবে বায়ার্ন প্রথম লেগে হারলেও যেভাবে লড়াই করেছে তাতে তাদেরকে এখনই বিদায় বলতে পারছে না মরিসিও পচেত্তিনোর দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১
কাইলিয়ান এমবাপ্পে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একবার জ্বলে উঠে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে অসামান্য এক জয় এনে দিয়েছেন। বায়ার্নের মাঠে তার জোড়া গোলের সাহায্যে পিএসজি জিতেছে ৩-২ গোলে। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বার প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ওঠার পথে বেশ খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে ফরাসী ক্লাবটি। গত আসরের ফাইনালে বায়ার্নের কাছে ১-০ গোলে হেরে প্রথম শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল পিএসজি। বলা যায় এ ম্যাচ জিতে সে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে তারা। যদিও পিএসজির পুরো কাজ এখনো শেষ হয়নি। নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ফিরতি লেগের ম্যাচে ড্র করতে হবে। অথবা এক গোলের ব্যবধানে হারলেও তারাই উঠে যাবে সেমিফাইনালে।
২২ বছর বয়সী এমবাপ্পে আগের রাউন্ডে বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে দলকে তুলেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার করলেন জোড়া গোল। তিনি ম্যাচের প্রথম এবং শেষ গোলটি করেন। এ মাঝ খানে নিজ দলের মার্কিনহোস করেন একটি গোল। বায়ার্নের এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং এবং থমাস মুলার একটি করে গোল করেন। গত আসরের ফাইনালিস্ট দুই দলের ম্যাচ যে খুবই প্রতিদ্বনিদ্বতাপূর্ণ হবে তা আগেই ধারনা করা হয়েছিল, হয়েছেও তাই। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের প্রাধান্য থাকলেও গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল পিএসজি। এমবাপ্পে ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায়ই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এ গোলের জন্য অবশ্য বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের কিছুটা ব্যর্থতা রয়েছে। এমবাপ্পের শটটি তার ধরে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এমবাপ্পের শট সরাসরি নয়্যারের কাছে গেলেও তিনি তা ধরে রাখতে পারেননি। তার হাত ফসকে চলে যায় জালে। তার আগে অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিক বায়ার্ন। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লাগায়। পিএসজি ব্যবধান দ্বিগুন করে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে লম্বা পাসের বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বায়ার্নের অফ সাইড ফাদ এড়িয়ে গোলটি করেন মার্কিনহোস। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে বায়ার্ন। তারা সফলও হয়। ২৮ মিনিটে চুপো মোটিংয়ে গোল ব্যবধান কমায়। মোটি গত আগস্টে বায়ার্নে যোগ দেন পিএসজি থেকে। বিরতির সময় পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায় বায়ার্ন। তারা সফল হয় ৬০ মিনিটের মাথায়। এ সময়ে কিমিচের ফ্রি কিকে মাথা লাগিয়ে সমতা ফেরান মুলার। পিএসজি অবশ্য আবার এগিয়ে যেতে বেশী সময় নেয়নি। আট মিনিট পরই এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। তিনি বেশ খানিকটা দূর থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ডিফেন্ডার জেরম বোয়াটেংকে কাটিয়ে পোস্ট ঘেসে বল জালে পাঠান। বায়ার্ন আবার সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকে। তারা সুযোগও তৈরী করে কিন্তু কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি। খেলার একেবারে শেষ সময়ে বায়ার্ন একটি পেনাল্টির দাবী জানায়। কিংসলে কোম্যানে ক্রস পেনাল্টি বক্সের মধ্যে অ্যান্ডার হেরেরার হাতে লাগলে এ দাবী জানায় তারা। কিন্তু রেফারি অ্যান্টনিও ম্যাটু লাহোজ তা নাকচ করে দেন। রিপ্লেতেও দেখা গেছে যে রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন।
দুই দল আবার মুখোমুখি হবে মঙ্গলবার। ম্যাচটি হবে পিএসজির মাঠে। প্রতিপক্ষের মাঠে তিন গোল করা পিএসজি এক গোলে এগিয়ে থেকে খেলতে নামবে। যা তাদেরকে নিশ্চিতভাবেই বাড়তি সুবিধা দেবে। তবে বায়ার্ন প্রথম লেগে হারলেও যেভাবে লড়াই করেছে তাতে তাদেরকে এখনই বিদায় বলতে পারছে না মরিসিও পচেত্তিনোর দল।