পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। এই টেস্টে পাঁচ দিনের ১৫ সেশনেই ধারাবাহিক হতে সতীর্থদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মোমিনুল হক। ম্যাচ পূর্ববতী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেন,‘মাত্র একটি সেশনেই টেস্ট ক্রিকেটের গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যদি চার দিনে ১২টি সেশন এগিয়ে থাকেন কিন্তু শেষ দিনে তিনটি সেশন হারেন তবে আপনি ম্যাচটি হেরে যেতে পারেন পারেন। যে কারণেই আমার চাওয়া টেস্টের পাঁচ দিনই ধারাবাহিক থাকা। আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে-যেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। এই টেস্টের আগে কি ঘটেছিল সেটা এখন অতীত এবং আমরা এখন পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে মনোনিবেশ করছি।’
বিশ্বকাপ থেকেই পার্ফামেন্সের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে টানা আটটি টি-টোয়েন্টি হেরে ব্যাকফুটে টাইগাররা। মোমিনুলের মতে, টি-টোয়েন্টির ফল কোন প্রভাব ফেলবে না, কারণ ফরম্যাট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কারণ ফরম্যাট সম্পূর্ণ ভিন্ন। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে ধারাবাহিক হতে হবে।’
কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের টেস্ট রেকর্ডও ভালো নয়। বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দু’টি টেস্ট হেরেছে। দুই টেস্টেই সুবিধাজনক অবস্থান থেকে হেরেছে তারা। শ্রীলংকায় দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছে। তবে জিম্বাবুয়েতে ২২০ রানে জয় পায় টাইগাররা। এছাড়া দলের সেরা তিন খেলোয়াড়কে ছাড়াই খেলতে নামবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া সাকিব আল হাসান এখনও সুস্থ হতে পারেননি। ইনজুরির কারনে দলের বাইরে আছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ টেস্টে অপরাজিত ১৫০ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অবসরের ঘোষনা দিয়েছেন। সিনিয়র তিন খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে চিন্তিত নন মোমিনুল। তিনি বলেন, ‘আমাদের যা আছে তা নিয়েই খেলতে হবে। দলে কে আছে এবং কে নেই, তা চিন্তা করে লাভ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এসব সিনিয়রদের অবদান অনেক বেশি। কিন্তু জীবন ঠিকই চলবে।’
টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে খুবই চিন্তিত। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং ছিল শোচনীয়। তবে ব্যক্তিগভাবে মোমিনুল ভালো অবস্থায় আছেন এবং চট্টগ্রাম তার জন্য ভাগ্যবান মাঠও বটে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে তার ১০ সেঞ্চুরির ৭টিই এসেছে এ মাঠে।
বোলিং আক্রমন নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বোলারদের উপর আস্থা রাখছেন মোমিনুল। তিনি বলেন, ‘এক বছর আগে মুস্তাফিজ শেষ টেস্ট খেলেছেন, তখন তাসকিন ইনজুরিতে ছিলেন। তবে আমাদের ব্যাক আপ প্লেয়ার আছে। আমাদের রাহি এবং এবাদতের মতো টেস্টে নিয়মিত বোলার আছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে রাহি আমাদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। আমাদের মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের মতো স্পিনার আছে। তাই আমি বোলিং লাইন আপ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’
এদিকে বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক হচ্ছে চট্টগ্রামের ২২ গজ। তার ভাষ্য, ‘আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে। ভালো উইকেট হবে। ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক হবে। আপনারা তো দেখেছেন… চট্টগ্রামে যে কয়েকটি সিরিজ হয়েছে, আপনারা তো আরো ভালো জানেন, বাইরে থেকে যারা দেখে তারাও ভালো বোঝে। চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়।’
মুমিনুলের থেকে চট্টগ্রামের ২২ গজ আর কে ভালো চেনেন! ক্যারিয়ারে ১১ সেঞ্চুরির ৭টিই পেয়েছেন নিজের ঘরের মাঠে। এবারও যে জহুর আহমেদ তার জন্য রানের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করছে বলাই যায়। মোমিনুলের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাবর। দুপুরে অনুশীলনের আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক বললেন, ‘টিপিক্যাল বাংলাদেশি উইকেট। ঘাস আছে। গতকাল (বুধবার) এমনটাই দেখেছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) গিয়ে শেষবার দেখব। চিরাচরিত দেখে এসেছি, এখানে স্পিনাররা সাহায্য পায়। শুরুতে পেসাররাও কিছুটা সাহায্য পায়। আমি মনে করি উইকেট ও কন্ডিশন আমরা যতটা কাজে লাগাতে পারব আমাদের ততটা ভালো হবে।’
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। এই টেস্টে পাঁচ দিনের ১৫ সেশনেই ধারাবাহিক হতে সতীর্থদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মোমিনুল হক। ম্যাচ পূর্ববতী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেন,‘মাত্র একটি সেশনেই টেস্ট ক্রিকেটের গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যদি চার দিনে ১২টি সেশন এগিয়ে থাকেন কিন্তু শেষ দিনে তিনটি সেশন হারেন তবে আপনি ম্যাচটি হেরে যেতে পারেন পারেন। যে কারণেই আমার চাওয়া টেস্টের পাঁচ দিনই ধারাবাহিক থাকা। আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে-যেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। এই টেস্টের আগে কি ঘটেছিল সেটা এখন অতীত এবং আমরা এখন পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে মনোনিবেশ করছি।’
বিশ্বকাপ থেকেই পার্ফামেন্সের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে টানা আটটি টি-টোয়েন্টি হেরে ব্যাকফুটে টাইগাররা। মোমিনুলের মতে, টি-টোয়েন্টির ফল কোন প্রভাব ফেলবে না, কারণ ফরম্যাট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কারণ ফরম্যাট সম্পূর্ণ ভিন্ন। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে ধারাবাহিক হতে হবে।’
কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের টেস্ট রেকর্ডও ভালো নয়। বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দু’টি টেস্ট হেরেছে। দুই টেস্টেই সুবিধাজনক অবস্থান থেকে হেরেছে তারা। শ্রীলংকায় দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছে। তবে জিম্বাবুয়েতে ২২০ রানে জয় পায় টাইগাররা। এছাড়া দলের সেরা তিন খেলোয়াড়কে ছাড়াই খেলতে নামবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া সাকিব আল হাসান এখনও সুস্থ হতে পারেননি। ইনজুরির কারনে দলের বাইরে আছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ টেস্টে অপরাজিত ১৫০ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অবসরের ঘোষনা দিয়েছেন। সিনিয়র তিন খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে চিন্তিত নন মোমিনুল। তিনি বলেন, ‘আমাদের যা আছে তা নিয়েই খেলতে হবে। দলে কে আছে এবং কে নেই, তা চিন্তা করে লাভ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এসব সিনিয়রদের অবদান অনেক বেশি। কিন্তু জীবন ঠিকই চলবে।’
টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে খুবই চিন্তিত। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং ছিল শোচনীয়। তবে ব্যক্তিগভাবে মোমিনুল ভালো অবস্থায় আছেন এবং চট্টগ্রাম তার জন্য ভাগ্যবান মাঠও বটে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে তার ১০ সেঞ্চুরির ৭টিই এসেছে এ মাঠে।
বোলিং আক্রমন নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বোলারদের উপর আস্থা রাখছেন মোমিনুল। তিনি বলেন, ‘এক বছর আগে মুস্তাফিজ শেষ টেস্ট খেলেছেন, তখন তাসকিন ইনজুরিতে ছিলেন। তবে আমাদের ব্যাক আপ প্লেয়ার আছে। আমাদের রাহি এবং এবাদতের মতো টেস্টে নিয়মিত বোলার আছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে রাহি আমাদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। আমাদের মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের মতো স্পিনার আছে। তাই আমি বোলিং লাইন আপ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’
এদিকে বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক হচ্ছে চট্টগ্রামের ২২ গজ। তার ভাষ্য, ‘আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে। ভালো উইকেট হবে। ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক হবে। আপনারা তো দেখেছেন… চট্টগ্রামে যে কয়েকটি সিরিজ হয়েছে, আপনারা তো আরো ভালো জানেন, বাইরে থেকে যারা দেখে তারাও ভালো বোঝে। চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়।’
মুমিনুলের থেকে চট্টগ্রামের ২২ গজ আর কে ভালো চেনেন! ক্যারিয়ারে ১১ সেঞ্চুরির ৭টিই পেয়েছেন নিজের ঘরের মাঠে। এবারও যে জহুর আহমেদ তার জন্য রানের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করছে বলাই যায়। মোমিনুলের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাবর। দুপুরে অনুশীলনের আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক বললেন, ‘টিপিক্যাল বাংলাদেশি উইকেট। ঘাস আছে। গতকাল (বুধবার) এমনটাই দেখেছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) গিয়ে শেষবার দেখব। চিরাচরিত দেখে এসেছি, এখানে স্পিনাররা সাহায্য পায়। শুরুতে পেসাররাও কিছুটা সাহায্য পায়। আমি মনে করি উইকেট ও কন্ডিশন আমরা যতটা কাজে লাগাতে পারব আমাদের ততটা ভালো হবে।’