alt

সারাদেশ

কক্সবাজার রেললাইন : ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত লাল-সবুজ ট্রেন

জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী, কক্সবাজার : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অক্টোবরের শেষে ট্রেন আসবে সৈকত নগরী কক্সবাজারে। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে ট্রেন। ইতোমধ্যে ট্রায়ালের জন্য চট্টগ্রামের পটিয়া স্টেশনে এনে রাখা হয়েছে লাল সবুজের একটি ট্রেন।

আর মাত্র কয়েকদিন পর লাল সবুজ ট্রেনটি দ্রুত গতিতে ছুটে চলবে সৈকত নগরী কক্সবাজারের দিকে। ২ হাজার ২০০ সিসির ইঞ্জিনের ৬টি বগির এরইমধ্যে প্রস্তুত। কুরিয়া থেকে আনা ট্রেনে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬০ জন করে ৩৬০ জন। এটি আগামী অক্টোবরের মাঝখানে পটিয়া রেলস্টেশন থেকে প্রথম ট্রায়াল রানের উদ্বোধন করা হবে। এ নিয়ে আগ্রহ আর আনন্দের শেষ নেই কক্সবাজারবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল আলম জানান, এ ট্রেন চালু হলে ট্রেন এলাকার মানুষের ব্যবসা বানিজ্য বেড়ে যাবে। জমজমাট হবে কক্সবাজার এলাকা। মানুষের মাঝে এটা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। শুধু অপেক্ষা কবে যে উদ্বোধন হবে।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙার পর্যন্ত ট্রায়ালের পর এবার ট্রায়াল হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেল পথে। অক্টোবরের শেষে বাণিজ্যিক যাত্রার পর উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্ত হবে এ রেলপথ। ফলে স্থানীয়দের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ৩৯টি ব্রিজ ও আন্ডারপাসসহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে পাথর বসানোর কাজ। এরইমধ্যে পুরোপুরি সংস্কার শেষ হয়েছে সাতকানিয়া অংশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রেললাইন। ট্রেনটির নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

প্রথম প্রস্তাবনায় ঢাকা থেকে ছেড়ে ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছবে ট্রেন। ফিরতি ট্রেন সকাল ১০টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় ঢাকা থেকে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার পৌঁছবে। ফিরতি দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।

এ বিষয়ে পটিয়া রেলস্টেশনের মাস্টার নেজাম উদ্দিন বলেন, জুলাই মাসের শেষদিকে লাল-সবুজের ৬টি নতুন বগি এবং একটি ২ হাজার ২০০ সিরিজের ইঞ্জিন পটিয়া স্টেশনে আনা হয়েছে। নতুন নির্মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে এটা দিয়ে ট্রায়াল করা হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। আর দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে দোহাজারী পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। এই দোহাজারী থেকে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু হয়ে বন, পাহাড় বেয়ে ও নদীর ওপর দিয়ে এই রেলপথটি নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের নথির তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পরে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেগা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পরে অর্থায়ন-সংক্রান্ত জটিলতায় বেশ কিছুদিন প্রকল্পটি থমকে থাকার পর ২০১৫ সালে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্ন্তজাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়।

দোহাজারী-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন্স কোম্পানি ২৬৮৮ কোটি টাকা এবং চীনা প্রতিষ্ঠান সিসিইসসিসি ও দেশীয় ম্যাক্স কনস্ট্রাকশন্স ৩৫০২ কোটি টাকায় যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বর লটের কাজ পায়। পরে ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।

শরণখোলার রেঞ্জে মাছ ধরার সময় পাঁচ জেলে আটক

নারায়ণগঞ্জ শহরে গরম কমাতে ‘তাপকর্ম পরিকল্পনা’

ছবি

কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলা, বিএনপি নেতা নিহত

ছবি

শায়েস্তাগঞ্জ ও অলিপুরে উচ্ছেদ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, উদ্বোধন হলো পুলিশ বক্স

ছবি

বিনা বিচারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি পেলেন কানু মিয়া

ছবি

ঐতিহাসিক ভবন ভাঙা ঠেকাতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চিঠি

ছবি

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ নেই ১০ বছর

মহেশপুর আদালত চত্বরে জাল কোর্টফিতে সয়লাব

কমলগঞ্জে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মোহনগঞ্জে হারিয়ে গেছে দেশি জাতের ধান

নবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মোরেলগঞ্জ ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১ পদের মধ্যে ৮ পদেই কেউ নেই

রংপুর চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন

ছবি

৭ বছর আগের সেই মর্মান্তিক ঘটনায় চোখের জলে বুক ভাসান স্বজনরা

চাঁদপুরে অপরাধে জড়িত সন্দেহে আটক ২২

তারাগঞ্জে চাষিদের বীজ, সার ও অর্থ বিতরণ

ছবি

হরিপুর-চিলমারী সেতুর উদ্বোধন ২ আগস্ট

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে কলমাকান্দায় আলোচনা সভা

বাগাতিপাড়ায় সড়ক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের কাছে ট্যাক্সের নামে টাকা আদায়

