চট্টগ্রাম কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ পৌঁছেছে। সেতু নির্মাণে বিদেশি দাতা সংস্থার সঙ্গে ‘ঋণচুক্তির’ কথা-বার্তাও সেরে নিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসে ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর হবে। ফলে ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে’ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। সেতুটি ‘২০২৮ সালের মধ্যে’ নির্মাণ কাজ শেষ হবে, রেলওয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা।
রেলওয়ে জানায়, সেতুটি নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের ‘দুই-তৃতীয়াংশ’, তথা ৮ হাজার কোটি টাকা বহন করতে রাজি হয়েছে দাতা সংস্থা-কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক। আর বাকি খরচ তথা ৪ হাজার কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করবে সরকার।
বিটিশ আমলে নির্মিত প্রায় ১০০ বছর বয়সী বিদ্যামান কালুরঘাট সেতু তিন দফা বড় সংস্কার করা হয়। গতবছর কক্সবাজারের নতুন রেলপথ চালুতেও সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও কম গতিতে ও ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে ট্রেন। ট্রেনের পাশাপাশি যানবাহনও চলছে ঝুঁকি নিয়ে।
বিদ্যামান এই একমুখী সেতুর একপাশে গাড়ি উঠলে আরেকপাশ বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি চলছে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। তাই এই সেতুর স্থলে আরেকটি নতুন রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
এ কারণে প্রত্যেক সংসদ নির্বাচনেই নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়টি রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে প্রার্থীদের প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতিতে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও বিভিন্ন সময় সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ চালুতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে কালুরঘাট সেতু। ওই পথ নির্মাণের শুরু থেকেই এখানে নতুন সেতু নির্মাণের কথা জানিয়ে আসছে রেলওয়ে।
সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী ২৭ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘সেতুটি নির্মাণে সম্প্রতি আমরা দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক আমাদের কথা দিয়েছে। তারা আগামী জুনে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করতে চায়।’
রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
চট্টগ্রাম কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ পৌঁছেছে। সেতু নির্মাণে বিদেশি দাতা সংস্থার সঙ্গে ‘ঋণচুক্তির’ কথা-বার্তাও সেরে নিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসে ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর হবে। ফলে ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে’ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। সেতুটি ‘২০২৮ সালের মধ্যে’ নির্মাণ কাজ শেষ হবে, রেলওয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা।
রেলওয়ে জানায়, সেতুটি নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের ‘দুই-তৃতীয়াংশ’, তথা ৮ হাজার কোটি টাকা বহন করতে রাজি হয়েছে দাতা সংস্থা-কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক। আর বাকি খরচ তথা ৪ হাজার কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করবে সরকার।
বিটিশ আমলে নির্মিত প্রায় ১০০ বছর বয়সী বিদ্যামান কালুরঘাট সেতু তিন দফা বড় সংস্কার করা হয়। গতবছর কক্সবাজারের নতুন রেলপথ চালুতেও সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও কম গতিতে ও ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে ট্রেন। ট্রেনের পাশাপাশি যানবাহনও চলছে ঝুঁকি নিয়ে।
বিদ্যামান এই একমুখী সেতুর একপাশে গাড়ি উঠলে আরেকপাশ বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি চলছে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। তাই এই সেতুর স্থলে আরেকটি নতুন রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
এ কারণে প্রত্যেক সংসদ নির্বাচনেই নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়টি রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে প্রার্থীদের প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতিতে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও বিভিন্ন সময় সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ চালুতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে কালুরঘাট সেতু। ওই পথ নির্মাণের শুরু থেকেই এখানে নতুন সেতু নির্মাণের কথা জানিয়ে আসছে রেলওয়ে।
সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী ২৭ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘সেতুটি নির্মাণে সম্প্রতি আমরা দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক আমাদের কথা দিয়েছে। তারা আগামী জুনে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করতে চায়।’