alt

সারাদেশ

‘বৈষম্যবিরোধীদের’ হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, উত্তেজনার মধ্যে শেষ সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । আজ শনিবার রাতে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ অভিযোগ করেন যে, আজ বিকেলে "জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের" পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে তাঁরা আলোচনা করতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষে বসেছিলেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের নেতৃত্বে কিছু সদস্য তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং পরে তাঁরা এক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়, যার ফলে সাতজন আহত হয়েছেন। রাসেল আহমেদ আরও জানান, ঘটনাস্থলে অফিসকক্ষ ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁরা এর বিচার চান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তানভীর শরিফও বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং আজ সেই জায়গাতেই তাঁকে আবার আঘাত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং স্লোগান ও তর্কবিতর্কের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ঘণীভূত হয়ে ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, "বেসরকারি অফিসকক্ষে আমাদের অবরুদ্ধ করা হয়েছিল, আমাদের মারধর করা হয়েছে এবং অফিসকক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে। এদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান।"

রাসেলের অভিযোগের পর খান তালাত মাহমুদ রাফি জানান, "আলোচনার সময় সামান্য বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে, এর বাইরে কিছু হয়নি। কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, সবই মিথ্যা।"

এদিকে, রিজাউর রহমানও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, "কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, উল্টো আমাদের চারজনকে মারধর করা হয়েছে।"

এই পরিস্থিতির পর, রাসেল আহমেদ ও তাঁর সমর্থকরা সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে যান। রাফি ও রিজাউর রহমানও পরে বক্তব্য দিতে শুরু করেন, কিন্তু মুহূর্তেই আবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাসেল আহমেদ এবং তাঁর সমর্থকেরা মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করেন। এর ফলে, শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি এবং উভয় পক্ষই দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

এই ঘটনার পর, চট্টগ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং সংগঠনের নেতারা আরও বিশদ তদন্তের জন্য দাবি জানিয়েছেন।

ছবি

রায়গঞ্জে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীর কাঁধে সংসারের বোঝা

ছবি

বগুড়া ওয়াইএমসিএ কলেজে পিঠা উৎসব

ছবি

হাকালুকি হাওরে বিষটোপে শিকার করায় কমছে পাখির সংখ্যা

ছবি

রায়গঞ্জে জমি থেকে সরিষা তুলে নেয়ার অভিযোগ

লক্ষ্যাপারের দুদিনব্যাপী শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলনের সমাপ্তি

ছবি

আগৈলঝাড়ার গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল

ছবি

গোদাগাড়ী মহিলা কলেজের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর

বিনার উচ্চ ফলনশীল সরিষার চাষাবাদ নিয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ

আক্কেলপুরে দুর্ঘটনায় ভ্যানচালকের মৃত্যু

শাহজাদপুরে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

শিক্ষা সুপারভাইজার কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কালীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

খুলনায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

ছবি

রাণীনগরে দুই প্রতিবন্ধীর জীবন কাটছে চার দেওয়ালের ভেতরে

বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেপ্তার দুই

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বেরোবিতে ১৬ জুলাই পালিত হবে শহীদ আবু সাঈদ দিবস

ত্বকী হত্যার বিচার নিয়ে সরকার নিষ্ক্রিয় রফিউর রাব্বি

ছবি

মাদারীপুর পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন নেই সড়কের পাশে ময়লা ফেলায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

মাদারীপুরে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার

করিমগঞ্জে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো মুক্তিযুদ্ধের স্মারক

‘যারাই ক্ষমতায় যায়, তারাই স্বৈরাচার হয়ে যায়’

ভৈরবের যুবক সৌদি আরব পার্কে আত্মহত্যা

অপারেশন ডেভিল হান্ট সাভার-আশুলিয়া-ধামরাই থানায় গ্রেপ্তার নেই কেউ

শরীয়তপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

বাগেরহাটে আ’লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সিংগাইরে কবরস্থান থেকে ৫ লাশের মাথা চুরি, এলাকায় আতঙ্ক

মহাদেবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এটেন্ডেন্স মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতি

ছবি

সৈয়দপুরে রেল শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ধর্মঘট

ছবি

লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে ভাটার সময় চলে না ফেরি

ছবি

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিন আবারও কারাগারে

ছবি

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা করতে ময়দান বুঝে পেলেন সাদপন্থিরা

গাজীপু‌রে ‘অপা‌রেশন ডেভিল হান্ট’ অ‌ভিযা‌নে ৮৭ জনকে‌ গ্রেফতার

ছবি

শিবির নেতা হত্যা মামলায় নদভী রিমান্ডে

ছবি

শেখ হেলাল-তন্ময়সহ আ.লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মী আটক

tab

সারাদেশ

‘বৈষম্যবিরোধীদের’ হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, উত্তেজনার মধ্যে শেষ সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । আজ শনিবার রাতে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ অভিযোগ করেন যে, আজ বিকেলে "জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের" পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে তাঁরা আলোচনা করতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষে বসেছিলেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের নেতৃত্বে কিছু সদস্য তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং পরে তাঁরা এক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়, যার ফলে সাতজন আহত হয়েছেন। রাসেল আহমেদ আরও জানান, ঘটনাস্থলে অফিসকক্ষ ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁরা এর বিচার চান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তানভীর শরিফও বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং আজ সেই জায়গাতেই তাঁকে আবার আঘাত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং স্লোগান ও তর্কবিতর্কের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ঘণীভূত হয়ে ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, "বেসরকারি অফিসকক্ষে আমাদের অবরুদ্ধ করা হয়েছিল, আমাদের মারধর করা হয়েছে এবং অফিসকক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে। এদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান।"

রাসেলের অভিযোগের পর খান তালাত মাহমুদ রাফি জানান, "আলোচনার সময় সামান্য বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে, এর বাইরে কিছু হয়নি। কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, সবই মিথ্যা।"

এদিকে, রিজাউর রহমানও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, "কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, উল্টো আমাদের চারজনকে মারধর করা হয়েছে।"

এই পরিস্থিতির পর, রাসেল আহমেদ ও তাঁর সমর্থকরা সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে যান। রাফি ও রিজাউর রহমানও পরে বক্তব্য দিতে শুরু করেন, কিন্তু মুহূর্তেই আবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাসেল আহমেদ এবং তাঁর সমর্থকেরা মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করেন। এর ফলে, শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি এবং উভয় পক্ষই দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

এই ঘটনার পর, চট্টগ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং সংগঠনের নেতারা আরও বিশদ তদন্তের জন্য দাবি জানিয়েছেন।

back to top