কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন পাঁচ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত জানান।
দণ্ডিত মোহাম্মদ আলী বাপ্পি (২১) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো. জাকারিয়ার ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজার পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামে বাসার সামনে ওই ছাত্রী খেলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী বাপ্পি তাকে তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়।
পরদিন তার মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। পরে বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ইকবাল মনির ২০১৯ সালের ২ জুন বাপ্পিসহ একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত।
মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত জানান।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। উচ্চ আদালত এই রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন পাঁচ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত জানান।
দণ্ডিত মোহাম্মদ আলী বাপ্পি (২১) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো. জাকারিয়ার ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজার পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামে বাসার সামনে ওই ছাত্রী খেলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী বাপ্পি তাকে তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়।
পরদিন তার মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। পরে বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ইকবাল মনির ২০১৯ সালের ২ জুন বাপ্পিসহ একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত।
মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত জানান।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। উচ্চ আদালত এই রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।