শুক্রবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে প্রথম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়া হয় -সংবাদ
প্রথম পর্যটন নগরী কক্সবাজার থেকে রাজধানী ঢাকায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনা। বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে ইতোমধ্যে হোটেল বুকিং দিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রুটে ট্রেনের সব টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী বলেন, বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের সব পস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা এখন সেই সময়ের অপেক্ষায় আছি। বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে ২৩টি বগিতে ১,৩৮০ জন যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। অন্যদিকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে আরেকটি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
তিনি জানান, এ রুটে আপাতত ২টি ট্রেন চলাচল করবে। কক্সবাজার থেকে ট্রেন ছাড়বে বেলা সাড়ে ১২টায়। চট্টগ্রাম হয়ে এটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। এটি কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে।
তিনি জানান, ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি চেয়ার আসন ৩৩০টি এবং নন এসি শোভন শ্রেণীতে আসন সংখ্যা ৪৫০। চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে দু’টি কোচ। এই রুটে এসি স্নিগ্ধা শ্রেণী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৩২৫ টাকা। নন এসি শোভন শ্রেণীর ভাড়া ৬৯৫ টাকা। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া এসি ৪৭০ টাকা এবং নন এসি ২৫০ টাকা।
শুক্রবার দুপুরে যাত্রীবাহী প্রথম ট্রেনের যাত্রাকালে আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি প্রথম ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসজুড়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচল করবে ঢাকা কক্সবাজার রেলপথে। জানুয়ারি থেকে এই রুটে রেলের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকোমাস্টার আবদুল আউয়াল রানা ও সহকারী লোকোমাস্টার রাকিবুল হাসান রাজু জানান, ইতিহাসের প্রথম কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে ট্রেন। এটি চালানোর একটি ইতিহাসের স্বাক্ষী হলাম, ভালো লাগছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক আপেল মাহমুদ জানান, ট্রেনের প্রথম যাত্রার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন অনেক বেশি বাড়বে। তাই পর্যটকের সেবা, নিরাপত্তায় সব প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প ২০১০ অনুমোদন পায়। ২০১১ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করার পর গত ১১ নভেম্বর এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পের খরচ ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর রেল লাইনের দৈর্ঘ্য দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার। উদ্বোধনের পর ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করেছে রেলওয়ে বিভাগ।
শুক্রবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে প্রথম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়া হয় -সংবাদ
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পর্যটন নগরী কক্সবাজার থেকে রাজধানী ঢাকায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনা। বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে ইতোমধ্যে হোটেল বুকিং দিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রুটে ট্রেনের সব টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী বলেন, বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের সব পস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা এখন সেই সময়ের অপেক্ষায় আছি। বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে ২৩টি বগিতে ১,৩৮০ জন যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। অন্যদিকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে আরেকটি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
তিনি জানান, এ রুটে আপাতত ২টি ট্রেন চলাচল করবে। কক্সবাজার থেকে ট্রেন ছাড়বে বেলা সাড়ে ১২টায়। চট্টগ্রাম হয়ে এটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। এটি কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে।
তিনি জানান, ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি চেয়ার আসন ৩৩০টি এবং নন এসি শোভন শ্রেণীতে আসন সংখ্যা ৪৫০। চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে দু’টি কোচ। এই রুটে এসি স্নিগ্ধা শ্রেণী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৩২৫ টাকা। নন এসি শোভন শ্রেণীর ভাড়া ৬৯৫ টাকা। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া এসি ৪৭০ টাকা এবং নন এসি ২৫০ টাকা।
শুক্রবার দুপুরে যাত্রীবাহী প্রথম ট্রেনের যাত্রাকালে আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি প্রথম ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসজুড়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচল করবে ঢাকা কক্সবাজার রেলপথে। জানুয়ারি থেকে এই রুটে রেলের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকোমাস্টার আবদুল আউয়াল রানা ও সহকারী লোকোমাস্টার রাকিবুল হাসান রাজু জানান, ইতিহাসের প্রথম কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে ট্রেন। এটি চালানোর একটি ইতিহাসের স্বাক্ষী হলাম, ভালো লাগছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক আপেল মাহমুদ জানান, ট্রেনের প্রথম যাত্রার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন অনেক বেশি বাড়বে। তাই পর্যটকের সেবা, নিরাপত্তায় সব প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প ২০১০ অনুমোদন পায়। ২০১১ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করার পর গত ১১ নভেম্বর এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পের খরচ ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর রেল লাইনের দৈর্ঘ্য দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার। উদ্বোধনের পর ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করেছে রেলওয়ে বিভাগ।