কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। উপজেলা সদর ও পৌর শহরের ৫টি সংযোগ সড়কের মধ্যে ৪টি সড়করেই বেহাল দশা। এগুলো হলো চান্দিনা-বাড়েরা সড়ক, চান্দিনা-হারং সড়ক, চান্দিনা-বরকইট সড়ক এবং চান্দিনা-তুলাতলী সড়ক। এছাড়া পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হিসিবে পরিচিত পৌরসভার প্রধান সড়কটির কাঠেরপুল থেকে পালকি সিনামা হল পর্যন্ত সিসি ঢালাই অংশটি ঠিক থাকলেও সড়কের পিচ ঢাকা অংশগুলো যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কগুলোতে পৌরবাসীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি এলেই জনজীবন হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত। চান্দিনা সবজি বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ব্যবসায়ীরা অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকায় আবার কোথাও ড্রেনে পানি ঠিকমত প্রবেশ করতে না পারায় সড়কের উপরে পানি জমা হয়ে থাকে। এতে পথচারী ও যানবাহন চালকদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
অধিকাংশ সড়কের সংস্কার করার এক বছর অতিবাহিত হতে না হতেই পুরোনো চেহারায় ফিরে যায়। আবার কিছু সড়কের কাজ শেষের মাত্র ৬ মাস পার হতেই বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কগুলোর অধিকাংশ স্থানেই খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আসা সেবা গ্রহীতারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এদিকে, সড়কগুলোর মধ্যে চান্দিনা উপজেলা ও পৌর সদরের প্রধান সড়কটি অন্যতম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল থেকে পালকি সিনেমা হল পর্যন্ত পুরো সড়কটিতে অগণিত গর্ত। তবে আরসিসি ঢালাই অংশটি ভালো রয়েছে। কার্পেটিং (পিচ ঢালা) অংশটিতেই বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। চান্দিনা খাদ্য গুদাম ও হাসপাতালের সামনের অংশটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বড় গর্ত হয়ে সড়কের এক পার্শ্ব দিয়ে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘চান্দিনা-তুলাতলী সড়কসহ কয়েকটি সড়ক সার্ভে করে প্রজেক্ট অনুমোদন এর জন্য পাঠানো হয়েছে। আশাকরি আগামী অর্থ বছরের শুরুতেই সড়কগুলোর কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া আমাদের পৌরসভার বেশ কয়েকটি ড্রেন এর কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে।’
চান্দিনা পৌরসভার মেয়র মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া জানান, চান্দিনা-হারং ওয়াপদা সড়কটির সংস্কার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। অন্য সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার কাজ করা হবে।
রোববার, ২৮ মে ২০২৩
কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। উপজেলা সদর ও পৌর শহরের ৫টি সংযোগ সড়কের মধ্যে ৪টি সড়করেই বেহাল দশা। এগুলো হলো চান্দিনা-বাড়েরা সড়ক, চান্দিনা-হারং সড়ক, চান্দিনা-বরকইট সড়ক এবং চান্দিনা-তুলাতলী সড়ক। এছাড়া পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হিসিবে পরিচিত পৌরসভার প্রধান সড়কটির কাঠেরপুল থেকে পালকি সিনামা হল পর্যন্ত সিসি ঢালাই অংশটি ঠিক থাকলেও সড়কের পিচ ঢাকা অংশগুলো যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কগুলোতে পৌরবাসীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি এলেই জনজীবন হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত। চান্দিনা সবজি বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ব্যবসায়ীরা অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকায় আবার কোথাও ড্রেনে পানি ঠিকমত প্রবেশ করতে না পারায় সড়কের উপরে পানি জমা হয়ে থাকে। এতে পথচারী ও যানবাহন চালকদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
অধিকাংশ সড়কের সংস্কার করার এক বছর অতিবাহিত হতে না হতেই পুরোনো চেহারায় ফিরে যায়। আবার কিছু সড়কের কাজ শেষের মাত্র ৬ মাস পার হতেই বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কগুলোর অধিকাংশ স্থানেই খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আসা সেবা গ্রহীতারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এদিকে, সড়কগুলোর মধ্যে চান্দিনা উপজেলা ও পৌর সদরের প্রধান সড়কটি অন্যতম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল থেকে পালকি সিনেমা হল পর্যন্ত পুরো সড়কটিতে অগণিত গর্ত। তবে আরসিসি ঢালাই অংশটি ভালো রয়েছে। কার্পেটিং (পিচ ঢালা) অংশটিতেই বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। চান্দিনা খাদ্য গুদাম ও হাসপাতালের সামনের অংশটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বড় গর্ত হয়ে সড়কের এক পার্শ্ব দিয়ে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘চান্দিনা-তুলাতলী সড়কসহ কয়েকটি সড়ক সার্ভে করে প্রজেক্ট অনুমোদন এর জন্য পাঠানো হয়েছে। আশাকরি আগামী অর্থ বছরের শুরুতেই সড়কগুলোর কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া আমাদের পৌরসভার বেশ কয়েকটি ড্রেন এর কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে।’
চান্দিনা পৌরসভার মেয়র মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া জানান, চান্দিনা-হারং ওয়াপদা সড়কটির সংস্কার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। অন্য সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার কাজ করা হবে।