উপজেলা নির্বাচন
রংপুর ২ আসনের এমপি ডিউক চৌধুরী দলীয় নির্দেশ অমান্য করে তারাগঞ্জ উপজেলা সদরে সাবেক বিএনপি ও বর্তমান জাপা নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুর রহমান মার্শালকে সঙ্গে নিয়ে তার সমর্থনে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তিনি এর আগেও নির্বাচন করেছেন, ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। একসময় করতেন বিএনপি, ছিলেন দলটির উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক। তবে তা বছর ছয়-সাত আগের কথা। দল পালটিয়ে তিনি এখন জাতীয় পার্টিতে। আর তাকে নিয়েই তারাগঞ্জে এখন তুমুল আলোচনা। কারন রংপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক।
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য তারাগজ্ঞ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক বিএনপি ও এখনকার জাপা নেতা শাহিনুর রহমান মার্শালকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যেই বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে ভোট দেবার আহবান জানাচ্ছেন। রংপুর-২ আসনটি তারাগজ্ঞ ও বদরগজ্ঞ উপজেলা নিয়ে গঠিত।
এমপি ডিউক চৌধুরীর জাপা নেতার পক্ষে ভোট চাওয়া সংক্রান্ত একাধিক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ডিউক চৌধুরীর বক্তব্য সংসদ নির্বাচনে যারা তার ‘বিরোধিতা করেছেন’ তিনি তাদের ‘পক্ষে থাকবেন না’ বলেই তার এই পদক্ষেপ।
আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিরা কেউ প্রচার, প্রচারনায় অংশ নিতে পারেন না। আর এবারকার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কাউকে দলীয় মনোনয়ন বা সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর মন্ত্রী, এমপিরা যেন এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়েও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় তারাগজ্ঞে আগামী ৫ জুন ভোটের তারিখ ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
সরেজমিন তারাগজ্ঞ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইতিমধ্যে কোঁমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রচার, প্রচারণা আর গনসংযোগে।
তারাগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার প্রশ্ন তুলেন কী করে তাদের দলের সংসদ সদস্য আরেক দলের লোকের পক্ষে ভোট চাইছেন।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলের সকল স্তরের নেতা কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় আমরা লজ্জিত, সাধারন মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছিনা।‘
আর তারাগজ্ঞ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘তিনি (এমপি ডিউক চৌধুরী) গত ১৩ এপ্রিল আমার এলাকায় অবৈধ ভাবে একটি মেলা উদ্বোধনের সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও পর পর দুইবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটনকে মাইকে গালাগালি করেন। তার পছন্দের প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শলকে ভোট দেবার আহবান জানান।‘
একই অভিযোগ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তুহিনুর ইসলামের। তিনি সংবাদকে জানান, গত ১৫ এপ্রিল রহিমাপুর গ্রামে সংখ্যালঘুদের একটি অনুষ্ঠানে এমপি চৌধুরী ডিউক এসে তার মনোনীত প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শলকে এলাকার মানুষজনের সাথে পরিচয় করে দিয়ে তার পক্ষে ভোট চান।
তারাগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য আতিয়ার রহমান সংবাদকে জানান, ‘এমপি সাহেবের এমন আচরনে আমরা দলের নেতা, কর্মীরা সাধারন মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছিনা। তাকে বার বার নিষেধ করার পরেও তিনি মানছেন না। দলের হাই কমান্ডকেও মানছেন না।‘
তিনি বলেন, ‘দলের নির্দ্দেশনা অনুযায়ী আমরা কোন দলীয় নেতা বা সমর্থক কারো পক্ষে নেই। যে কোন ব্যাক্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে এতে আমরা কিছু বলছিনা। কিন্তু এমপি এমন একজনকে নিয়ে গনসংযোগ করছেন যার কোন গনভিত্তি নেই।‘
বিভিন্ন সভা সমাবেশে এমপি ডিউক চৌধুরী যে তার সমর্থনে ছিলেন তা স্বীকার করেছেন শাহিনুর রহমান মার্শাল। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এতে খারাপ কিছু তো দেখিনা।‘
আর এমপি আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক সংবাদকে বলেন, ‘এমপি নির্বাচনে যারা আমার বিরোধিতা করেছে আমি তাদের পক্ষে থাকতে পারি না।‘ তবে কি তিনি নির্বাচনী আইন ও দলের নির্দেশ মানছেন না— এমন প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি।
উপজেলা নির্বাচন
রংপুর ২ আসনের এমপি ডিউক চৌধুরী দলীয় নির্দেশ অমান্য করে তারাগঞ্জ উপজেলা সদরে সাবেক বিএনপি ও বর্তমান জাপা নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুর রহমান মার্শালকে সঙ্গে নিয়ে তার সমর্থনে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন
রোববার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তিনি এর আগেও নির্বাচন করেছেন, ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। একসময় করতেন বিএনপি, ছিলেন দলটির উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক। তবে তা বছর ছয়-সাত আগের কথা। দল পালটিয়ে তিনি এখন জাতীয় পার্টিতে। আর তাকে নিয়েই তারাগঞ্জে এখন তুমুল আলোচনা। কারন রংপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক।
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য তারাগজ্ঞ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক বিএনপি ও এখনকার জাপা নেতা শাহিনুর রহমান মার্শালকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যেই বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে ভোট দেবার আহবান জানাচ্ছেন। রংপুর-২ আসনটি তারাগজ্ঞ ও বদরগজ্ঞ উপজেলা নিয়ে গঠিত।
এমপি ডিউক চৌধুরীর জাপা নেতার পক্ষে ভোট চাওয়া সংক্রান্ত একাধিক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ডিউক চৌধুরীর বক্তব্য সংসদ নির্বাচনে যারা তার ‘বিরোধিতা করেছেন’ তিনি তাদের ‘পক্ষে থাকবেন না’ বলেই তার এই পদক্ষেপ।
আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিরা কেউ প্রচার, প্রচারনায় অংশ নিতে পারেন না। আর এবারকার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কাউকে দলীয় মনোনয়ন বা সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর মন্ত্রী, এমপিরা যেন এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়েও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় তারাগজ্ঞে আগামী ৫ জুন ভোটের তারিখ ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
সরেজমিন তারাগজ্ঞ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইতিমধ্যে কোঁমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রচার, প্রচারণা আর গনসংযোগে।
তারাগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার প্রশ্ন তুলেন কী করে তাদের দলের সংসদ সদস্য আরেক দলের লোকের পক্ষে ভোট চাইছেন।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলের সকল স্তরের নেতা কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় আমরা লজ্জিত, সাধারন মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছিনা।‘
আর তারাগজ্ঞ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘তিনি (এমপি ডিউক চৌধুরী) গত ১৩ এপ্রিল আমার এলাকায় অবৈধ ভাবে একটি মেলা উদ্বোধনের সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও পর পর দুইবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটনকে মাইকে গালাগালি করেন। তার পছন্দের প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শলকে ভোট দেবার আহবান জানান।‘
একই অভিযোগ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তুহিনুর ইসলামের। তিনি সংবাদকে জানান, গত ১৫ এপ্রিল রহিমাপুর গ্রামে সংখ্যালঘুদের একটি অনুষ্ঠানে এমপি চৌধুরী ডিউক এসে তার মনোনীত প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শলকে এলাকার মানুষজনের সাথে পরিচয় করে দিয়ে তার পক্ষে ভোট চান।
তারাগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য আতিয়ার রহমান সংবাদকে জানান, ‘এমপি সাহেবের এমন আচরনে আমরা দলের নেতা, কর্মীরা সাধারন মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছিনা। তাকে বার বার নিষেধ করার পরেও তিনি মানছেন না। দলের হাই কমান্ডকেও মানছেন না।‘
তিনি বলেন, ‘দলের নির্দ্দেশনা অনুযায়ী আমরা কোন দলীয় নেতা বা সমর্থক কারো পক্ষে নেই। যে কোন ব্যাক্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে এতে আমরা কিছু বলছিনা। কিন্তু এমপি এমন একজনকে নিয়ে গনসংযোগ করছেন যার কোন গনভিত্তি নেই।‘
বিভিন্ন সভা সমাবেশে এমপি ডিউক চৌধুরী যে তার সমর্থনে ছিলেন তা স্বীকার করেছেন শাহিনুর রহমান মার্শাল। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এতে খারাপ কিছু তো দেখিনা।‘
আর এমপি আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক সংবাদকে বলেন, ‘এমপি নির্বাচনে যারা আমার বিরোধিতা করেছে আমি তাদের পক্ষে থাকতে পারি না।‘ তবে কি তিনি নির্বাচনী আইন ও দলের নির্দেশ মানছেন না— এমন প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি।