বৃষ্টিতে বাড়ছে এডিস মশা
থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০৬জন ও প্রাইভেট হাসপাতালে ৮জন ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬ হাজার ৭৫১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৫৮জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৪৪জন। এইভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে শনিবারই ২৯জন ভর্তি হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত জুলাই মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১২ জন।
আর চলতি মাসের গত ২ দিনের হিসেবে মোট আক্রান্ত ৪৩১জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে প্রতিদিন আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এ দিকে আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস থেকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। এ নিয়ে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ২১ জন। শনিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া একজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে জানায় সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। এ বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪১৭ জন। এ ছাড়া এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
ডেঙ্গু নিয়ে সবাইকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, বৃষ্টি থামার পর মশা বাড়ে। জমে থাকা পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা জন্মায়। এ সময়টাতে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
গত বছর চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। এই সময়ে ১০৭ জন মারা যান। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৮৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীদের ৬০ শতাংশ পাঁচটি এলাকায় বাস করে, যেগুলোকে গবেষকরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এলাকাগুলো হলো- বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং ও বায়েজিদ বোস্তামী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন থেকে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হয়; সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। কোটা আন্দোলন, কারফিউ জারিসহ নানা কারণে এডিস মশা দমন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। মশার ওষুধ নিয়মিত না দেয়ায় ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করার মশা বাড়ছে। এখন মশা দমন জরুরি হয়ে পড়েছে। না হয় অবস্থার আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে। তবে দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা দমন ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান।
বৃষ্টিতে বাড়ছে এডিস মশা
রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪
থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০৬জন ও প্রাইভেট হাসপাতালে ৮জন ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬ হাজার ৭৫১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৫৮জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৪৪জন। এইভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে শনিবারই ২৯জন ভর্তি হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত জুলাই মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১২ জন।
আর চলতি মাসের গত ২ দিনের হিসেবে মোট আক্রান্ত ৪৩১জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে প্রতিদিন আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এ দিকে আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস থেকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। এ নিয়ে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ২১ জন। শনিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া একজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে জানায় সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। এ বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪১৭ জন। এ ছাড়া এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
ডেঙ্গু নিয়ে সবাইকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, বৃষ্টি থামার পর মশা বাড়ে। জমে থাকা পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা জন্মায়। এ সময়টাতে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
গত বছর চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। এই সময়ে ১০৭ জন মারা যান। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৮৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীদের ৬০ শতাংশ পাঁচটি এলাকায় বাস করে, যেগুলোকে গবেষকরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এলাকাগুলো হলো- বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং ও বায়েজিদ বোস্তামী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন থেকে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হয়; সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। কোটা আন্দোলন, কারফিউ জারিসহ নানা কারণে এডিস মশা দমন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। মশার ওষুধ নিয়মিত না দেয়ায় ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করার মশা বাড়ছে। এখন মশা দমন জরুরি হয়ে পড়েছে। না হয় অবস্থার আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে। তবে দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা দমন ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান।