alt

সারাদেশ

কেঁপে উঠলো সারাদেশ, বড় ভূমিকম্পের পূর্ব লক্ষণ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ফাটল দেখা দেয় -সংবাদ

ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা কেঁপে ওঠে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের ভেতরই। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে আট কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহাব সোহাগ নামে একজন লিখেছেন, ‘এর চেয়ে বেশি স্থায়িত্বের ভূমিকম্পের কথা মনে পড়ছে না।’

ভূমিকম্প আতঙ্কে মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ২৩৩ নম্বর কক্ষের দোতলা থেকে লাফ দিলে তার পা ভেঙে যায় মিনহাজুর রহমান নামের একজন শিক্ষার্থীর। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।

মিনহাজুর বলেন, তার ঘরের সব কিছু এত জোরে দুলতে থাকে যে তিনি প্রচন্ড ভয় পেয়ে দোতলা থেকে লাফ দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি শুরু করে দেন শিক্ষার্থীরা। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের একটি ভবনের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ে। হলের পাঠকক্ষের দরজার কাচ ভেঙে যায়।

এছাড়া ভূমিকম্প আতঙ্কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট গার্মেন্টে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক পোশাকশ্রমিক আহত হন। এ সময় অন্তত ২০ জন গুরুতর আঘাত পেয়েছেন যাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

কুমিল্লা মহিলা কলেজে আহত হয়ে চারজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

ঢাকা, কুমিল্লা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি ও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, ভূমিকম্পে ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও দিনাজপুর অঞ্চলই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রিখটার স্কেলে ৭ এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা হবে ভয়াবহ।

তিনি জানান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ এক গবেষণায় ১২ বছরের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সাবডাকশন জোন সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের হাওর হয়ে মেঘনা নদী দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে। প্রায় হাজার বছর ধরে এই জোনে বিপুল পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। এর ফলে ৮ দশমিক ২ থেকে ৮ দশমিক ৯ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্প হতে পারে।

তিনি জানান, এই জোনের আবার দুটি ভাগ আছে। একটা হলো লক জোন, যেটি বাংলাদেশের মধ্যে পড়েছে। এটিতে ভারত ও মায়ানমারের দুটি প্লেট আটকে আছে।

আরেকটি জোন মায়ানমার ও মিজোরাম অঞ্চলে। এ অঞ্চলটিতে সবসময় এমন ভূমিকম্প হয় না। তবে কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, এখানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হচ্ছে। এটা বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পূর্বলক্ষণ, বলেন অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার।

তিনি বলেন, সাবডাকশন জোনে যে ভূমিকম্প হবেই, তা নিশ্চিত। কারণ, যে পরিমাণ শক্তি জমা হয়ে আছে, তা একদিন না একদিন বের হবেই। সেটি আজ হোক বা কাল হোক। বা ৭০ বছর পরেই হোক। তা যদি হয়, তবে তা হবে মারাত্মক ধরনের ভূমিকম্প। আর ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের মতো জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোয়।

ভূতত্ত্ববিদদরা বলছেন, বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা ভূমিকম্পের বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকায় গত কয়েক বছরের মধ্যে যেসব ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশের উৎপত্তিস্থলই ছিল বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সিলেট বা চট্টগ্রাম অঞ্চলে। অনেকগুলো ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভারতের মিজোরাম বা ত্রিপুরা রাজ্যে। তবে ইদানীং মাঝেমধ্যেই ঢাকার আশেপাশের কেন্দ্র থেকে ভূমিকম্প হতে দেখা গেছে।

ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছরে আমরা যে হালকা থেকে মাঝারি ভূমিকম্প দেখছি, এটাও সেরকম একটা হয়ে গেল। ৬-৭ মাস আগে নারায়ণগঞ্জে যে হালকা ভূমিকম্প হলো, বা গত বছর সিলেটে যেটা হলো, এগুলো সবই কিন্তু সাবডাকশান জোনে পড়েছে। এটা ভিন্ন কিছু নয়, তবে অবশ্যই শঙ্কার কারণ। সাবডাকশন জোনে ছোট ভূমিকম্প আসলে বড় ভূমিকম্প হওয়ার পূর্বলক্ষণ।’

