মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা জাতির বিরুদ্ধে যায়। করিডোরের নামে জনগণের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিসংঘের ত্রাণ পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে সরকারের অবস্থান এবং আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “যার সঙ্গে খুশি তার সঙ্গে কথা বলবেন, আর দেশের জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন না—এটা তো হতে পারে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা তো দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে কখনোই বাধা নই। বরং আমরা লড়াই করি। সেখানেই অনুরোধ করব, জনগণকে অবমূল্যায়ন করবেন না।”
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা করিডোর দিতে পারেন, মানবতার স্বার্থে সাহায্য করতেও পারেন। কিন্তু সেটা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। জনগণের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”
তিনি বলেন, “আপনারা দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করছেন না। এমন এমন কাজ করছেন, যা জনগণের কাছে স্পষ্ট না। এভাবে চলতে পারে না।”
স্মরণসভায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ফিরে আসার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর জাতি যেন নতুন আলো পেয়েছে। এই আলোর পথেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “অনেকে বলছেন, আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন। কিন্তু সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। তাহলে ৫-১০ বছর যদি লেগে যায়, ততদিন নির্বাচন হবে না? এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি অনির্দিষ্টকাল চলবে?”
তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমানে আমলাদের মাধ্যমে দেশ চলছে। সচিবালয়ের ৯০ শতাংশ আমলা ফ্যাসিবাদের দোসর।”
পোশাক খাত, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বলছেন, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া নতুন বিনিয়োগ করবে না। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত এসব বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দেশের এই পরিস্থিতিতে আপনাদের সামনে আসতে হবে, কথা বলতে হবে।”
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নাল আবেদীন। পরিচালনা করেন মহাসচিব কায়সার কামাল। সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, সালাহউদ্দিন আহমদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান, সুব্রত চৌধুরী, বদরুদ্দোজা বাদল, প্রয়াত এজে মোহাম্মদ আলীর সহধর্মিণী ফারজানা আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা জাতির বিরুদ্ধে যায়। করিডোরের নামে জনগণের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিসংঘের ত্রাণ পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে সরকারের অবস্থান এবং আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “যার সঙ্গে খুশি তার সঙ্গে কথা বলবেন, আর দেশের জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন না—এটা তো হতে পারে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা তো দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে কখনোই বাধা নই। বরং আমরা লড়াই করি। সেখানেই অনুরোধ করব, জনগণকে অবমূল্যায়ন করবেন না।”
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা করিডোর দিতে পারেন, মানবতার স্বার্থে সাহায্য করতেও পারেন। কিন্তু সেটা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। জনগণের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”
তিনি বলেন, “আপনারা দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করছেন না। এমন এমন কাজ করছেন, যা জনগণের কাছে স্পষ্ট না। এভাবে চলতে পারে না।”
স্মরণসভায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ফিরে আসার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর জাতি যেন নতুন আলো পেয়েছে। এই আলোর পথেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “অনেকে বলছেন, আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন। কিন্তু সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। তাহলে ৫-১০ বছর যদি লেগে যায়, ততদিন নির্বাচন হবে না? এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি অনির্দিষ্টকাল চলবে?”
তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমানে আমলাদের মাধ্যমে দেশ চলছে। সচিবালয়ের ৯০ শতাংশ আমলা ফ্যাসিবাদের দোসর।”
পোশাক খাত, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বলছেন, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া নতুন বিনিয়োগ করবে না। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত এসব বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দেশের এই পরিস্থিতিতে আপনাদের সামনে আসতে হবে, কথা বলতে হবে।”
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নাল আবেদীন। পরিচালনা করেন মহাসচিব কায়সার কামাল। সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, সালাহউদ্দিন আহমদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান, সুব্রত চৌধুরী, বদরুদ্দোজা বাদল, প্রয়াত এজে মোহাম্মদ আলীর সহধর্মিণী ফারজানা আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।