বাংলাদেশী রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতের আসাম রাজ্যের শাইন অ্যাসোসিয়েট। ইতোমধ্যে তারা বাংলাদেশ এবং ভারতের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। শাইন অ্যাসোসিয়েটের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। শাইন অ্যাসোসিয়েশনের ভাষ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর রোগী বছরে চেন্নাই, বেঙ্গালুর, কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরের চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে রোগীদের অ্যাটেনডেন্সসহ প্রচুর টাকা খরচ হয়। উল্লেখিত শহরগুলোর মতো আসামের গুয়াহাটি শহরে স্বল্প খরচে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব। কারণ এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপোলো হসপিটাল, শংকর নেত্রালয়, নারায়ণা হসপিটাল এবং কালীচরণ ক্যান্সার হসপিটালের মতো মানসম্মত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ফলে শাইন অ্যাসোসিয়েট প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, সিলেট এবং ময়মনসিংহ এই তিনটি বিভাগীয় শহরে তাদের বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে শুধুমাত্র এই তিনটি শহরকেই কেন বেছে নেওয়া হলো তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে শাইন অ্যাসোসিয়েট। এই শহরগুলোর রোগীরা খুব সহজেই গুয়াহাটি শহরে তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে রোগীর মেডিকেল ভিসায় সহায়তা, চিকিৎসকের পরামর্শ, এপয়েন্টমেন্ট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়া সব কিছুরই ব্যবস্থা নেবে শাইন অ্যাসোসিয়েট। এরই লক্ষ্যে বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
শাইন অ্যাসোসিয়েটর অন্যতম পরিচালক লাচিত কলিতা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিতে সঙ্গত কারণেই রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এরপর প্রাধান্যতা পেয়েছে সিলেট এবং ময়মনসিংহ। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কেউ চাইলে ট্রেন কিংবা বাসে করে বাংলাদেশের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। একই অবস্থা সিলেটি রোগীদের ক্ষেত্রেও। তামাবিল দিয়ে ভারতের ডাউকি সীমান্তে প্রবেশের পর সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে গুয়াহাটি পৌঁছানো যায়। এক্ষেত্রে একজন রোগী এক হাজার রুপির মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছেন। একই অবস্থা ময়মনসিংহের ক্ষেত্রেও। তারা সেখানকার তোরা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের পর মাত্র পাঁচ ঘন্টায় গুয়াহাটিতে পৌঁছতে পারছেন। গুয়াহাটিতে পৌঁছানোর পর চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে স্বল্প মূল্যে থাকা-খাওয়া সব কিছুর এই ব্যবস্থা নেবে তারা। লাচিত কলিতা বলেন, ভারত- বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশ। তাছাড়া সিলেট এবং ময়মনসিংহের সঙ্গে আসাম তথা গুয়াহাটির একটি আত্মার সম্পর্ক। আমাদের প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মেডিকেল ট্যুরিজম। আমরা বলছি না যে কেউ চেন্নাই, বেঙ্গালুর বা কলকাতা যাক না। আমরা জানান দিচ্ছি এটাই, ওই শহরগুলোতে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার মতো অনেকের সামর্থ্য নেই। ফলে সেখানকার গুণগত মানের চিকিৎসা সেবা গুয়াহাটিতে সম্ভব। আর যেহেতু রাজধানী ঢাকা, সিলেট এবং ময়মনসিংহের সাথে সড়ক পথে ভালো তাই খুব সহজে স্বল্প মূল্যে এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। আর আমরা এই সেবাটিই বাংলাদেশের রোগীদের দিতে চাচ্ছি।
শাইন অ্যাসোসিয়েটর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নেয়া বাংলাদেশের এক রোগী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে আমি গুয়াহাটিতে পৌঁছাই । শুক্রবার সকালে আমি ডাক্তার দেখিয়ে ওই দিনই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই। শনি এবং রবিবার সরকারি বন্ধ থাকায় সোমবার ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখিয়ে আমার চিকিৎসা সম্পন্ন করি। অ্যাপোলো হসপিটালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাধন বি দাস দীর্ঘ সময় নিয়ে আমার সমস্যাগুলো শুনেন এবং রিপোর্ট দেখার পর করণীয় নির্ধারণ করেন।
শাইন অ্যাসোসিয়েটস-এর পরিচালক বিনয় সরকার বলেন, তাদের মেডিকেল ট্যুরিজমে গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারী সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের রোগীদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা অভিজ্ঞতার সুবিধার্থে নিবেদিত, শাইন অ্যাসোসিয়েটস ব্যাপক সহায়তা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে শীর্ষ-স্তরের চিকিৎসা, বাসস্থান, পরিবহন এবং আরও অনেক কিছু। আসামের প্রিমিয়ার সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতালের সাথে অংশীদারিত্ব করে, শাইন অ্যাসোসিয়েটস বন্ধুপ্রতীম দেশ থেকে আসা রোগীদের জন্য উচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে৷ বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলিতে কৌশলগতভাবে আউটরিচ অফিসগুলির অবস্থান সহ, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল রোগীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং প্রতিটি পদক্ষেপে স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজতর করা।
শাইন অ্যাসোসিয়েটের মাধ্যমে যারা চিকিৎসাসেবা নিতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে রেজিস্ট্রেশন বুথ স্থাপন করতে ইচ্ছুক তাদেরকে ০০৯১৯৩৬৫৪৯৫০৯৭, ০০৯১৯৮৬৪০২৩৭১৯- এই নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারী দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন বলেন, তাদের উদ্যেগটি মহৎ। যেহেতু বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবার বিষয়, তাই তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
