চট্টগ্রামের বাঁশখালী ছনুয়া-কুতুবদিয়া জেটিঘাট এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বাঁশখালীর সাগরপাড়ে অবস্থিত কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীর মানুষের পারাপারের অন্যতম মাধ্যম এ ছনুয়া-কুতুবদিয়া টার্মিনাল জেটিঘাটটি কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের মুখ দেখেনি। অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা এ কাঠের তৈরি জেটি ঘাট যেন কালের সাক্ষী। দেশের সব জায়গায় কমবেশি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও ছনুয়া জেটিঘাট এখনও সেই মান্ধাতার আমলের কাঠের তৈরি। বাঁশ ও কাঠের তৈরি নড়বড়ে জেটিঘাটটি মাঝখান বরাবর দেবে গেছে। সাগরের সঙ্গে সংযোগ ঘাটের ১০ থেকে ১২ ফুটের মতো দীর্ঘ অংশ মূল জেটিঘাট থেকে ঝুলে আছে।
জোয়ার ভাঁটার দোল খেয়ে নড়বড়ে হয়ে গেছে কাঠের নাট বল্টু, মারাত্মক ঝুঁকি মাথায় নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম এর অধীনে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ডাক হয়। সরকারি রাজস্ব আদায় হলেও ছনুয়া জেটিঘাটটি সংস্কার না হওয়ায় ঝুলে আছে উভয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে ছনুয়া জেটিঘাটকেই ব্যবহার করছে শিশু থেকে বৃদ্ধাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ মুজিবুর রহমান সিআইপি এমপি বলেছেন, ‘ছনুয়াঘাট আরসিসি হওয়ার বিষয়ে সব কাগজপত্র চলে আসছে। ইনশাআল্লাহ ঘাট হয়ে যাবে। কুতুবদিয়া থেকে যে চ্যানেলে আপনারা বোট নিয়ে চলাচল করেন, সে সমস্যা সমাধানের জন্য টেম্পু স্থাপন করা হবে। ফেরির নতুন ভার্সন টেম্পু। ১০০ থেকে ২০০ মতো মানুষ ও কয়েকটা গাড়ি চলাচল করতে পারবে টেম্পুর মাধ্যমে। ছনুয়ার উন্নয়ন মানে বাঁশখালীর উন্নয়ন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ছনুয়া জেটিঘাটটি সংস্কার হলে উভয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
জানা যায়, ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাট হয়ে প্রতিনিয়ত লোকজন করেন। এছাড়া কুতুবদিয়ার প্রখ্যাত আউলিয়া, পীরে কামেল আবদুল মালেক শাহ (রহ.)’র মাজার শরীফ জিয়ারত করার জন্য প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেক ও মুরিদানরা মাজার জিয়ারত করতে আসেন এই জেটি দিয়ে। অধিকাংশ মানুষের কুতুবদিয়া-বাঁশখালী যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম এই ছনুয়া জেটিঘাট। অন্যদিকে কুতুবদিয়া-ছনুয়ার অধিকাংশ লবণ ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার প্রতিনিয়ত এ ঘাটই ব্যবহার করে থাকে।
বাঁশখালীর ব্যবসায়ী আনছার, ফজলুল কাদের ও আবদু ছোবহান জানান, ছনুয়া জেটিঘাট দিয়ে কুতুবদিয়ার ধুরুংঘাট ও আকবলীর ঘাটে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে উভয় অঞ্চলের লোকজন। বিশেষ করে শহর থেকে ব্যবসায়ের জন্য বিভিন্ন মালামাল বহন করতে, নিয়মিত যাতায়াতে এ ঘাটটিই আমরা ব্যবহার করছি চরম ঝুঁকি নিয়ে। যে কোনো সময় ভয়ানক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জেটিঘাটের রাস্তায় সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ২টি দোকান। সরকারি জায়গা দখল করে নির্মিত ওই দোকান গুলোতে প্রকাশ্যে মালামাল বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন নীরব দর্শক।
ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাটের সাবেক ইজারাদার শমসের শরিফী বলেন, বিআইডব্লিটি-এর অধীনে অন্যান্য স্থানের ঘাটগুলো পাকা থাকলেও বাঁশখালী অংশে ছনুয়া মনু মিয়াজিঘাট এখনও পর্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক নয়ন শীল দৈনিক সংবাদকে বলেন, কুতুবদিয়া-বাঁশখালী সংযোগ ছনুয়া মনুমিয়াজি জেটিঘাটটির বেহাল অবস্থার বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। ছনুয়া জেটিঘাট সংস্কার করার জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। টেন্ডার বাস্তবায়ন হলে খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।
শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
চট্টগ্রামের বাঁশখালী ছনুয়া-কুতুবদিয়া জেটিঘাট এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বাঁশখালীর সাগরপাড়ে অবস্থিত কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীর মানুষের পারাপারের অন্যতম মাধ্যম এ ছনুয়া-কুতুবদিয়া টার্মিনাল জেটিঘাটটি কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের মুখ দেখেনি। অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা এ কাঠের তৈরি জেটি ঘাট যেন কালের সাক্ষী। দেশের সব জায়গায় কমবেশি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও ছনুয়া জেটিঘাট এখনও সেই মান্ধাতার আমলের কাঠের তৈরি। বাঁশ ও কাঠের তৈরি নড়বড়ে জেটিঘাটটি মাঝখান বরাবর দেবে গেছে। সাগরের সঙ্গে সংযোগ ঘাটের ১০ থেকে ১২ ফুটের মতো দীর্ঘ অংশ মূল জেটিঘাট থেকে ঝুলে আছে।
জোয়ার ভাঁটার দোল খেয়ে নড়বড়ে হয়ে গেছে কাঠের নাট বল্টু, মারাত্মক ঝুঁকি মাথায় নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম এর অধীনে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ডাক হয়। সরকারি রাজস্ব আদায় হলেও ছনুয়া জেটিঘাটটি সংস্কার না হওয়ায় ঝুলে আছে উভয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে ছনুয়া জেটিঘাটকেই ব্যবহার করছে শিশু থেকে বৃদ্ধাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ মুজিবুর রহমান সিআইপি এমপি বলেছেন, ‘ছনুয়াঘাট আরসিসি হওয়ার বিষয়ে সব কাগজপত্র চলে আসছে। ইনশাআল্লাহ ঘাট হয়ে যাবে। কুতুবদিয়া থেকে যে চ্যানেলে আপনারা বোট নিয়ে চলাচল করেন, সে সমস্যা সমাধানের জন্য টেম্পু স্থাপন করা হবে। ফেরির নতুন ভার্সন টেম্পু। ১০০ থেকে ২০০ মতো মানুষ ও কয়েকটা গাড়ি চলাচল করতে পারবে টেম্পুর মাধ্যমে। ছনুয়ার উন্নয়ন মানে বাঁশখালীর উন্নয়ন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ছনুয়া জেটিঘাটটি সংস্কার হলে উভয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
জানা যায়, ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাট হয়ে প্রতিনিয়ত লোকজন করেন। এছাড়া কুতুবদিয়ার প্রখ্যাত আউলিয়া, পীরে কামেল আবদুল মালেক শাহ (রহ.)’র মাজার শরীফ জিয়ারত করার জন্য প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেক ও মুরিদানরা মাজার জিয়ারত করতে আসেন এই জেটি দিয়ে। অধিকাংশ মানুষের কুতুবদিয়া-বাঁশখালী যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম এই ছনুয়া জেটিঘাট। অন্যদিকে কুতুবদিয়া-ছনুয়ার অধিকাংশ লবণ ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার প্রতিনিয়ত এ ঘাটই ব্যবহার করে থাকে।
বাঁশখালীর ব্যবসায়ী আনছার, ফজলুল কাদের ও আবদু ছোবহান জানান, ছনুয়া জেটিঘাট দিয়ে কুতুবদিয়ার ধুরুংঘাট ও আকবলীর ঘাটে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে উভয় অঞ্চলের লোকজন। বিশেষ করে শহর থেকে ব্যবসায়ের জন্য বিভিন্ন মালামাল বহন করতে, নিয়মিত যাতায়াতে এ ঘাটটিই আমরা ব্যবহার করছি চরম ঝুঁকি নিয়ে। যে কোনো সময় ভয়ানক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জেটিঘাটের রাস্তায় সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ২টি দোকান। সরকারি জায়গা দখল করে নির্মিত ওই দোকান গুলোতে প্রকাশ্যে মালামাল বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন নীরব দর্শক।
ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাটের সাবেক ইজারাদার শমসের শরিফী বলেন, বিআইডব্লিটি-এর অধীনে অন্যান্য স্থানের ঘাটগুলো পাকা থাকলেও বাঁশখালী অংশে ছনুয়া মনু মিয়াজিঘাট এখনও পর্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক নয়ন শীল দৈনিক সংবাদকে বলেন, কুতুবদিয়া-বাঁশখালী সংযোগ ছনুয়া মনুমিয়াজি জেটিঘাটটির বেহাল অবস্থার বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। ছনুয়া জেটিঘাট সংস্কার করার জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। টেন্ডার বাস্তবায়ন হলে খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।