তীব্র তাপপ্রবাহে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর চাপ। তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলে বিদ্যুৎ লোডশেডিং, এ যেন কষ্টের সিমা নেই! তীব্র গরমে আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে।
আজ রোববার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চুনারুঘাট উপজেলা হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের মেঝেতে। আবার অনেক রোগীর ঠাঁই মিলেছে হাসপাতালের বারান্দায়। জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। এছাড়াও শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের নার্স লাকি আক্তার জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত ১৩৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনই শিশু। শুক্র ও শনিবার একই অবস্থা ছিল। সব মিলিয়ে দুতিন দিনে প্রায় আড়াই / তিন শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। গরমে রোগীর চাপ বাড়ছে। নানা ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। চুনারুঘাট উপজেলার হুরপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া জানান, অতিরিক্ত গরমে তার ভাগ্নি মরিয়মের ঠান্ডা লেগেছে। সে থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে এই গরমে তাদের শরীরের প্রতি বাড়তি যতœ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পরিমান বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি ও স্যালাইন পান করতে হবে। শিশুদের অতিরিক্ত গরমে বাইরে চলাচল করতে দেয়া অনুচিত। তৃষ্ণা মেটাতে বেশি ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আবার অনেকেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা খাবার খেয়ে আমাশয় ও ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন আবহাওয়ায় সেটা মারত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কথাও জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
রোববার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
তীব্র তাপপ্রবাহে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর চাপ। তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলে বিদ্যুৎ লোডশেডিং, এ যেন কষ্টের সিমা নেই! তীব্র গরমে আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে।
আজ রোববার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চুনারুঘাট উপজেলা হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের মেঝেতে। আবার অনেক রোগীর ঠাঁই মিলেছে হাসপাতালের বারান্দায়। জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। এছাড়াও শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের নার্স লাকি আক্তার জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত ১৩৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনই শিশু। শুক্র ও শনিবার একই অবস্থা ছিল। সব মিলিয়ে দুতিন দিনে প্রায় আড়াই / তিন শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। গরমে রোগীর চাপ বাড়ছে। নানা ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। চুনারুঘাট উপজেলার হুরপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া জানান, অতিরিক্ত গরমে তার ভাগ্নি মরিয়মের ঠান্ডা লেগেছে। সে থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে এই গরমে তাদের শরীরের প্রতি বাড়তি যতœ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পরিমান বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি ও স্যালাইন পান করতে হবে। শিশুদের অতিরিক্ত গরমে বাইরে চলাচল করতে দেয়া অনুচিত। তৃষ্ণা মেটাতে বেশি ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আবার অনেকেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা খাবার খেয়ে আমাশয় ও ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন আবহাওয়ায় সেটা মারত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কথাও জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।