বগুড়ার শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেনকে আহ্বায়ক করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়দুল হক ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুবীর কুমার পাল।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য জানায়। গঠিত ওই কমিটিকে আগামি সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায় উপজেলা শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বারো টি অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ এনে পরিষদের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য অনলাইনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়,শাহ বন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা ক্রয়ের নামে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স, ব্যবসা বানিজ্যের ট্যাক্স বাবদ বিগত ২ বছর অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদেও তিনবছর ১% এর যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সিংহভাগ টাকার কোন হদিস নেই। হতদরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকের পারিশ্রমিকের টাকা, ভিজিডি,ভিজিএফ, মা ও শিশু ভাতা, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড বিতরণেও অনিয়ম করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, প্রত্যয়ন, ওয়ারিশিয়ান সনদ প্রাপ্তিতেও সীমাহীন ভোগান্তি ও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি ও গোপনে টাকা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে আরোও বলা হয় ইউনিয়ন পরিষদের কোন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়নি। এমনি কি পরিষদের মাসিক কোন সমন্বয় সভা করা হয় না। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্যদের নানামুখী হুমকী ধামকি দেয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এই দিকে অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হবার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়া এবং তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমাদের আটজন ইউপি সদস্যের নাম উল্লেখ করে ওই অভিযোগটি দেয়া হয়েছে। তবে এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। পাশাপাশি অভিযোগে আমার নাম ব্যবহার করায় থানায় আমি সাধারণ ডায়েরি করেছি। তবে সোহেল মেম্বার ওই অভিযোগটি জেলা প্রশাসক বরাবরে দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। শাহ বন্দেগী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করলেও এটি ভুয়া অভিযোগ আখ্যায়িত করে বলেন, যে ইউপি সদস্যের নাম ব্যবহার করে অভিযোগ করা হয়েছে তিনি নিজেই সে বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাই থানায় জিডিও করেছেন। কে বা কারা ভুয়া মিথ্যা এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বগুড়ার শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেনকে আহ্বায়ক করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়দুল হক ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুবীর কুমার পাল।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য জানায়। গঠিত ওই কমিটিকে আগামি সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায় উপজেলা শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বারো টি অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ এনে পরিষদের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য অনলাইনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়,শাহ বন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা ক্রয়ের নামে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স, ব্যবসা বানিজ্যের ট্যাক্স বাবদ বিগত ২ বছর অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদেও তিনবছর ১% এর যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সিংহভাগ টাকার কোন হদিস নেই। হতদরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকের পারিশ্রমিকের টাকা, ভিজিডি,ভিজিএফ, মা ও শিশু ভাতা, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড বিতরণেও অনিয়ম করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, প্রত্যয়ন, ওয়ারিশিয়ান সনদ প্রাপ্তিতেও সীমাহীন ভোগান্তি ও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি ও গোপনে টাকা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে আরোও বলা হয় ইউনিয়ন পরিষদের কোন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়নি। এমনি কি পরিষদের মাসিক কোন সমন্বয় সভা করা হয় না। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্যদের নানামুখী হুমকী ধামকি দেয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এই দিকে অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হবার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়া এবং তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমাদের আটজন ইউপি সদস্যের নাম উল্লেখ করে ওই অভিযোগটি দেয়া হয়েছে। তবে এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। পাশাপাশি অভিযোগে আমার নাম ব্যবহার করায় থানায় আমি সাধারণ ডায়েরি করেছি। তবে সোহেল মেম্বার ওই অভিযোগটি জেলা প্রশাসক বরাবরে দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। শাহ বন্দেগী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করলেও এটি ভুয়া অভিযোগ আখ্যায়িত করে বলেন, যে ইউপি সদস্যের নাম ব্যবহার করে অভিযোগ করা হয়েছে তিনি নিজেই সে বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাই থানায় জিডিও করেছেন। কে বা কারা ভুয়া মিথ্যা এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।