সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহজাহান কামাল মারা গেছেন।
মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে এই দুই সংসদ সদস্য মারা যান বলে জানা যায়। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং ৩টা ১৯ মিনিটে একেএম শাহজাহান কামাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দুই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা পৃথক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন তিনি। বিবৃতিতে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ভাতিজা আক্তার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গতকাল তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ চত্বরে। পরে জেলা ও উপজেলা সদরে এবং গ্রামে জানাজা শেষে পরমানন্দপুর গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
অন্যদিকে শাহজাহান কামালের ছোটভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাকসুদ কামাল বলেন, বার্ধক্যজনিত রোগে আমার বড়ভাই শাহজাহান কামাল মারা গেছেন। প্রথম জানাজা গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এবং লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলটির সাত সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করেন। তার মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তারও ছিলেন। পরে তিনি একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এতে দল থেকে আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
এদিকে শাহজাহান কামাল ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, এই দুই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পৃথক বিবৃতিতে তিনি এ কে এম শাহজাহান কামাল ও আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহজাহান কামাল মারা গেছেন।
মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে এই দুই সংসদ সদস্য মারা যান বলে জানা যায়। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং ৩টা ১৯ মিনিটে একেএম শাহজাহান কামাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দুই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা পৃথক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন তিনি। বিবৃতিতে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ভাতিজা আক্তার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গতকাল তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ চত্বরে। পরে জেলা ও উপজেলা সদরে এবং গ্রামে জানাজা শেষে পরমানন্দপুর গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
অন্যদিকে শাহজাহান কামালের ছোটভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাকসুদ কামাল বলেন, বার্ধক্যজনিত রোগে আমার বড়ভাই শাহজাহান কামাল মারা গেছেন। প্রথম জানাজা গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এবং লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলটির সাত সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করেন। তার মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তারও ছিলেন। পরে তিনি একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এতে দল থেকে আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
এদিকে শাহজাহান কামাল ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, এই দুই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পৃথক বিবৃতিতে তিনি এ কে এম শাহজাহান কামাল ও আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।