বাংলাদেশী রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতের আসাম রাজ্যের শাইন অ্যাসোসিয়েট। ইতোমধ্যে তারা বাংলাদেশ এবং ভারতের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। শাইন অ্যাসোসিয়েটের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। শাইন অ্যাসোসিয়েশনের ভাষ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর রোগী বছরে চেন্নাই, বেঙ্গালুর, কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরের চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে রোগীদের অ্যাটেনডেন্সসহ প্রচুর টাকা খরচ হয়। উল্লেখিত শহরগুলোর মতো আসামের গুয়াহাটি শহরে স্বল্প খরচে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব। কারণ এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপোলো হসপিটাল, শংকর নেত্রালয়, নারায়ণা হসপিটাল এবং কালীচরণ ক্যান্সার হসপিটালের মতো মানসম্মত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ফলে শাইন অ্যাসোসিয়েট প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, সিলেট এবং ময়মনসিংহ এই তিনটি বিভাগীয় শহরে তাদের বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে শুধুমাত্র এই তিনটি শহরকেই কেন বেছে নেওয়া হলো তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে শাইন অ্যাসোসিয়েট। এই শহরগুলোর রোগীরা খুব সহজেই গুয়াহাটি শহরে তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে রোগীর মেডিকেল ভিসায় সহায়তা, চিকিৎসকের পরামর্শ, এপয়েন্টমেন্ট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়া সব কিছুরই ব্যবস্থা নেবে শাইন অ্যাসোসিয়েট। এরই লক্ষ্যে বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
শাইন অ্যাসোসিয়েটর অন্যতম পরিচালক লাচিত কলিতা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিতে সঙ্গত কারণেই রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এরপর প্রাধান্যতা পেয়েছে সিলেট এবং ময়মনসিংহ। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কেউ চাইলে ট্রেন কিংবা বাসে করে বাংলাদেশের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। একই অবস্থা সিলেটি রোগীদের ক্ষেত্রেও। তামাবিল দিয়ে ভারতের ডাউকি সীমান্তে প্রবেশের পর সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে গুয়াহাটি পৌঁছানো যায়। এক্ষেত্রে একজন রোগী এক হাজার রুপির মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছেন। একই অবস্থা ময়মনসিংহের ক্ষেত্রেও। তারা সেখানকার তোরা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের পর মাত্র পাঁচ ঘন্টায় গুয়াহাটিতে পৌঁছতে পারছেন। গুয়াহাটিতে পৌঁছানোর পর চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে স্বল্প মূল্যে থাকা-খাওয়া সব কিছুর এই ব্যবস্থা নেবে তারা। লাচিত কলিতা বলেন, ভারত- বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশ। তাছাড়া সিলেট এবং ময়মনসিংহের সঙ্গে আসাম তথা গুয়াহাটির একটি আত্মার সম্পর্ক। আমাদের প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মেডিকেল ট্যুরিজম। আমরা বলছি না যে কেউ চেন্নাই, বেঙ্গালুর বা কলকাতা যাক না। আমরা জানান দিচ্ছি এটাই, ওই শহরগুলোতে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার মতো অনেকের সামর্থ্য নেই। ফলে সেখানকার গুণগত মানের চিকিৎসা সেবা গুয়াহাটিতে সম্ভব। আর যেহেতু রাজধানী ঢাকা, সিলেট এবং ময়মনসিংহের সাথে সড়ক পথে ভালো তাই খুব সহজে স্বল্প মূল্যে এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। আর আমরা এই সেবাটিই বাংলাদেশের রোগীদের দিতে চাচ্ছি।
শাইন অ্যাসোসিয়েটর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নেয়া বাংলাদেশের এক রোগী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে আমি গুয়াহাটিতে পৌঁছাই । শুক্রবার সকালে আমি ডাক্তার দেখিয়ে ওই দিনই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই। শনি এবং রবিবার সরকারি বন্ধ থাকায় সোমবার ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখিয়ে আমার চিকিৎসা সম্পন্ন করি। অ্যাপোলো হসপিটালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাধন বি দাস দীর্ঘ সময় নিয়ে আমার সমস্যাগুলো শুনেন এবং রিপোর্ট দেখার পর করণীয় নির্ধারণ করেন।
শাইন অ্যাসোসিয়েটস-এর পরিচালক বিনয় সরকার বলেন, তাদের মেডিকেল ট্যুরিজমে গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারী সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের রোগীদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা অভিজ্ঞতার সুবিধার্থে নিবেদিত, শাইন অ্যাসোসিয়েটস ব্যাপক সহায়তা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে শীর্ষ-স্তরের চিকিৎসা, বাসস্থান, পরিবহন এবং আরও অনেক কিছু। আসামের প্রিমিয়ার সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতালের সাথে অংশীদারিত্ব করে, শাইন অ্যাসোসিয়েটস বন্ধুপ্রতীম দেশ থেকে আসা রোগীদের জন্য উচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে৷ বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলিতে কৌশলগতভাবে আউটরিচ অফিসগুলির অবস্থান সহ, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল রোগীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং প্রতিটি পদক্ষেপে স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজতর করা।
শাইন অ্যাসোসিয়েটের মাধ্যমে যারা চিকিৎসাসেবা নিতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে রেজিস্ট্রেশন বুথ স্থাপন করতে ইচ্ছুক তাদেরকে ০০৯১৯৩৬৫৪৯৫০৯৭, ০০৯১৯৮৬৪০২৩৭১৯- এই নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারী দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন বলেন, তাদের উদ্যেগটি মহৎ। যেহেতু বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবার বিষয়, তাই তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।