পেঁয়াজের বাড়তি দাম অপরিবর্তিত
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর ডিজিএফটি আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় গত বৃহস্পতিবার, পরেরদিন এ খবর আসে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে। সংবাদ পাওয়ার পর দেশের বাজারে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। গত শুক্রবারই এক দিনে দুই দফায় বাড়ে দাম। একদিনের ব্যবধানে গত শনিবারে তা এক লাফে দ্বিগুণ হয়।
গত শুক্রবারও সকালে দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দর ১১০ থেকে ১২০ টাকা থাকলেও এদিন দুপুরেই ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হয়। পরের দিন গত শনিবার কারওয়ান বাজারের পাইকারিতেই কেজি বিক্রি হয় ২০০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজি ১৫০ টাকা।
দামের এ ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই গত শনিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালায় কারওয়ান বাজার ও মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজারে। সেখানে কর্মকর্তারা ন্যায্য দামে পেঁয়াজ বিক্রিতে বাধ্য করার পাশাপাশি অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করে।
গত শনিবারই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অন্য বিভাগীয় শহরসহ দেশের সর্বমোট ৫৪টি জেলায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সবমি?লি?য়ে সারাদেশে ৫৭টি টিম কর্তৃক বাজার অভিযানের মাধ্যমে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ঢাকা মহানগরীর রোববারের (১০ ডিসেম্বর) বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। বিপণন সংস্থাটির হিসাবে, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। আর গত বছর এই সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
টিসিবি’র হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১১ দশমিক ১১ শতাংশ।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। মুদি দোকানে কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
পেঁয়াজের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর পল্টনের এ টু জেড সদাইপাতির বিক্রয়কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ কেজি ২৬০ টাকা আর আমদানি ১৬০ টাকা।’
এদিকে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি। ফলে সেগুলো পচতে শুরু করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৩টি ট্রাকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। পাঁচ দিনেও খালাস না হওয়ায় এসব পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ নিরীক্ষক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো চারদিন আগে বেনাপোল স্থলবন্দরে আসে। এসব ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালক সন্তোষ মন্ডল বলেন, ‘পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে এসে বসে আছি। পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেউ আনলোড করতে আসছে না। কবে নাগাদ খালাস হবে সেটাও জানতে পারছি না, খালাসের জন্য কোনো আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। পেঁয়াজের চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত পাঁচদিন ধরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে বন্দরে পড়ে আছে। পেঁয়াজের চালান খালাস না করায় তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি হলেই অনেক ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। রোববার হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ নয়। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে দেশের জনগণের জন্যই ব্যবসা।’
তিনি বলেন, ‘লাভ ছাড়া তো ব্যবসা করবেন না। কিন্তু যে পণ্যের মূল্য ১২০ টাকা, এক রাতের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কীভাবে হয়? ভারত রপ্তানি বন্ধ মাত্রই ঘোষণা দিয়েছে, সে কারণে পরদিনই দাম বাড়তে পাড়ে না।’
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি কমানোর কথা বলি। এটার সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক একটি বিষয় রয়েছে। শিল্পায়নের স্বার্থে কর অব্যাহতির কথাও বলি। বাণিজ্যে বিকাশ চাই। ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে চাই।’
২০২৯ সালের পর শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না, তখন ডিউটিশূন্য করতে হবে। রাজস্ব লস হবে, ৪৩ পণ্যে ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়ে থাকি বলেও জানান সিনিয়র সচিব।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলেনে সাংবাদিকের প্রশ্নে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘কেউ যদি কালোবাজারি করে, পেঁয়াজ মজুদ করে এবং বেশি দামে বিক্রির পাঁয়তারা করে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম চকবাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় কাজ করেছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে।’
রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নগরীর পাহাড়তলী বাজার এবং বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় এই অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে পাহাড়তলী বাজারে মেসার্স বাছামিয়া সওদাগরকে ২০ হাজার টাকা এবং মেসার্স কালু শাহ এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন কলোনি এলাকায় ছৈয়দ স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির তেল বিক্রির অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পেঁয়াজের বাড়তি দাম অপরিবর্তিত
রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর ডিজিএফটি আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় গত বৃহস্পতিবার, পরেরদিন এ খবর আসে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে। সংবাদ পাওয়ার পর দেশের বাজারে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। গত শুক্রবারই এক দিনে দুই দফায় বাড়ে দাম। একদিনের ব্যবধানে গত শনিবারে তা এক লাফে দ্বিগুণ হয়।
গত শুক্রবারও সকালে দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দর ১১০ থেকে ১২০ টাকা থাকলেও এদিন দুপুরেই ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হয়। পরের দিন গত শনিবার কারওয়ান বাজারের পাইকারিতেই কেজি বিক্রি হয় ২০০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজি ১৫০ টাকা।
দামের এ ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই গত শনিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালায় কারওয়ান বাজার ও মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজারে। সেখানে কর্মকর্তারা ন্যায্য দামে পেঁয়াজ বিক্রিতে বাধ্য করার পাশাপাশি অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করে।
গত শনিবারই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অন্য বিভাগীয় শহরসহ দেশের সর্বমোট ৫৪টি জেলায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সবমি?লি?য়ে সারাদেশে ৫৭টি টিম কর্তৃক বাজার অভিযানের মাধ্যমে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ঢাকা মহানগরীর রোববারের (১০ ডিসেম্বর) বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। বিপণন সংস্থাটির হিসাবে, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। আর গত বছর এই সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
টিসিবি’র হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১১ দশমিক ১১ শতাংশ।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। মুদি দোকানে কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
পেঁয়াজের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর পল্টনের এ টু জেড সদাইপাতির বিক্রয়কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ কেজি ২৬০ টাকা আর আমদানি ১৬০ টাকা।’
এদিকে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি। ফলে সেগুলো পচতে শুরু করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৩টি ট্রাকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। পাঁচ দিনেও খালাস না হওয়ায় এসব পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ নিরীক্ষক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো চারদিন আগে বেনাপোল স্থলবন্দরে আসে। এসব ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালক সন্তোষ মন্ডল বলেন, ‘পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে এসে বসে আছি। পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেউ আনলোড করতে আসছে না। কবে নাগাদ খালাস হবে সেটাও জানতে পারছি না, খালাসের জন্য কোনো আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। পেঁয়াজের চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত পাঁচদিন ধরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে বন্দরে পড়ে আছে। পেঁয়াজের চালান খালাস না করায় তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি হলেই অনেক ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। রোববার হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ নয়। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে দেশের জনগণের জন্যই ব্যবসা।’
তিনি বলেন, ‘লাভ ছাড়া তো ব্যবসা করবেন না। কিন্তু যে পণ্যের মূল্য ১২০ টাকা, এক রাতের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কীভাবে হয়? ভারত রপ্তানি বন্ধ মাত্রই ঘোষণা দিয়েছে, সে কারণে পরদিনই দাম বাড়তে পাড়ে না।’
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি কমানোর কথা বলি। এটার সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক একটি বিষয় রয়েছে। শিল্পায়নের স্বার্থে কর অব্যাহতির কথাও বলি। বাণিজ্যে বিকাশ চাই। ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে চাই।’
২০২৯ সালের পর শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না, তখন ডিউটিশূন্য করতে হবে। রাজস্ব লস হবে, ৪৩ পণ্যে ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়ে থাকি বলেও জানান সিনিয়র সচিব।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলেনে সাংবাদিকের প্রশ্নে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘কেউ যদি কালোবাজারি করে, পেঁয়াজ মজুদ করে এবং বেশি দামে বিক্রির পাঁয়তারা করে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম চকবাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় কাজ করেছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে।’
রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নগরীর পাহাড়তলী বাজার এবং বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় এই অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে পাহাড়তলী বাজারে মেসার্স বাছামিয়া সওদাগরকে ২০ হাজার টাকা এবং মেসার্স কালু শাহ এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন কলোনি এলাকায় ছৈয়দ স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির তেল বিক্রির অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।