চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বড় বড় তারকা খেলোয়াড় থাকলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা থাকে না। যার সর্বশেষ উদাহরণ প্যারিস সেন্ট জার্মেই। দলটিতে আগে থেকেই ছিলেন কাইলিয়ান এমবাপ্পে এবং নেইমার। এবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। তার পরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শীর্ষস্থান দখল করতে পারেনি তারা। বুধবার রাতে তারা হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। আগে গোল করেও তাদেরকে হারতে হয়েছে ম্যানসিটির টিম ওয়ার্কের কাছে। যদিও পিএসজির সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। তারা নক আউট পর্বে উঠেছে। এখন থেকে যদি তারা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নেয় তাহলে হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি তারা জিততেও পারে।
পিএসজির খেলায় একটি বিষয় বোঝা গেছে যে বল নিয়ে তারা ভয়ঙ্কর। কিন্তু বল বিহীন অবস্থায় তারকারা অনেকটাই নিস্ক্রিয় থাকেন। প্রতিপক্ষের আক্রমন প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের তেমন কোন ভুমিকা থাকে না। যে কারণে একটু কঠিন প্রতিপক্ষ হলেই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। নেইমারের খেলায় ইদানিং কিছুটা উন্নতি ঘটেছে, তবে তা যথেষ্ঠ নয়। দারুন খেলেছেন তরুন রড্রি। তিনি অন্যদের কাছে উদাহরণ হতে পারেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন দূরন্ত।
ম্যানসিটির জয়ে গ্যাব্র্রিয়েল জেসুসের ভুমিকা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি দলের জয়সূচক গোলটি করা ছাড়াও দলের জয়ে রেখেছেন বিশেষ ভুমিকা। মাঠে তার মুভমেন্ট প্রতিপক্ষের উপর বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে। বল ছাড়াও যে প্রতিপক্ষের সীমায় ভীতি ছড়ানো যায় তা দেখিয়েছেন জেসুস। একজন প্রকৃত নাম্বার ৯ এর মতোই কাজ করেছে।
অপর দিকে পিএসজি খেলেছে বলতে গেলে পরিকল্পনাহীন ফুটবল। তাদের মনে হয়েছে মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে দলকে জিতিয়ে দেবেন। কিন্তু দল জিততে হলে আগে রক্ষণভাগ দৃঢ় হতে হয়। ডিফেন্ডাররা সে কাজটি করতে পারেননি মরিসিও পচেত্তিনোর জন্য। কোচ মাঠে নামিয়েছিলেন তিনজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। যে কারণে মাঝ মাঠ থেকে তাদের আক্রমনগুলো দ্রুততর হয়নি। তাছাড়া ম্যানসিটির দ্রুত লয়ের ফুটবলও পিএসজির জন্য বিপদ ডেকে আনে। সব মিলিয়ে পরিস্কার বোঝা গেছে কেবল তারকা থাকলেই সাফল্য পাওয়া যায় না। সাফল্য পেতে হলে লাগে জয়ী হওয়ার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় এবং সবার মধ্যে সমন্বয়। যা এখনো পিএসজি গড়ে তুলতে পারেনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
বড় বড় তারকা খেলোয়াড় থাকলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা থাকে না। যার সর্বশেষ উদাহরণ প্যারিস সেন্ট জার্মেই। দলটিতে আগে থেকেই ছিলেন কাইলিয়ান এমবাপ্পে এবং নেইমার। এবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। তার পরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শীর্ষস্থান দখল করতে পারেনি তারা। বুধবার রাতে তারা হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। আগে গোল করেও তাদেরকে হারতে হয়েছে ম্যানসিটির টিম ওয়ার্কের কাছে। যদিও পিএসজির সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। তারা নক আউট পর্বে উঠেছে। এখন থেকে যদি তারা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নেয় তাহলে হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি তারা জিততেও পারে।
পিএসজির খেলায় একটি বিষয় বোঝা গেছে যে বল নিয়ে তারা ভয়ঙ্কর। কিন্তু বল বিহীন অবস্থায় তারকারা অনেকটাই নিস্ক্রিয় থাকেন। প্রতিপক্ষের আক্রমন প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের তেমন কোন ভুমিকা থাকে না। যে কারণে একটু কঠিন প্রতিপক্ষ হলেই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। নেইমারের খেলায় ইদানিং কিছুটা উন্নতি ঘটেছে, তবে তা যথেষ্ঠ নয়। দারুন খেলেছেন তরুন রড্রি। তিনি অন্যদের কাছে উদাহরণ হতে পারেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন দূরন্ত।
ম্যানসিটির জয়ে গ্যাব্র্রিয়েল জেসুসের ভুমিকা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি দলের জয়সূচক গোলটি করা ছাড়াও দলের জয়ে রেখেছেন বিশেষ ভুমিকা। মাঠে তার মুভমেন্ট প্রতিপক্ষের উপর বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে। বল ছাড়াও যে প্রতিপক্ষের সীমায় ভীতি ছড়ানো যায় তা দেখিয়েছেন জেসুস। একজন প্রকৃত নাম্বার ৯ এর মতোই কাজ করেছে।
অপর দিকে পিএসজি খেলেছে বলতে গেলে পরিকল্পনাহীন ফুটবল। তাদের মনে হয়েছে মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে দলকে জিতিয়ে দেবেন। কিন্তু দল জিততে হলে আগে রক্ষণভাগ দৃঢ় হতে হয়। ডিফেন্ডাররা সে কাজটি করতে পারেননি মরিসিও পচেত্তিনোর জন্য। কোচ মাঠে নামিয়েছিলেন তিনজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। যে কারণে মাঝ মাঠ থেকে তাদের আক্রমনগুলো দ্রুততর হয়নি। তাছাড়া ম্যানসিটির দ্রুত লয়ের ফুটবলও পিএসজির জন্য বিপদ ডেকে আনে। সব মিলিয়ে পরিস্কার বোঝা গেছে কেবল তারকা থাকলেই সাফল্য পাওয়া যায় না। সাফল্য পেতে হলে লাগে জয়ী হওয়ার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় এবং সবার মধ্যে সমন্বয়। যা এখনো পিএসজি গড়ে তুলতে পারেনি।