জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ উপজেলায় ডাংধরা ইউনিয়নের নিমাইমাড়ী গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাবেক নায়েব মমিনুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্ন কর্মী রাকিবের বিরুদ্ধে । সুবিধাভোগী আনজুয়ারা বেগম এক বছর আগে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ঘরের সমস্ত কাগজপত্র বুঝে পেলেও পায়নি ঘরের চাবি । বর্তমানে তার ঘরে বসবাস করছে রশিদ নামের আরেক ব্যাক্তি ।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ডাংধরা ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে নিমাইমাড়ী আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৩০ টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়। এতে আনজুয়ারা বেগম ৮ নং ঘরের মালিক হয়। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ঘর ও জমির সমস্ত দলিল বুঝে দেয়। কিন্তু ঘরের চাবি পায় রশিদ নামের ব্যাক্তি । তিনি প্রায় বছর খানেক ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। এদিকে আনজুয়ারা তার ঘর ফিরে পাওয়ার আশায় দলিল পত্র নিয়ে ঘুরছে স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ।
সুবিধাভোগী আনজুয়ারা বলেন, আমি ঘরের কাগজপত্র পাওয়ার পরে চাবির জন্য নায়েবের কাছে যাই । তিনি বলেন পরিচ্ছন্নকর্মী রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে । রাকিব বলে চাবি ইউএনওর কাছে । চাবি আনতে এক হাজার টাকা লাগবে । আমি টাকা দেই । এরপর রাকিব চাবি দেয় দিচ্ছি করে টালবাহানা করে । কিছুদিন পর আমি তিনদিনের জন্য বগুড়া বোনের বাড়ি বেড়াতে যাই । এই সুযোগে রাকিব ও মমিনুল রশিদকে আমার ঘরে থাকতে দেয় । আমি ভূমি অফিসে গেলে বলে উপরের লোকজন রশিদকে ঘরে থাকতে দিছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই।
বর্তমানে কাগজপত্র ছাড়া ঘরে থাকা রশিদ ও তার স্ত্রী আবিরন বলেন, নায়েব সাবের ওর্ডারে রাকিব এসে তালা খুলে দিয়ে আমাদের ঘরে থাকতে দিছে । তাই আমরা থাকছি । কিন্তু যারা ঘরে তুলে দিছে তারা যদি আমাদের ঘর ছেড়ে দিতে বলে আমরা ঘর ছেড়ে দিবো ।
অন্যান্য সুবিধাভোগী জরিনা খাতুন, রশিদা, কাজলি খাতুন, আবু বকর, সফি আলম’রা বলেন, শুরু থেকেই এই ঘর নিয়ে অনেক সমস্যা । প্রকৃত মালিক ছাড়াই দুই জায়গায় বিক্রি করেছিলো ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্নকর্মী রাবিক ও সাবেক নায়েব মমিনুল । বর্তমান নায়েবের কাছে আমাদেও আবেদন তিনি জেনো ঘরের সমস্যাটি সমাধান করে দেন ।
বর্তমান নায়েব সোলায়মা হোসেন অনিয়মের ব্যাপারে বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মী রাকিব বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে । এরকম তথ্য পেয়েছি । ঘরের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নিবো । উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো. মাহবুব হাসান দৈনিক সংবাদ’কে বলেন ভোক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবো ।
উল্লেখ্য সাবেক নায়েব মমিনুল ইসলাম বদলি হয়ে এই জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫ নং পিংনা ইউনিয়নে দায়িত্বরত আছে।
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ উপজেলায় ডাংধরা ইউনিয়নের নিমাইমাড়ী গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাবেক নায়েব মমিনুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্ন কর্মী রাকিবের বিরুদ্ধে । সুবিধাভোগী আনজুয়ারা বেগম এক বছর আগে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ঘরের সমস্ত কাগজপত্র বুঝে পেলেও পায়নি ঘরের চাবি । বর্তমানে তার ঘরে বসবাস করছে রশিদ নামের আরেক ব্যাক্তি ।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ডাংধরা ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে নিমাইমাড়ী আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৩০ টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়। এতে আনজুয়ারা বেগম ৮ নং ঘরের মালিক হয়। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ঘর ও জমির সমস্ত দলিল বুঝে দেয়। কিন্তু ঘরের চাবি পায় রশিদ নামের ব্যাক্তি । তিনি প্রায় বছর খানেক ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। এদিকে আনজুয়ারা তার ঘর ফিরে পাওয়ার আশায় দলিল পত্র নিয়ে ঘুরছে স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ।
সুবিধাভোগী আনজুয়ারা বলেন, আমি ঘরের কাগজপত্র পাওয়ার পরে চাবির জন্য নায়েবের কাছে যাই । তিনি বলেন পরিচ্ছন্নকর্মী রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে । রাকিব বলে চাবি ইউএনওর কাছে । চাবি আনতে এক হাজার টাকা লাগবে । আমি টাকা দেই । এরপর রাকিব চাবি দেয় দিচ্ছি করে টালবাহানা করে । কিছুদিন পর আমি তিনদিনের জন্য বগুড়া বোনের বাড়ি বেড়াতে যাই । এই সুযোগে রাকিব ও মমিনুল রশিদকে আমার ঘরে থাকতে দেয় । আমি ভূমি অফিসে গেলে বলে উপরের লোকজন রশিদকে ঘরে থাকতে দিছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই।
বর্তমানে কাগজপত্র ছাড়া ঘরে থাকা রশিদ ও তার স্ত্রী আবিরন বলেন, নায়েব সাবের ওর্ডারে রাকিব এসে তালা খুলে দিয়ে আমাদের ঘরে থাকতে দিছে । তাই আমরা থাকছি । কিন্তু যারা ঘরে তুলে দিছে তারা যদি আমাদের ঘর ছেড়ে দিতে বলে আমরা ঘর ছেড়ে দিবো ।
অন্যান্য সুবিধাভোগী জরিনা খাতুন, রশিদা, কাজলি খাতুন, আবু বকর, সফি আলম’রা বলেন, শুরু থেকেই এই ঘর নিয়ে অনেক সমস্যা । প্রকৃত মালিক ছাড়াই দুই জায়গায় বিক্রি করেছিলো ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্নকর্মী রাবিক ও সাবেক নায়েব মমিনুল । বর্তমান নায়েবের কাছে আমাদেও আবেদন তিনি জেনো ঘরের সমস্যাটি সমাধান করে দেন ।
বর্তমান নায়েব সোলায়মা হোসেন অনিয়মের ব্যাপারে বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মী রাকিব বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে । এরকম তথ্য পেয়েছি । ঘরের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নিবো । উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো. মাহবুব হাসান দৈনিক সংবাদ’কে বলেন ভোক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবো ।
উল্লেখ্য সাবেক নায়েব মমিনুল ইসলাম বদলি হয়ে এই জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫ নং পিংনা ইউনিয়নে দায়িত্বরত আছে।