দেশব্যাপী চলছে কারফিউ। তবুও সিলেটে থামছে না চোরাচালান। এরই মধ্যে গত শনিবার ভোরে ভারত থেকে আসা চোরাই চিনি আটক করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। এছাড়া নতুন পুলিশ সুপার যোগদানের পর বদলি করা হয়েছে চোরাচালানের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোয়াইনঘাট থানার ১২ পুলিশ সদস্যকে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, চোরাচালানোর "কলঙ্ক" থেকে রেহাই পেতে নতুন পুলিশ সুপারের সংস্কারের একটি অংশ এটি । এদের সবাই সীমান্তবর্তী চোরাচালানে জড়িতদের সাথে গভীর সখ্যতা ছিল। এদের মাধ্যমেই চোরাচালান থেকে পাওনা লাখ লাখ টাকা বখরা জমা হয়ে আসছিল ওসির টেবিলে। অভিযোগ রয়েছে, ওসি রফিকুল ইসলাম গোলাপগঞ্জ থেকে গোয়ানইঘাট থানায় যোগদানের পর চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। চোরাচালান ছাড়াও তার মদদে জাফলংসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে দুর্বৃত্তরা। যদিও বরাবর নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি।
চোরাই চিনি আটক
শনিবার ভোরে ভারত থেকে আসা চোরাই চিনির চালান আটক করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। জৈন্তাপুর স্টেশনবাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে এক অভিযানে এই চালান আটক করার খবর দেয় পুলিশ। চিনির বর্তমান বাজারদর প্রায় ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় একটি মামলা করে চোরাই চিনির সঙ্গে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার) যোগদানের পর চেকপোষ্টের মাধ্যমে এ ধরনের অভিযানের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মাদক ও চোরাকারবারিদের কোন ছাড় নয়।
এদিকে চোরাচালানের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোয়াইনঘাট থানার ১২ পুলিশ সদস্যকে করা হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই এবং এএসআই রয়েছেন। এটি একটি থানার জন্য বড় ধরনের রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, বদলিকৃত সবাই বিভিন্নভাবে চোরাকারবারিদের সাথে যোগসাজস ছিল। ওসির নির্দেশে এরা চোরাকারবারিদের কাছ থেকে মোটা অংকের বখরা আদায় করত। গুরুতর অভিযোগ আছে, অনেক চোরাকারবারি বখরার টাকা সরাসরি ওসির হাতেও হস্তান্তর করে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার) জানান, মাদক ও চোরাকারবারিদের কখনো ছাড় দেয়া যাবে না। এরা দেশ এবং জাতির শত্রু। তিনি বলেন, সিলেটে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর অধীনস্থ অনেক পুলিশ সদস্য সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য পেয়েছেন। সেগুলো বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চোরাচালান ও অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনে নিজের যোগসাজস সম্পর্কে গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমার সময়ে চোরাচালান সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসেই ১৫ টি চোরাচালান মামলা দিয়েছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।"
তিনি আরো বলেন, গোয়াইনঘাটে পাথর কোয়ারী বন্ধ। পাথরে জিরো টলারেন্স।
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
দেশব্যাপী চলছে কারফিউ। তবুও সিলেটে থামছে না চোরাচালান। এরই মধ্যে গত শনিবার ভোরে ভারত থেকে আসা চোরাই চিনি আটক করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। এছাড়া নতুন পুলিশ সুপার যোগদানের পর বদলি করা হয়েছে চোরাচালানের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোয়াইনঘাট থানার ১২ পুলিশ সদস্যকে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, চোরাচালানোর "কলঙ্ক" থেকে রেহাই পেতে নতুন পুলিশ সুপারের সংস্কারের একটি অংশ এটি । এদের সবাই সীমান্তবর্তী চোরাচালানে জড়িতদের সাথে গভীর সখ্যতা ছিল। এদের মাধ্যমেই চোরাচালান থেকে পাওনা লাখ লাখ টাকা বখরা জমা হয়ে আসছিল ওসির টেবিলে। অভিযোগ রয়েছে, ওসি রফিকুল ইসলাম গোলাপগঞ্জ থেকে গোয়ানইঘাট থানায় যোগদানের পর চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। চোরাচালান ছাড়াও তার মদদে জাফলংসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে দুর্বৃত্তরা। যদিও বরাবর নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি।
চোরাই চিনি আটক
শনিবার ভোরে ভারত থেকে আসা চোরাই চিনির চালান আটক করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। জৈন্তাপুর স্টেশনবাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে এক অভিযানে এই চালান আটক করার খবর দেয় পুলিশ। চিনির বর্তমান বাজারদর প্রায় ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় একটি মামলা করে চোরাই চিনির সঙ্গে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার) যোগদানের পর চেকপোষ্টের মাধ্যমে এ ধরনের অভিযানের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মাদক ও চোরাকারবারিদের কোন ছাড় নয়।
এদিকে চোরাচালানের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোয়াইনঘাট থানার ১২ পুলিশ সদস্যকে করা হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই এবং এএসআই রয়েছেন। এটি একটি থানার জন্য বড় ধরনের রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, বদলিকৃত সবাই বিভিন্নভাবে চোরাকারবারিদের সাথে যোগসাজস ছিল। ওসির নির্দেশে এরা চোরাকারবারিদের কাছ থেকে মোটা অংকের বখরা আদায় করত। গুরুতর অভিযোগ আছে, অনেক চোরাকারবারি বখরার টাকা সরাসরি ওসির হাতেও হস্তান্তর করে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার) জানান, মাদক ও চোরাকারবারিদের কখনো ছাড় দেয়া যাবে না। এরা দেশ এবং জাতির শত্রু। তিনি বলেন, সিলেটে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর অধীনস্থ অনেক পুলিশ সদস্য সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য পেয়েছেন। সেগুলো বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চোরাচালান ও অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনে নিজের যোগসাজস সম্পর্কে গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমার সময়ে চোরাচালান সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসেই ১৫ টি চোরাচালান মামলা দিয়েছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।"
তিনি আরো বলেন, গোয়াইনঘাটে পাথর কোয়ারী বন্ধ। পাথরে জিরো টলারেন্স।