কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ভবন থেকে নামতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে শতাধিক পোশাক শ্রমিক পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন। ২০জন শ্রমিক গুরুতর আঘাত পেয়েছে। অন্যরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে কুমিল্লা উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় আমির শার্ট লিমিটেডের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের কারখানার তিন তলা বিশিষ্ট ভবনে সহস্রাধিক কর্মী কাজ করেন। ভূমিকম্পের সময় বেশিরভাগ শ্রমিকই নিরাপদে নেমে যান।
তবে হঠাৎ ভবনে ফাটলের গুজব ওঠায় হুড়োহুড়ি শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আচমকা ভিড় থেকে একজন বলে ওঠেন ভবনে ফাটল। এ সময় ভয় ছড়িয়ে পড়লে নারী শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেড়ে যায়। তখন দ্রুত নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন।”
“আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেককে চিকিৎসা করাই। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, “শতাধিক আহত হাসপাতালে এসেছেন। তবে বেলা ১টা পর্যন্ত রেজিস্টার খাতায় ৭৬ জনের নাম আছে। তাদের চিকিৎসায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। কতজন ভর্তি হয়েছেন সেটার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।“
যারা বেশি আহত হয়েছেন, তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, “পোশাক কারখানাটির ভবনের দেয়াল ধসেনি। আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে সবাই আহত হয়েছেন। ”
ওসি ত্রিনাথ সাহা জানান, আহতদের চিকিৎসায় পুলিশ সহযোগিতা করছে।
এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের ঘটনায় কুমিল্লা ইপিজেড ও কুমিল্লা মহিলা কলেজে আহত হয়ে চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্র (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে শনিবার সকালের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৫।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৬ ছিল জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, ঢাকার ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রামগঞ্জে ছিল এর উৎপত্তিস্থল।
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ভবন থেকে নামতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে শতাধিক পোশাক শ্রমিক পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন। ২০জন শ্রমিক গুরুতর আঘাত পেয়েছে। অন্যরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে কুমিল্লা উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় আমির শার্ট লিমিটেডের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের কারখানার তিন তলা বিশিষ্ট ভবনে সহস্রাধিক কর্মী কাজ করেন। ভূমিকম্পের সময় বেশিরভাগ শ্রমিকই নিরাপদে নেমে যান।
তবে হঠাৎ ভবনে ফাটলের গুজব ওঠায় হুড়োহুড়ি শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আচমকা ভিড় থেকে একজন বলে ওঠেন ভবনে ফাটল। এ সময় ভয় ছড়িয়ে পড়লে নারী শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেড়ে যায়। তখন দ্রুত নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন।”
“আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেককে চিকিৎসা করাই। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, “শতাধিক আহত হাসপাতালে এসেছেন। তবে বেলা ১টা পর্যন্ত রেজিস্টার খাতায় ৭৬ জনের নাম আছে। তাদের চিকিৎসায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। কতজন ভর্তি হয়েছেন সেটার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।“
যারা বেশি আহত হয়েছেন, তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, “পোশাক কারখানাটির ভবনের দেয়াল ধসেনি। আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে সবাই আহত হয়েছেন। ”
ওসি ত্রিনাথ সাহা জানান, আহতদের চিকিৎসায় পুলিশ সহযোগিতা করছে।
এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের ঘটনায় কুমিল্লা ইপিজেড ও কুমিল্লা মহিলা কলেজে আহত হয়ে চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্র (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে শনিবার সকালের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৫।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৬ ছিল জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, ঢাকার ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রামগঞ্জে ছিল এর উৎপত্তিস্থল।