পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রতিবছর তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীব্র ভাঙন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নিত্যনতুন নতুন বসতবাড়ি নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও বসতবাড়ি নির্মাণে বিধি বিধান না থাকায় প্রতিবছর শত শত একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার চরবোররহান, চরশাহজালাল ও চরহাদিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং অব্যাহত নদী ভাঙন ও বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে ফসলি জমি দিন দিন কমে যাওয়ারই প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে উপকূলীয় উপজেলা দশমিনাবাসী খাদ্য ও বাসস্থানের চরম সংকটে পড়বে।
উপজেলার প্রধান তিনটি চরে প্রায় ২১ হাজার ৫শত বসতি রয়েছে। এই সব চরে শিক্ষা ও অসচেতনতার কারণেই জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। চরহাদির বারেক গাজীর স্ত্রী শাহিনুরের ৬ সন্তান, হেলেনার ৫ সন্তান ও চর শাহজালালের হাসিনার ৪ সন্তান। প্রতিটি পরিবারে গড় লোকসংখ্যা ৬-৭ জন।
জনসংখ্যা ও পরিবারের বৃদ্ধি কারণে প্রতিদিন ফসলি জমি কেটে তৈরি হচ্ছে নতুন বসতবাড়ি। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে দশমিনা উপজেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩শ’ ৮৮ জন মানুষ গণনা করা হয়।
বসত বাড়িঘরের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪শ’ ৯০টি। দশমিনা উপজেলার স্বাস্থ্য ইপিআর জরিপ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জরিপে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১শ’ ২২জন। বসতবাড়ির সংখ্যা ৪৯ হাজার। ফলে ৯ বছরে উপজেলায় মোট লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ৭শত ৩৪ জন। নতুন বসতবাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ২১ হাজার ৫শ’ ১০টিতে।
উপজেলার বুঁড়াগৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছরে নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার বীজ বর্ধন খামার, বাঁশবাড়িয়ার ঢনঢনিয়া, হাজিরহাট, চরহাদি ও চরবোরহানসহ মোট ১ হাজার ৭শ’ ৯৪ একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৬শ’ ৯৪ একর জমি। নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে ঢনঢনিয়া ও হাজির হাট এলাকার ৫শ’ একর ফসলি জমি, চরহাদির ৪শ’ একর এবং চরবোরহানে ২শ’ একর জমি।
এদিকে, উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৮শ’ ১০ হেক্টর। এক ফসলি জমি ১ হাজার ৬ হেক্টর, দু’ ফসলি ১৪ হাজার ৩শ’ ৪১হেক্টর, তিন ফসলি ৩ হাজার ৪শ’ হেক্টর।
দশমিনায় মোট খাদ্য উৎপাদন হয় ৫৮ হাজার ৩শ’ ৩৪ মেট্রিক টন। ওই সালের লোকসংখ্যা অনুসারে দশমিনায় খাদ্যের চাহিদা ৭৬ হাজার ৫শ’ ৬১ মেট্রিক টন। খাদ্যের ঘাটতি থাকে ১৮ হাজার ২শ’ ২৭ মেট্রিক টন। অথচ ২০১৮ সালে লোকসংখ্যা অনুপাতে ৩৪ হাজার ২শত ৭৯ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত থাকত। লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
নতুন বাড়িঘর নির্মাণের বিষয় বিধি বিধান থাকলেও তা কেউ মানছে না। প্রতিবছর ভূমি জরিপ করা হলে প্রকৃত জমির সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রতিবছর তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীব্র ভাঙন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নিত্যনতুন নতুন বসতবাড়ি নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও বসতবাড়ি নির্মাণে বিধি বিধান না থাকায় প্রতিবছর শত শত একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার চরবোররহান, চরশাহজালাল ও চরহাদিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং অব্যাহত নদী ভাঙন ও বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে ফসলি জমি দিন দিন কমে যাওয়ারই প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে উপকূলীয় উপজেলা দশমিনাবাসী খাদ্য ও বাসস্থানের চরম সংকটে পড়বে।
উপজেলার প্রধান তিনটি চরে প্রায় ২১ হাজার ৫শত বসতি রয়েছে। এই সব চরে শিক্ষা ও অসচেতনতার কারণেই জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। চরহাদির বারেক গাজীর স্ত্রী শাহিনুরের ৬ সন্তান, হেলেনার ৫ সন্তান ও চর শাহজালালের হাসিনার ৪ সন্তান। প্রতিটি পরিবারে গড় লোকসংখ্যা ৬-৭ জন।
জনসংখ্যা ও পরিবারের বৃদ্ধি কারণে প্রতিদিন ফসলি জমি কেটে তৈরি হচ্ছে নতুন বসতবাড়ি। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে দশমিনা উপজেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩শ’ ৮৮ জন মানুষ গণনা করা হয়।
বসত বাড়িঘরের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪শ’ ৯০টি। দশমিনা উপজেলার স্বাস্থ্য ইপিআর জরিপ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জরিপে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১শ’ ২২জন। বসতবাড়ির সংখ্যা ৪৯ হাজার। ফলে ৯ বছরে উপজেলায় মোট লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ৭শত ৩৪ জন। নতুন বসতবাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ২১ হাজার ৫শ’ ১০টিতে।
উপজেলার বুঁড়াগৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছরে নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার বীজ বর্ধন খামার, বাঁশবাড়িয়ার ঢনঢনিয়া, হাজিরহাট, চরহাদি ও চরবোরহানসহ মোট ১ হাজার ৭শ’ ৯৪ একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৬শ’ ৯৪ একর জমি। নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে ঢনঢনিয়া ও হাজির হাট এলাকার ৫শ’ একর ফসলি জমি, চরহাদির ৪শ’ একর এবং চরবোরহানে ২শ’ একর জমি।
এদিকে, উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৮শ’ ১০ হেক্টর। এক ফসলি জমি ১ হাজার ৬ হেক্টর, দু’ ফসলি ১৪ হাজার ৩শ’ ৪১হেক্টর, তিন ফসলি ৩ হাজার ৪শ’ হেক্টর।
দশমিনায় মোট খাদ্য উৎপাদন হয় ৫৮ হাজার ৩শ’ ৩৪ মেট্রিক টন। ওই সালের লোকসংখ্যা অনুসারে দশমিনায় খাদ্যের চাহিদা ৭৬ হাজার ৫শ’ ৬১ মেট্রিক টন। খাদ্যের ঘাটতি থাকে ১৮ হাজার ২শ’ ২৭ মেট্রিক টন। অথচ ২০১৮ সালে লোকসংখ্যা অনুপাতে ৩৪ হাজার ২শত ৭৯ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত থাকত। লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
নতুন বাড়িঘর নির্মাণের বিষয় বিধি বিধান থাকলেও তা কেউ মানছে না। প্রতিবছর ভূমি জরিপ করা হলে প্রকৃত জমির সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।