রংপুরে ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে টিকেট বিক্রিতে নৈরাজ্য,ইচ্ছে মতো দামে বিক্রি হচ্ছে। আশে পাশের জেলা থেকে স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আসা হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরে যাবার জন্য বাসের টিকেট পাচ্ছেনা। বিশেষ করে শনিবার ও রোববারের রংপুর থেকে ঢাকাগামি কোন বাস কাউন্টারেই টিকেট নেই বলে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে। ফলে টিকেট নিতে আসা শত শত যাত্রী চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফলে যারা ঈদ করতে রংপুর সহ পাশ^বর্তী জেলা থেকে এসেছেন এমন যাত্রীদের সোমবার ঢাকায় অফিস করতেই হবে তারা চরম দুঃচিন্তায় পড়েছেন।
তবে বাস কাউন্টারে টিকেট নেই বলা হলেও কালোবাজারীসহ কাউন্টারের লোকজন গোপনে নন এসি ৮শ টাকা টিকেট ১৫শ টাকা, এসির ১৫শ টাকার টিকেট ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রংপুর নগরীর ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে টিকেট বিক্রি চলছে চরম নৈরাজ্য, ইচ্ছে মতো দামে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
শুক্রবার সন্ধার পর সরেজমিন রংপুর নগরীর কামারপাড়া এলাকায় অবস্থিত ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঘুরে দেখা গেছে শনিবার বা রোববারের কোন টিকেট নাকি নেই,সবই বিক্রি হয়ে গেছে বলছেন কাউন্টরের লোকজন।
এসআর ট্রাবেলস কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল সেখান থেকে বলে দেয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এসি নন এসি- কোন বাসেরই নাকি টিকেট নেই। সেখানে কর্মরত একজন টিকেট বিক্রেতা দুলাল জানিয়েছেন টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে । না থাকলে কোথা থেকে দেয়া হবে। কিন্তু ঈদের আগে বা পরে অগ্রিম টিকেট বিক্রির কোন ঘোষনা কেন দেয়া হলোনা এর কোন সদুত্তর মেলেনি।
একই ভাবে হানিফ কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল একই দৃশ্য। একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছেন কাউন্টারে থাকা কর্মচারীরা।
রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে চট্টগ্রামে কাল শনিবারের টিকেট নিতে এসেছিলেন শরিফুল নামে এক ব্যাক্তি। তিনি জানালেন রোববার পহেলা বৈশাখ বন্ধ থাকায় সোমবার কাজে যোগ দিতেই হবে। সে জন্য আগাম শুক্রবার এসে সোমবারের কোন টিকেট পাচ্ছিনা। ফলে মহাবিপদে পড়েছি।
একই কথা জানালেন লালমনিরহাট থেকে চট্রগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিকেট কিনতে আসা লাইলী আখতার। তিনি জানান তারা স্বামী স্ত্রী ও ননদ চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করেন টিকেট নিতে এসে দুঘন্টা ধরে বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরছেন কিন্তু টিকেট মিলছেনা।
অন্যদিকে শ্যামলী পরিবহন , নাবিল পরিবহন , ডিপজল পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে একই দৃশ্য দেখা গেল কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকেট নেই। ঢাকা গামি যাত্রী বেলাল ও মোরশেদ জানালেন ঈদের দুদিন আগে বুধবার তারা ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে এসেছিলেন অগ্রিম টিকেট কেনার জন্য কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে টিকেটের সমস্যা হবেনা, কিন্তু দুদিন আগে শুক্রবার বিকেল থেকে ঘুরছেন কোন কাউন্টারেই টিকেট নেই বলে বলা হচ্ছে। তারা জানালেন কোন টিকেট কাউন্টারে নোটিশ দেয়া নেই যে টিকেট বিক্রি শেষ। আসলে তারা তাদের লোকজনদের দিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুন মুল্যে টিকেট বিক্রি করছেন।
সরেজমিন ঢাকা কোচ ষ্টান্ডের আশে পাশের্^ বেশ কয়েকজন দালাল আর বাস কাউন্টারের কর্মচারী গোপনে দ্বিগুন মুল্যে টিকেট বিক্রি করছেন দেখে তার কাছে গেলে দ্রæত সটকে পড়েন।
ঈদ উপলক্ষে টিকেটের দাম বেশী করে নেবার অভিযোগ।
ঢাকা কোচ ষ্টান্ডের এসআর ট্রাভেলস , হানিফ এন্টারপ্রাইজ , নাবিল পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন , আগমনী সহ সব কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে ৭শ টাকার নন এসি টিকেট ৮শ ৭০ টাকা আর ১৫শ টাকার এসি টিকেট আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কেন দাম বেশী নেয়া হচ্ছে এর কোন সদুত্তোর না দিয়ে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে ঢাকা থেকে যাত্রী তেমন না পাওয়ায় তারা খালি বাস নিয়ে রংপুরে আসছেন। ফলে তাদের লোকসান হচ্ছে সে কারনে বেশী নেবার কথা উঠেছে। আসলে বাসের মাইল অনুযায়ী ভাড়া নেয়া হচ্ছে তারা নাকি বেশী ভাড়া নিচ্ছেননা বলে দাবি তাদের। এ ব্যাপারে নাবিল পরিবহনের একজন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম দাবি করেন ঈদ উপলক্ষে খালি গাড়ি ঢাকা থেকে আসছে ফলে তাদের লোকসান হচ্ছে। তবে এ অবস্থা এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে এরপর আগের মতো স্বাভাবিক দামে টিকেট পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
সার্বিক ব্যাপারে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল্লা জানান কোন নৈরাজ্য নেই প্রকৃত পক্ষে বাসের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় এরকম মনে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
