কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যার ১১ বছর পর চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফরিদা ইয়াসমিন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. রফিক মিয়া, দেবিদ্বার উপজেলার মাধবপুর এলাকার নাজমুল শিকদার, একই উপজেলার ভিংলাবাড়ি এলাকার মান্নান মিয়া এবং সুমন মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কম্পানিগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ। ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি বালুর মাঠ থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ফারুকের বাবা মোস্তফা অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে থানায় মামলা করেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন,“পুলিশের তদন্তে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারুকের কাছ থেকে তার চাচাতো ভাই রফিক মিয়া প্রায় তিন লাখ টাকা ধার নেন। সময়মতো দিতে না পারায় ফারুক প্রায়ই তাকে তাগাদা দিতেন। একদিন ভগ্নিপতি মান্নানের সামনে টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন রফিক।
“এরপরই ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার জন্য নাজমুল সিকদারকে ভাড়া করা হয়। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে একটি মাঠে ডেকে নিয়ে ফারুককে হত্যা করে বালুচাপা দেওয়া হয়।”
গ্রেপ্তারের পর মান্নান পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলেন এবং ১৬৪ ধারার আদালতে জবানবন্দি দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল।
সেইসঙ্গে মান্নানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় বলে জানান এপিপি রফিকুল।
ছেলেকে হত্যার ১১ বছর পর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে; তা দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন বাবা মোস্তফা।
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যার ১১ বছর পর চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফরিদা ইয়াসমিন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. রফিক মিয়া, দেবিদ্বার উপজেলার মাধবপুর এলাকার নাজমুল শিকদার, একই উপজেলার ভিংলাবাড়ি এলাকার মান্নান মিয়া এবং সুমন মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কম্পানিগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ। ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি বালুর মাঠ থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ফারুকের বাবা মোস্তফা অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে থানায় মামলা করেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন,“পুলিশের তদন্তে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারুকের কাছ থেকে তার চাচাতো ভাই রফিক মিয়া প্রায় তিন লাখ টাকা ধার নেন। সময়মতো দিতে না পারায় ফারুক প্রায়ই তাকে তাগাদা দিতেন। একদিন ভগ্নিপতি মান্নানের সামনে টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন রফিক।
“এরপরই ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার জন্য নাজমুল সিকদারকে ভাড়া করা হয়। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে একটি মাঠে ডেকে নিয়ে ফারুককে হত্যা করে বালুচাপা দেওয়া হয়।”
গ্রেপ্তারের পর মান্নান পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলেন এবং ১৬৪ ধারার আদালতে জবানবন্দি দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল।
সেইসঙ্গে মান্নানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় বলে জানান এপিপি রফিকুল।
ছেলেকে হত্যার ১১ বছর পর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে; তা দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন বাবা মোস্তফা।