রিয়াল মাদ্রিদ তাদের শেষ দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ী হওয়ার আনন্দের মধ্যেই কোচ জিনেদিন জিদান সবার উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করার পর শনিবার লা লিগায় ২-১ গোলে তারা পরাজিত করেছে বার্সেলোনাকে। স্বাভাবিকভাবেই দলের সবাই বেশ খুশীতে আছেন। কিন্তু চিন্তায় আছেন কোচ জিদান। তিনি জানিয়েছেন দলের খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যেই তাদের শারীরিক সামর্থের শেষ প্রান্তে পৌছে গেছে। তাই তাদের একই ধারা বজায় রেখে খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হবে। খেলোয়াড়দের ক্লান্তির ছাপ দেখা গেছে খেলাতেও। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি কতটা ক্লান্তি অনুভব করছেন। লা লিগায় রিয়ালের এখনও খেলা বাকি আটটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল অবধি তাদের খেলতে হবে আরও চারটি ম্যাচ (যদি তারা ফাইনালে উঠতে পারে)। ২০০৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের একবার বিপর্যয় ঘটেছিল এমন ভাল অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও। আজকের কোচ জিদান তখন ছিলেন খেলোয়াড়। কার্লোস কুইরোজের অধীনে তারা ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তখন। কিন্তু এর পরই মৌসুমের শেষ দিকে একে দেখা দেয় বিপর্যয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মোনাকোর বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তারা সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল। এবার তারা প্রথম লেগে লিভারপুলের বিপক্ষে জিতেছে ৩-১ গোলে। সতর্ক না হলে এ অগ্রগামীতা তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে। ৬ এপ্রিল ২০০৪ সালের ম্যাচের পর রিয়ালের পারফরমেন্স নিয়ে কৌতুক করেছিল মোকানোর খেলোয়াড়রা। রিয়ালের খেলোয়াড়রা বিশ^াসই করতে পারছিলেন না যে মোনাকো তাদেরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে পারে। মোনাকোর কাছে সেই পরাজয় তাদের মনোবল একেবারে শেষ করে দেয়। কোপা দেল রেতে তারা হারে রিয়াল জারাগোজার বিপক্ষে। লিগে ধারাবাহিকভাবে খারাপ খেলার সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিগ শিরোপা জিতেছিল ভ্যালেন্সিয়া। সেবার দলের আটজন খেলোয়াড় পুরো মৌসুমে খেলেছিলন ৪০০০ মিনিটের বেশী সময়। দুই জন খেলেন ৩০০০ মিনিটের বেশী সময়। রিয়াল চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত খেলেছে ৪১টি ম্যাচ। ইনজুরির কারণে অনেক খেলোয়াড়কেই তিনি নিয়মিত দলে পাননি। দল এখন পর্যন্ত খেলেছে ৩৭২০ মিনিট। চার জন খেলোয়াড় তিন হাজার মিনিটের বেশী খেলে ফেলেছেন। দশজন খেলোয়াড় খেলেছেন দুই হাজার মিনিটের বেশী সময়। আর ২২ মিনিট খেললে নাচোর ২০০০ মিনিট খেলা হয়ে যাবে। তবে রিয়ালের খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা বজায় আছে। শেষ দিকে এটা খুবই দরকার। গত মৌসুমে অনেকটা পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও শেষ দিকে দারুন খেলে তারা লিগ শিরোপা জয় করেছিল। জিদান অভিজ্ঞ কোচ। তিনি জানেন কিভাবে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা আদায় করে নিতে হয়। তিনি চেষ্টা করবেন দলকে সব ধরনের নেতিবাচক অবস্থান হতে দূরে রাখতে। সেটা করতে পারলেও আরও একবার নিজ দলকে এনে দিতে পারবেন সর্বোচ্চ সাফল্য।
মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
রিয়াল মাদ্রিদ তাদের শেষ দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ী হওয়ার আনন্দের মধ্যেই কোচ জিনেদিন জিদান সবার উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করার পর শনিবার লা লিগায় ২-১ গোলে তারা পরাজিত করেছে বার্সেলোনাকে। স্বাভাবিকভাবেই দলের সবাই বেশ খুশীতে আছেন। কিন্তু চিন্তায় আছেন কোচ জিদান। তিনি জানিয়েছেন দলের খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যেই তাদের শারীরিক সামর্থের শেষ প্রান্তে পৌছে গেছে। তাই তাদের একই ধারা বজায় রেখে খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হবে। খেলোয়াড়দের ক্লান্তির ছাপ দেখা গেছে খেলাতেও। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি কতটা ক্লান্তি অনুভব করছেন। লা লিগায় রিয়ালের এখনও খেলা বাকি আটটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল অবধি তাদের খেলতে হবে আরও চারটি ম্যাচ (যদি তারা ফাইনালে উঠতে পারে)। ২০০৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের একবার বিপর্যয় ঘটেছিল এমন ভাল অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও। আজকের কোচ জিদান তখন ছিলেন খেলোয়াড়। কার্লোস কুইরোজের অধীনে তারা ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তখন। কিন্তু এর পরই মৌসুমের শেষ দিকে একে দেখা দেয় বিপর্যয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মোনাকোর বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তারা সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল। এবার তারা প্রথম লেগে লিভারপুলের বিপক্ষে জিতেছে ৩-১ গোলে। সতর্ক না হলে এ অগ্রগামীতা তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে। ৬ এপ্রিল ২০০৪ সালের ম্যাচের পর রিয়ালের পারফরমেন্স নিয়ে কৌতুক করেছিল মোকানোর খেলোয়াড়রা। রিয়ালের খেলোয়াড়রা বিশ^াসই করতে পারছিলেন না যে মোনাকো তাদেরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে পারে। মোনাকোর কাছে সেই পরাজয় তাদের মনোবল একেবারে শেষ করে দেয়। কোপা দেল রেতে তারা হারে রিয়াল জারাগোজার বিপক্ষে। লিগে ধারাবাহিকভাবে খারাপ খেলার সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিগ শিরোপা জিতেছিল ভ্যালেন্সিয়া। সেবার দলের আটজন খেলোয়াড় পুরো মৌসুমে খেলেছিলন ৪০০০ মিনিটের বেশী সময়। দুই জন খেলেন ৩০০০ মিনিটের বেশী সময়। রিয়াল চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত খেলেছে ৪১টি ম্যাচ। ইনজুরির কারণে অনেক খেলোয়াড়কেই তিনি নিয়মিত দলে পাননি। দল এখন পর্যন্ত খেলেছে ৩৭২০ মিনিট। চার জন খেলোয়াড় তিন হাজার মিনিটের বেশী খেলে ফেলেছেন। দশজন খেলোয়াড় খেলেছেন দুই হাজার মিনিটের বেশী সময়। আর ২২ মিনিট খেললে নাচোর ২০০০ মিনিট খেলা হয়ে যাবে। তবে রিয়ালের খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা বজায় আছে। শেষ দিকে এটা খুবই দরকার। গত মৌসুমে অনেকটা পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও শেষ দিকে দারুন খেলে তারা লিগ শিরোপা জয় করেছিল। জিদান অভিজ্ঞ কোচ। তিনি জানেন কিভাবে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা আদায় করে নিতে হয়। তিনি চেষ্টা করবেন দলকে সব ধরনের নেতিবাচক অবস্থান হতে দূরে রাখতে। সেটা করতে পারলেও আরও একবার নিজ দলকে এনে দিতে পারবেন সর্বোচ্চ সাফল্য।