ছবি

দশমিনায় বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষে সাফল্য

কাঁঠালিয়ায় জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

চিতলমারীতে মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

বারবার প্রতিশ্রুতির পরও পাকাকরণ হয়নি সড়ক

পাঁচবিবি উপজেলা প্রশাসন ভবন উদ্বোধন

মা হত্যার দায়ে পুত্রের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

মাদারগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতু পুনর্নির্মাণ

শ্রীমঙ্গলে চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন দুই বন্ধু গ্রেপ্তার

ভুক্তভোগী দুই নারীকে হুমকির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ছবি

বড়াল নদীতে মাছ ধরার উৎসব

স্বজনদের আপত্তির মুখে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে গেল পিবিআই টিম

মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে জখম

ছবি

চাঁদাবাজি বন্ধে বিএনপির সমাবেশ

অটোরিকশা চালককে মারধর করায় বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

খাগড়াছড়িতে এনসিপির নেতানেত্রীর পাল্টাপাল্টি জিডি

ছবি

দোয়ারাবাজারে সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোতে পারাপার

tab

সারাদেশ

কক্সবাজার রেললাইন : ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত লাল-সবুজ ট্রেন

জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী, কক্সবাজার

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অক্টোবরের শেষে ট্রেন আসবে সৈকত নগরী কক্সবাজারে। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে ট্রেন। ইতোমধ্যে ট্রায়ালের জন্য চট্টগ্রামের পটিয়া স্টেশনে এনে রাখা হয়েছে লাল সবুজের একটি ট্রেন।

আর মাত্র কয়েকদিন পর লাল সবুজ ট্রেনটি দ্রুত গতিতে ছুটে চলবে সৈকত নগরী কক্সবাজারের দিকে। ২ হাজার ২০০ সিসির ইঞ্জিনের ৬টি বগির এরইমধ্যে প্রস্তুত। কুরিয়া থেকে আনা ট্রেনে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬০ জন করে ৩৬০ জন। এটি আগামী অক্টোবরের মাঝখানে পটিয়া রেলস্টেশন থেকে প্রথম ট্রায়াল রানের উদ্বোধন করা হবে। এ নিয়ে আগ্রহ আর আনন্দের শেষ নেই কক্সবাজারবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল আলম জানান, এ ট্রেন চালু হলে ট্রেন এলাকার মানুষের ব্যবসা বানিজ্য বেড়ে যাবে। জমজমাট হবে কক্সবাজার এলাকা। মানুষের মাঝে এটা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। শুধু অপেক্ষা কবে যে উদ্বোধন হবে।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙার পর্যন্ত ট্রায়ালের পর এবার ট্রায়াল হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেল পথে। অক্টোবরের শেষে বাণিজ্যিক যাত্রার পর উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্ত হবে এ রেলপথ। ফলে স্থানীয়দের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ৩৯টি ব্রিজ ও আন্ডারপাসসহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে পাথর বসানোর কাজ। এরইমধ্যে পুরোপুরি সংস্কার শেষ হয়েছে সাতকানিয়া অংশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রেললাইন। ট্রেনটির নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

প্রথম প্রস্তাবনায় ঢাকা থেকে ছেড়ে ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছবে ট্রেন। ফিরতি ট্রেন সকাল ১০টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় ঢাকা থেকে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার পৌঁছবে। ফিরতি দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।

এ বিষয়ে পটিয়া রেলস্টেশনের মাস্টার নেজাম উদ্দিন বলেন, জুলাই মাসের শেষদিকে লাল-সবুজের ৬টি নতুন বগি এবং একটি ২ হাজার ২০০ সিরিজের ইঞ্জিন পটিয়া স্টেশনে আনা হয়েছে। নতুন নির্মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে এটা দিয়ে ট্রায়াল করা হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। আর দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে দোহাজারী পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। এই দোহাজারী থেকে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু হয়ে বন, পাহাড় বেয়ে ও নদীর ওপর দিয়ে এই রেলপথটি নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের নথির তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পরে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেগা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পরে অর্থায়ন-সংক্রান্ত জটিলতায় বেশ কিছুদিন প্রকল্পটি থমকে থাকার পর ২০১৫ সালে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্ন্তজাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়।

দোহাজারী-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন্স কোম্পানি ২৬৮৮ কোটি টাকা এবং চীনা প্রতিষ্ঠান সিসিইসসিসি ও দেশীয় ম্যাক্স কনস্ট্রাকশন্স ৩৫০২ কোটি টাকায় যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বর লটের কাজ পায়। পরে ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।

back to top