ছবি

ফুলবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী বউমেলা, ক্রেতা যেখানে শুধুই নারী

ছবি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে : নবজাতককে জীবিত উদ্ধার

ছবি

রামুর বাঁকখালী নদীতে বৌদ্ধদের কল্পজাহাজ ভাসা উৎসব উৎযাপিত

ছবি

ব্যবসায়ী জামিল হত্যা: স্ত্রী, ভায়রাসহ তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় সাবেক শিবির নেতা নিহত

ছবি

বিস্ফোরণের শব্দে রাতভর কাঁপল টেকনাফ, ২৫টি বসতঘরে ফাটল

ছবি

সাবেক তিন এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলি, নিহত-১

ছবি

পিলখানা হত্যাকান্ডে ভারত জড়িত ছিলো : এ্যাডভোকেট রাকিন আহমেদ

ছবি

উখিয়ায় ৩১ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা মাদককারবারী আটক

ছবি

‘সেন্টমার্টিনে রাত্রীযাপন নিষিদ্ধকরণ ও ভ্রমণ সীমিতকরন পর্যটন শিল্পের জন্য হুমকি’

ছবি

গোপালগঞ্জে দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত

ছবি

সাভারে কবর থেকে উত্তোলন, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা

ছবি

শ্রমিকদের পেনশন দিতে শিল্প মালিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা

ছবি

মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা, দালাল-রোহিঙ্গাসহ আটক ২০

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দীর্ঘ যানজট

ছবি

প্রথম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিটিসেল লাইসেন্স ফেরত চায়

ছবি

প্রকৃতিতে হস্তক্ষেপের পর আত্মঘাতী প্রকল্পের বহর : ভবদহ অঞ্চলে দুর্বিষহ জীবনের শেষ কোথায়

ছবি

ফরিদপুর-মীরসরাই : সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন সহ ৮ জনের মৃত্যু

ছবি

মহালছড়িতে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা সমন্বয় সভা

ছবি

শরীয়তপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

ছবি

বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে দারাজ

ছবি

রাখাইনে সংঘাত : ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ, আকাশে যুদ্ধবিমানের চক্কর

ছবি

আখাউড়া সীমান্ত এলাক‌ায় বি‌জি‌বি অ‌ভিযানে কোটি টাক‌ার চোরাচালান জব্দ

ছবি

আরাকান আর্মি থেকে ১৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি

ছবি

সাবেক এমপি শিখর ও তার স্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

পূজামণ্ডপে ইসলামি গান: জামিন পেলেন দুই শিল্পী

ছবি

টঙ্গী পূর্ব থানায় দুই মাসে ৪ ওসি

গাজীপুরে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ

ছবি

৬ দিন পর হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ছবি

কোন বোর্ডে জিপিএ-৫ কত

ছবি

পাবনায় মদপানে প্রাণ গেলো দুই বন্ধুর

ছবি

ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

ছবি

টঙ্গীতে বিটিসিএলের মালামাল চুরিতে পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ

ছবি

শেরপুর সদর হাসপাতালে ‘মাস হিস্টিরিয়ায়’ আক্রান্ত ৩০ নারী রোগী

ছবি

চুনতি অভয়ারণ্যে ট্রেনের ধাক্কায় আহত মাদি হাতি, পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা

tab

সারাদেশ

কেঁপে উঠলো সারাদেশ, বড় ভূমিকম্পের পূর্ব লক্ষণ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ফাটল দেখা দেয় -সংবাদ

শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা কেঁপে ওঠে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের ভেতরই। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে আট কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহাব সোহাগ নামে একজন লিখেছেন, ‘এর চেয়ে বেশি স্থায়িত্বের ভূমিকম্পের কথা মনে পড়ছে না।’

ভূমিকম্প আতঙ্কে মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ২৩৩ নম্বর কক্ষের দোতলা থেকে লাফ দিলে তার পা ভেঙে যায় মিনহাজুর রহমান নামের একজন শিক্ষার্থীর। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।

মিনহাজুর বলেন, তার ঘরের সব কিছু এত জোরে দুলতে থাকে যে তিনি প্রচন্ড ভয় পেয়ে দোতলা থেকে লাফ দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি শুরু করে দেন শিক্ষার্থীরা। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের একটি ভবনের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ে। হলের পাঠকক্ষের দরজার কাচ ভেঙে যায়।

এছাড়া ভূমিকম্প আতঙ্কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট গার্মেন্টে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক পোশাকশ্রমিক আহত হন। এ সময় অন্তত ২০ জন গুরুতর আঘাত পেয়েছেন যাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

কুমিল্লা মহিলা কলেজে আহত হয়ে চারজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

ঢাকা, কুমিল্লা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি ও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, ভূমিকম্পে ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও দিনাজপুর অঞ্চলই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রিখটার স্কেলে ৭ এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা হবে ভয়াবহ।

তিনি জানান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ এক গবেষণায় ১২ বছরের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সাবডাকশন জোন সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের হাওর হয়ে মেঘনা নদী দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে। প্রায় হাজার বছর ধরে এই জোনে বিপুল পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। এর ফলে ৮ দশমিক ২ থেকে ৮ দশমিক ৯ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্প হতে পারে।

তিনি জানান, এই জোনের আবার দুটি ভাগ আছে। একটা হলো লক জোন, যেটি বাংলাদেশের মধ্যে পড়েছে। এটিতে ভারত ও মায়ানমারের দুটি প্লেট আটকে আছে।

আরেকটি জোন মায়ানমার ও মিজোরাম অঞ্চলে। এ অঞ্চলটিতে সবসময় এমন ভূমিকম্প হয় না। তবে কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, এখানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হচ্ছে। এটা বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পূর্বলক্ষণ, বলেন অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার।

তিনি বলেন, সাবডাকশন জোনে যে ভূমিকম্প হবেই, তা নিশ্চিত। কারণ, যে পরিমাণ শক্তি জমা হয়ে আছে, তা একদিন না একদিন বের হবেই। সেটি আজ হোক বা কাল হোক। বা ৭০ বছর পরেই হোক। তা যদি হয়, তবে তা হবে মারাত্মক ধরনের ভূমিকম্প। আর ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের মতো জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোয়।

ভূতত্ত্ববিদদরা বলছেন, বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা ভূমিকম্পের বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকায় গত কয়েক বছরের মধ্যে যেসব ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশের উৎপত্তিস্থলই ছিল বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সিলেট বা চট্টগ্রাম অঞ্চলে। অনেকগুলো ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভারতের মিজোরাম বা ত্রিপুরা রাজ্যে। তবে ইদানীং মাঝেমধ্যেই ঢাকার আশেপাশের কেন্দ্র থেকে ভূমিকম্প হতে দেখা গেছে।

ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছরে আমরা যে হালকা থেকে মাঝারি ভূমিকম্প দেখছি, এটাও সেরকম একটা হয়ে গেল। ৬-৭ মাস আগে নারায়ণগঞ্জে যে হালকা ভূমিকম্প হলো, বা গত বছর সিলেটে যেটা হলো, এগুলো সবই কিন্তু সাবডাকশান জোনে পড়েছে। এটা ভিন্ন কিছু নয়, তবে অবশ্যই শঙ্কার কারণ। সাবডাকশন জোনে ছোট ভূমিকম্প আসলে বড় ভূমিকম্প হওয়ার পূর্বলক্ষণ।’

back to top