রংপুরে ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে টিকেট বিক্রিতে নৈরাজ্য,ইচ্ছে মতো দামে বিক্রি হচ্ছে। আশে পাশের জেলা থেকে স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আসা হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরে যাবার জন্য বাসের টিকেট পাচ্ছেনা। বিশেষ করে শনিবার ও রোববারের রংপুর থেকে ঢাকাগামি কোন বাস কাউন্টারেই টিকেট নেই বলে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে। ফলে টিকেট নিতে আসা শত শত যাত্রী চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফলে যারা ঈদ করতে রংপুর সহ পাশ^বর্তী জেলা থেকে এসেছেন এমন যাত্রীদের সোমবার ঢাকায় অফিস করতেই হবে তারা চরম দুঃচিন্তায় পড়েছেন।
তবে বাস কাউন্টারে টিকেট নেই বলা হলেও কালোবাজারীসহ কাউন্টারের লোকজন গোপনে নন এসি ৮শ টাকা টিকেট ১৫শ টাকা, এসির ১৫শ টাকার টিকেট ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রংপুর নগরীর ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে টিকেট বিক্রি চলছে চরম নৈরাজ্য, ইচ্ছে মতো দামে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
শুক্রবার সন্ধার পর সরেজমিন রংপুর নগরীর কামারপাড়া এলাকায় অবস্থিত ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঘুরে দেখা গেছে শনিবার বা রোববারের কোন টিকেট নাকি নেই,সবই বিক্রি হয়ে গেছে বলছেন কাউন্টরের লোকজন।
এসআর ট্রাবেলস কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল সেখান থেকে বলে দেয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এসি নন এসি- কোন বাসেরই নাকি টিকেট নেই। সেখানে কর্মরত একজন টিকেট বিক্রেতা দুলাল জানিয়েছেন টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে । না থাকলে কোথা থেকে দেয়া হবে। কিন্তু ঈদের আগে বা পরে অগ্রিম টিকেট বিক্রির কোন ঘোষনা কেন দেয়া হলোনা এর কোন সদুত্তর মেলেনি।
একই ভাবে হানিফ কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল একই দৃশ্য। একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছেন কাউন্টারে থাকা কর্মচারীরা।
রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে চট্টগ্রামে কাল শনিবারের টিকেট নিতে এসেছিলেন শরিফুল নামে এক ব্যাক্তি। তিনি জানালেন রোববার পহেলা বৈশাখ বন্ধ থাকায় সোমবার কাজে যোগ দিতেই হবে। সে জন্য আগাম শুক্রবার এসে সোমবারের কোন টিকেট পাচ্ছিনা। ফলে মহাবিপদে পড়েছি।
একই কথা জানালেন লালমনিরহাট থেকে চট্রগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিকেট কিনতে আসা লাইলী আখতার। তিনি জানান তারা স্বামী স্ত্রী ও ননদ চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করেন টিকেট নিতে এসে দুঘন্টা ধরে বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরছেন কিন্তু টিকেট মিলছেনা।
অন্যদিকে শ্যামলী পরিবহন , নাবিল পরিবহন , ডিপজল পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে একই দৃশ্য দেখা গেল কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকেট নেই। ঢাকা গামি যাত্রী বেলাল ও মোরশেদ জানালেন ঈদের দুদিন আগে বুধবার তারা ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে এসেছিলেন অগ্রিম টিকেট কেনার জন্য কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে টিকেটের সমস্যা হবেনা, কিন্তু দুদিন আগে শুক্রবার বিকেল থেকে ঘুরছেন কোন কাউন্টারেই টিকেট নেই বলে বলা হচ্ছে। তারা জানালেন কোন টিকেট কাউন্টারে নোটিশ দেয়া নেই যে টিকেট বিক্রি শেষ। আসলে তারা তাদের লোকজনদের দিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুন মুল্যে টিকেট বিক্রি করছেন।
সরেজমিন ঢাকা কোচ ষ্টান্ডের আশে পাশের্^ বেশ কয়েকজন দালাল আর বাস কাউন্টারের কর্মচারী গোপনে দ্বিগুন মুল্যে টিকেট বিক্রি করছেন দেখে তার কাছে গেলে দ্রæত সটকে পড়েন।
ঈদ উপলক্ষে টিকেটের দাম বেশী করে নেবার অভিযোগ।
ঢাকা কোচ ষ্টান্ডের এসআর ট্রাভেলস , হানিফ এন্টারপ্রাইজ , নাবিল পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন , আগমনী সহ সব কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে ৭শ টাকার নন এসি টিকেট ৮শ ৭০ টাকা আর ১৫শ টাকার এসি টিকেট আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কেন দাম বেশী নেয়া হচ্ছে এর কোন সদুত্তোর না দিয়ে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে ঢাকা থেকে যাত্রী তেমন না পাওয়ায় তারা খালি বাস নিয়ে রংপুরে আসছেন। ফলে তাদের লোকসান হচ্ছে সে কারনে বেশী নেবার কথা উঠেছে। আসলে বাসের মাইল অনুযায়ী ভাড়া নেয়া হচ্ছে তারা নাকি বেশী ভাড়া নিচ্ছেননা বলে দাবি তাদের। এ ব্যাপারে নাবিল পরিবহনের একজন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম দাবি করেন ঈদ উপলক্ষে খালি গাড়ি ঢাকা থেকে আসছে ফলে তাদের লোকসান হচ্ছে। তবে এ অবস্থা এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে এরপর আগের মতো স্বাভাবিক দামে টিকেট পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
সার্বিক ব্যাপারে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল্লা জানান কোন নৈরাজ্য নেই প্রকৃত পক্ষে বাসের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় এরকম মনে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।