নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ মানুষ। শুক্রবার (৬ আগস্ট) ফজর নামাজের পর কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে দরবার শরীফে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন বন্দর উপজেলাধীন মদনপুরে অবস্থিত বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহাবুব ওরফে মাহবুব-এ-খোদা বা দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততি নেন তার অনুসারীরা।
জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসুল্লিরা বাঁধা দেন পীরের ভক্ত মুরিদ অনুসারীদের। এসময় মুসুল্লিদের সাথে দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসুল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিভিন্ন মসজিদ এবং পাড়া মহল্লায় মুসুল্লিদেরকে নিয়ে দেওয়ানবাগ দরবারের বিপক্ষে উষ্কানীমূলক আলোচনা করে চরমোনাই পীরের অনুসারী হুজুর ও মুরিদরা। দেওয়ানবাগ দরবার শরিফে অনৈসলামিক কর্মকা- চলছে মর্মে অভিযোগ এনে শুক্রবার ফজর নামাজের পর সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে এক শ্রেণীর ওলামা পরিষদ।
এই ঘোষণার পর ফজর নামাজ শেষে কয়েক হাজার মুসুল্লি দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের সামনে জমায়েত হয়ে একযোগে হামলা চালিয়ে প্রধান গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভেতরে থাকা স্থাপনাগুলোতে ও মাজারে ভাঙচুর করে গণহারে লুটপাট চালায়।
হামলাকারীরা দরবারের ভেতরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী পাখি, হরিন, গরু, মহিষ ও অন্যান্য মালামাল লুটপাট শেষে সেখানে অগ্নিসংযোগ করে। হামলাকারীদের ভয়ে দরবার শরীফ থেকে পালিয়ে যায় ভক্ত মুরিদরা।
স্থানীয়রা আরো জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে দেওয়ানবাগী পীর মাহবুব-এ-খোদা ইসলাম ধর্ম নিয়ে নানান বক্তব্য দিয়ে বির্তকিত হন। তা নিয়ে আলেম সমাজ ও তার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেসময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের সঙ্গে মুসল্লিদের ব্যাপক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ২০২০ সালের বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীর মারা যান।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এ মোহাইমিন আল জিহান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর এখানে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল একটি পক্ষ। সে হিসেবেই পুলিশের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কে বা কারা ফজর নামাজের পর হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেছে তা খতিয়ে দেখে দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় ফজর নামাজের পর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে এক দল মুসুল্লি। এসময় দুটি গরু ও দুটি মহিষ নিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, সকালে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। আর যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ মানুষ। শুক্রবার (৬ আগস্ট) ফজর নামাজের পর কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে দরবার শরীফে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন বন্দর উপজেলাধীন মদনপুরে অবস্থিত বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহাবুব ওরফে মাহবুব-এ-খোদা বা দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততি নেন তার অনুসারীরা।
জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসুল্লিরা বাঁধা দেন পীরের ভক্ত মুরিদ অনুসারীদের। এসময় মুসুল্লিদের সাথে দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসুল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিভিন্ন মসজিদ এবং পাড়া মহল্লায় মুসুল্লিদেরকে নিয়ে দেওয়ানবাগ দরবারের বিপক্ষে উষ্কানীমূলক আলোচনা করে চরমোনাই পীরের অনুসারী হুজুর ও মুরিদরা। দেওয়ানবাগ দরবার শরিফে অনৈসলামিক কর্মকা- চলছে মর্মে অভিযোগ এনে শুক্রবার ফজর নামাজের পর সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে এক শ্রেণীর ওলামা পরিষদ।
এই ঘোষণার পর ফজর নামাজ শেষে কয়েক হাজার মুসুল্লি দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের সামনে জমায়েত হয়ে একযোগে হামলা চালিয়ে প্রধান গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভেতরে থাকা স্থাপনাগুলোতে ও মাজারে ভাঙচুর করে গণহারে লুটপাট চালায়।
হামলাকারীরা দরবারের ভেতরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী পাখি, হরিন, গরু, মহিষ ও অন্যান্য মালামাল লুটপাট শেষে সেখানে অগ্নিসংযোগ করে। হামলাকারীদের ভয়ে দরবার শরীফ থেকে পালিয়ে যায় ভক্ত মুরিদরা।
স্থানীয়রা আরো জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে দেওয়ানবাগী পীর মাহবুব-এ-খোদা ইসলাম ধর্ম নিয়ে নানান বক্তব্য দিয়ে বির্তকিত হন। তা নিয়ে আলেম সমাজ ও তার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেসময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের সঙ্গে মুসল্লিদের ব্যাপক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ২০২০ সালের বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীর মারা যান।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এ মোহাইমিন আল জিহান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর এখানে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল একটি পক্ষ। সে হিসেবেই পুলিশের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কে বা কারা ফজর নামাজের পর হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেছে তা খতিয়ে দেখে দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় ফজর নামাজের পর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে এক দল মুসুল্লি। এসময় দুটি গরু ও দুটি মহিষ নিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, সকালে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। আর যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।