সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল আবারো পরাজিত হলো বাংলাদেশ দলের কাছে। পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে গত মঙ্গলবার ২৩ রানের জয় পাওয়া টাইগাররা বুধবার অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অজিদের পরাজিত করেছে ৫ উইকেটে। এর মধ্য দিয়ে সিরিজে টাইগাররা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো, সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিরূদ্ধে টানা দুটো ম্যাচে পেলো জয়ের স্বাদ।
প্রথম ম্যাচের মতই দ্বিতীয় ম্যাচটাও ছিলো লো-স্কোরিং। পার্থক্য বলতে কেবল প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেিেছলো স্বাগতিক দল, আর দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে অজিরা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ম্যাচের মতই লড়াই হয়েছে দুই দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টের মধ্যে। এই লড়াইয়ে জয় হয়েছে বাংলাদেশেরই। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের তোলা ১৩১ রান টপকাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়াকে ১২১ রানে টাইগার বোলাররা আটকে দেয়ার পর বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মিছিলে দুই নবীন ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি গড়ার মধ্য দিয়ে অজি বোলিং ডিপার্টমেন্টকে পরাস্ত করার পাশাপাশি দলকে এনে দিয়েছেন পাঁচ উইকেটের জয়।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২১ রানের মধ্যে আটকে দেয়ার কাজটা শুরু করেছিলেন টাইগার স্পিনার । মেহেদী হাসান। তাকে দিয়েই বোলিং আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে তিনি দেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারেই আক্রমনে আসেন প্রথম ম্যাচের নায়ক নাসুম আহমেদ। দ্বিতীয় ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করাসহ তিনি দিয়েছেন ১২ রান। পরের ওভারে এসেই তৃতীয় বলে অ্যালেক্স ক্যারিকে (১১) নাসুম আহমেদের ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মেহেদী। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ৬ষ্ঠ ওভারে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। বোল্ড হনা জস ফিলিপ (১৪)। ৩১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো অজিরা মোয়েসে হেনরিক্স আর মিচেল মার্শের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। ৫২ বলে ৫৭ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হয় এই জুটি। ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করা হেনরিক্সকে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারকে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করায় বোল্ড হন হেনরিক্স।
অন্যপ্রান্তে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন মিচেল মার্শ। ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করা মার্শকে থামান শরীফুল ইসলাম। তার বলটি মার্শের ব্যাট ছুঁয়ে কিপার সোহানের গ্লাভসে জমা হয়। পরের সময়টাতে অজি ব্যাটসম্যানরা আর হাত খুলতে পারেননি। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজুর রহমান অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে (৪) বোল্ড করলে ১০৩ রানে পাঁচ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পরের বলেই অ্যাস্টন আগারকে (০) কট বিহাইন্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরী করেছিলেন মোস্তাফিজ। তবে বলটি ওয়াইড হয়ে যায়। পঞ্চম বলে কোনো রান আসেনি। টার্নারকে (৩) ফেরান শরীফুল। আর নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১২১ রান। ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার মোস্তাফিজুর রহমান।
জয়ের জন্য মাত্র ১২২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দলকে প্রথম ম্যাচের মতই শুরুতে বিপদে ফেলেন সৌম্য সরকার (০)। তিনি বোল্ড হন স্টার্কের বলে। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৯ রান। হতাশ করেছেন মোহাম্মদ নাইমও (৯)। সাকিবের সাথে তার জুটিটা ছিলো মাত্র ১২ রানের। হেইজেলউডের বল আঘাত করে নাইমের স্ট্যাম্পে। সাকিব-মেহেদির ৩৭ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন টাই। বোল্ড হন সাকিব (২৬)। দলীয় ৫৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো টাইগারদের স্কোরবোর্ডে আর মাত্র এক রান যোগ হতেই অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (০) বোল্ড হন অ্যাগারের বলে। অ্যাডাম জাম্পার বলে মেহেদি হাসান (২৩) উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন অ্যাডাম জাম্পার বলে।
দলীয় ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া টাইগারদের সেখান থেকে জয়ের বন্দরে পৌছানোর কাজটা সারেন দুই নবীন ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। দুইজনের ৫৬ রানের অপরাজিত জুটিতে ভর করে আট বল হাতে রেখেই বাংলাদেশ পায় পাঁচ উইকেটের জয়। তখন পাঁচ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩১ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত আফিফ, তার সঙ্গী উইকেটকিপার- ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানের নামের পাশে ২১ বলে তিন বাউন্ডারীতে অপরাজিত ২২ রান। ম্যাচ জেতানো ইনিংসটার জন্য সেরা খেলোয়াড়ের প্রাইজমানি জিতেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১
সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল আবারো পরাজিত হলো বাংলাদেশ দলের কাছে। পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে গত মঙ্গলবার ২৩ রানের জয় পাওয়া টাইগাররা বুধবার অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অজিদের পরাজিত করেছে ৫ উইকেটে। এর মধ্য দিয়ে সিরিজে টাইগাররা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো, সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিরূদ্ধে টানা দুটো ম্যাচে পেলো জয়ের স্বাদ।
প্রথম ম্যাচের মতই দ্বিতীয় ম্যাচটাও ছিলো লো-স্কোরিং। পার্থক্য বলতে কেবল প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেিেছলো স্বাগতিক দল, আর দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে অজিরা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ম্যাচের মতই লড়াই হয়েছে দুই দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টের মধ্যে। এই লড়াইয়ে জয় হয়েছে বাংলাদেশেরই। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের তোলা ১৩১ রান টপকাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়াকে ১২১ রানে টাইগার বোলাররা আটকে দেয়ার পর বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মিছিলে দুই নবীন ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি গড়ার মধ্য দিয়ে অজি বোলিং ডিপার্টমেন্টকে পরাস্ত করার পাশাপাশি দলকে এনে দিয়েছেন পাঁচ উইকেটের জয়।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২১ রানের মধ্যে আটকে দেয়ার কাজটা শুরু করেছিলেন টাইগার স্পিনার । মেহেদী হাসান। তাকে দিয়েই বোলিং আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে তিনি দেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারেই আক্রমনে আসেন প্রথম ম্যাচের নায়ক নাসুম আহমেদ। দ্বিতীয় ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করাসহ তিনি দিয়েছেন ১২ রান। পরের ওভারে এসেই তৃতীয় বলে অ্যালেক্স ক্যারিকে (১১) নাসুম আহমেদের ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মেহেদী। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ৬ষ্ঠ ওভারে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। বোল্ড হনা জস ফিলিপ (১৪)। ৩১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো অজিরা মোয়েসে হেনরিক্স আর মিচেল মার্শের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। ৫২ বলে ৫৭ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হয় এই জুটি। ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করা হেনরিক্সকে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারকে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করায় বোল্ড হন হেনরিক্স।
অন্যপ্রান্তে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন মিচেল মার্শ। ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করা মার্শকে থামান শরীফুল ইসলাম। তার বলটি মার্শের ব্যাট ছুঁয়ে কিপার সোহানের গ্লাভসে জমা হয়। পরের সময়টাতে অজি ব্যাটসম্যানরা আর হাত খুলতে পারেননি। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজুর রহমান অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে (৪) বোল্ড করলে ১০৩ রানে পাঁচ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পরের বলেই অ্যাস্টন আগারকে (০) কট বিহাইন্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরী করেছিলেন মোস্তাফিজ। তবে বলটি ওয়াইড হয়ে যায়। পঞ্চম বলে কোনো রান আসেনি। টার্নারকে (৩) ফেরান শরীফুল। আর নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১২১ রান। ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার মোস্তাফিজুর রহমান।
জয়ের জন্য মাত্র ১২২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দলকে প্রথম ম্যাচের মতই শুরুতে বিপদে ফেলেন সৌম্য সরকার (০)। তিনি বোল্ড হন স্টার্কের বলে। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৯ রান। হতাশ করেছেন মোহাম্মদ নাইমও (৯)। সাকিবের সাথে তার জুটিটা ছিলো মাত্র ১২ রানের। হেইজেলউডের বল আঘাত করে নাইমের স্ট্যাম্পে। সাকিব-মেহেদির ৩৭ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন টাই। বোল্ড হন সাকিব (২৬)। দলীয় ৫৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো টাইগারদের স্কোরবোর্ডে আর মাত্র এক রান যোগ হতেই অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (০) বোল্ড হন অ্যাগারের বলে। অ্যাডাম জাম্পার বলে মেহেদি হাসান (২৩) উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন অ্যাডাম জাম্পার বলে।
দলীয় ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া টাইগারদের সেখান থেকে জয়ের বন্দরে পৌছানোর কাজটা সারেন দুই নবীন ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। দুইজনের ৫৬ রানের অপরাজিত জুটিতে ভর করে আট বল হাতে রেখেই বাংলাদেশ পায় পাঁচ উইকেটের জয়। তখন পাঁচ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩১ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত আফিফ, তার সঙ্গী উইকেটকিপার- ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানের নামের পাশে ২১ বলে তিন বাউন্ডারীতে অপরাজিত ২২ রান। ম্যাচ জেতানো ইনিংসটার জন্য সেরা খেলোয়াড়ের প্রাইজমানি জিতেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।