মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপল আবারো টেকনাফ সীমান্ত।
রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর দখলে নিতে দুই পক্ষের মুখোমুখি আক্রমণ করতে গিয়ে জান্তা বাহিনীর কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়েছে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। এসময় দুই বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি, মর্টার শেল ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাখাইনের মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রাম থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আসে এপারে।এদিকে রাখাইনের সংঘাতের ঘটনায় সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে প্রতিনিয়ত।
মংডু শহরের বাসিন্দা আজাদ সংবাদকে জানান, মংডু শরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলে নিয়েছে।কিন্তু এখনো মংডু শহর আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণের বাইরে।তাদের দখল করা এলাকা থেকে মংডু শহরে আক্রমণের চেষ্টা করে। কিন্তু জান্তা সমর্থিত বাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, দুই বাহিনীর যুদ্ধাবস্থায় মংডুর কয়েকজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুও বেশি ৬০/৭০ জন আহত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন,যেভাবে বাড়িঘর কেঁপতেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বাড়ি ঘর। মাঝেমধ্যে মনে হয় ভুমিকম্প হচ্ছে।কিন্তু পরে দেখি মায়ানমারের সংঘাতের বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে।
টেকনাফ পৌর প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, টানা কয়েক দিন সীমান্তের মানুষ শান্তিতে ছিল। ওইসময় কোনও ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। বুধবার রাত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাখাইনের মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রাম থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট আসে। গত শুক্রবার দুপুর ১টার পর থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ওপার থেকে বিস্ফোরণের কোনও শব্দ আসেনি।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন,টানা পাঁচ দিন কোনও ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে আজ থেকে আবার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপল আবারো টেকনাফ সীমান্ত।
রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর দখলে নিতে দুই পক্ষের মুখোমুখি আক্রমণ করতে গিয়ে জান্তা বাহিনীর কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়েছে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। এসময় দুই বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি, মর্টার শেল ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাখাইনের মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রাম থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আসে এপারে।এদিকে রাখাইনের সংঘাতের ঘটনায় সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে প্রতিনিয়ত।
মংডু শহরের বাসিন্দা আজাদ সংবাদকে জানান, মংডু শরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলে নিয়েছে।কিন্তু এখনো মংডু শহর আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণের বাইরে।তাদের দখল করা এলাকা থেকে মংডু শহরে আক্রমণের চেষ্টা করে। কিন্তু জান্তা সমর্থিত বাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, দুই বাহিনীর যুদ্ধাবস্থায় মংডুর কয়েকজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুও বেশি ৬০/৭০ জন আহত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন,যেভাবে বাড়িঘর কেঁপতেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বাড়ি ঘর। মাঝেমধ্যে মনে হয় ভুমিকম্প হচ্ছে।কিন্তু পরে দেখি মায়ানমারের সংঘাতের বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে।
টেকনাফ পৌর প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, টানা কয়েক দিন সীমান্তের মানুষ শান্তিতে ছিল। ওইসময় কোনও ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। বুধবার রাত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাখাইনের মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রাম থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট আসে। গত শুক্রবার দুপুর ১টার পর থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ওপার থেকে বিস্ফোরণের কোনও শব্দ আসেনি।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন,টানা পাঁচ দিন কোনও ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে আজ থেকে আবার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।