শালিখা (মাগুরা) : সরিষা খেতের পার্শ্ববর্তী এলাকায় কৃত্রিম উপায়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা-সংবাদ
মাগুরার শালিখায় বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতের পার্শ^বর্তী এলাকায় কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষীরা। এতে করে একদিকে যেমন সরিষার পরাগায়ন ঘটিয়ে সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে অপরদিকে মধু সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন অনেকে। সারি সারি মৌবক্স বসিয়ে দিনভর মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত মৌচাষিরা। শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগতি, আড়পাড়া, শতখালী, বুনাগাতীসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, যেসব এলাকার সরিষার ক্ষেতে উৎপাদন বেশি হচ্ছে সেইসব ক্ষেতের পাশেই বিভিন্ন মৌচাষিরা মৌবক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন এবং প্রতি কেজি মধু ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। মৌচাষি এনামুল হক বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে মৌমাছি সংগ্রহ করে ৬ মাস চিনি ও পানি খাওয়ায়ে এখন মধু সংগ্রহ করছি। অপর একজন মৌচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে সপ্তাহে ৪ মণ করে ছয় মাসে ৭২ মণ মধু সংগ্রহ করা হয়, যা কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, যেসব এলাকায় মৌবাক্স স্থাপন করা হয়, সেখান থেকে পার্শ^বর্তী তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্য থেকে মৌগুলো মধু সংগ্রহ করে। কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে মধু সংগ্রহপূর্বক বিক্রি করে শালিখা উপজেলার বেকার ছেলেরা একদিকে যেমন অর্থ উপার্জন করছে, অন্যদিকে সরিষার ফলন বৃদ্ধিতে পরিপূরক ভূমিকা পালন করছেন বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন জানান, মৌগুলো যখন সরিষার সংস্পর্শে আসে তখন সরিষার পরাগায়ণ ঘটে, এতে সরিষার ফলনের পরিমাণ ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষকে, সরিষার ফলন বৃদ্ধি ও অর্থ উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বলে মনে করেন তিনি।
শালিখা (মাগুরা) : সরিষা খেতের পার্শ্ববর্তী এলাকায় কৃত্রিম উপায়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা-সংবাদ
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
মাগুরার শালিখায় বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতের পার্শ^বর্তী এলাকায় কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষীরা। এতে করে একদিকে যেমন সরিষার পরাগায়ন ঘটিয়ে সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে অপরদিকে মধু সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন অনেকে। সারি সারি মৌবক্স বসিয়ে দিনভর মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত মৌচাষিরা। শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগতি, আড়পাড়া, শতখালী, বুনাগাতীসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, যেসব এলাকার সরিষার ক্ষেতে উৎপাদন বেশি হচ্ছে সেইসব ক্ষেতের পাশেই বিভিন্ন মৌচাষিরা মৌবক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন এবং প্রতি কেজি মধু ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। মৌচাষি এনামুল হক বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে মৌমাছি সংগ্রহ করে ৬ মাস চিনি ও পানি খাওয়ায়ে এখন মধু সংগ্রহ করছি। অপর একজন মৌচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে সপ্তাহে ৪ মণ করে ছয় মাসে ৭২ মণ মধু সংগ্রহ করা হয়, যা কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, যেসব এলাকায় মৌবাক্স স্থাপন করা হয়, সেখান থেকে পার্শ^বর্তী তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্য থেকে মৌগুলো মধু সংগ্রহ করে। কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষ করে মধু সংগ্রহপূর্বক বিক্রি করে শালিখা উপজেলার বেকার ছেলেরা একদিকে যেমন অর্থ উপার্জন করছে, অন্যদিকে সরিষার ফলন বৃদ্ধিতে পরিপূরক ভূমিকা পালন করছেন বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন জানান, মৌগুলো যখন সরিষার সংস্পর্শে আসে তখন সরিষার পরাগায়ণ ঘটে, এতে সরিষার ফলনের পরিমাণ ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই কৃত্রিম উপায়ে মৌচাষকে, সরিষার ফলন বৃদ্ধি ও অর্থ উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বলে মনে করেন তিনি।