alt

সারাদেশ

কয়লা সংকট, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তায় মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাপানের ঋণসহায়তায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে। কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন কমবেশী এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

কেন্দ্রটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করার জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা আনা হয়। চুক্তি অনুযায়ী জাপানি প্রতিষ্ঠানটি আগস্টের মাঝামাঝি কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয়। প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ করা কয়লা থেকে বর্তমানে অবশিষ্ট আছে ২ লাখ ৮০ হাজার টন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দিয়ে উৎপাদন চালু রাখা যাবে আর ১৫ দিনের মতো।

তাদের অভিযোগ, সুমিতমোর সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী কয়লা কেনার কথা থাকলেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে তা ক্রয় আটকে যায়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। তবে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কনসোর্টিয়াম অব বসুন্ধরা, ইকুইন্টিয়া ও অথ্রোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাই মাসে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, আইনগত বিষয়গুলো তাদের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি জানেন না।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি গত ডিসেম্বর থেকে এখনো পরীক্ষামূলক উৎপাদনে রয়েছে।

কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১০ আগস্ট বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রথম ইউনিট গত ১৭ আগস্ট এবং দ্বিতীয় ইউনিট গত ১৯ আগস্ট চালু করা হয়।

এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটে থেকে গড়ে ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি গড়ে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে দেওয়া হচ্ছে। কয়লার মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কম করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে শিগগিরই উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) হাতে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে কটি মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ গেল একজনের

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে দূর্ভোগ, নিরাপত্তাহীনতায় আতংক, চলে গেছে ভারতীয় ঠিকাদার, থমকে আছে কাজ

ছবি

গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত আহত ৬

ছবি

কক্সবাজারে চিকিৎসকের উপর হামলা, ২ আসামীর রিমান্ড

ছবি

সীমান্ত থেকে সাড়ে ১১ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই মায়ানমার নাগরিক গ্রেফতার

ছবি

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত

ছবি

অবরোধ : তিন ঘন্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ছবি

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ দুপুরে

ছবি

উত্তরায় ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণকারী দেলোয়ার গ্রেপ্তার

ছবি

যাত্রাবাড়ীর সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফে গ্রেপ্তার

গাজীপুরে খোলা আছে ৮৫ ভাগ কারখানা

ছবি

ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

মাদারীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন কুমিল্লা সীমান্তে আটক

ছবি

রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা

ছবি

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল

ছবি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২

ছবি

বন্ধ করা হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট

ছবি

আদালতে শরিফা সেজে শারমিন, দুই নারী কারাগারে

মহেশখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই যুবকের মৃত্যু

ছবি

বৃষ্টিতে রাজধানীজুড়ে যানজট, ভোগান্তি

ত্বকী হত্যা: আরও একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, রিমান্ডে ২

সাগর উত্তাল,বরগুনার ঘাটে ফেরেনি ৩০টি মাছ ধরার ট্রলার

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা হুমকির অভিযোগে মামলার আবেদন

ছবি

ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সংকটে জনজীবন স্থবির

বাঁশখালীতে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ছবি

কাজে ফিরলেন চিকিৎসকরা, হাসপাতালে ভর্তি রোগী-স্বজনদের স্বস্তি

ছবি

জোড়া কবরে শায়িত ঝড়ের কবলে নিহত বাঁশখালীর দুই মাঝিমাল্লা

ছবি

কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী মৌলভীবাজারে গ্রেপ্তার

ছবি

সৈকতে ভেসে এলো আরও এক জেলের দেহ

ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে মালবাহী কাভার্ডভ্যান চাপায় পাঁচজনের মৃত্যু

ছবি

কীর্তনখোলায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে লঞ্চ, যাত্রীরা উদ্ধার

ছবি

বাঁশখালীতে ঢলে ভেসে এলো নারীর মৃতদেহ

ছবি

রামুতে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : হুমকির মুখে তিন ইউনিয়নের রাস্তা-ব্রীজ ও হাজারো পরিবার

ছবি

লক্ষ্মীপুরে ভারী বর্ষণ, ফের বন্যার শঙ্কা

ছবি

প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।। পানির স্রোতে তলিয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি

tab

সারাদেশ

কয়লা সংকট, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তায় মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাপানের ঋণসহায়তায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে। কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন কমবেশী এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

কেন্দ্রটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করার জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা আনা হয়। চুক্তি অনুযায়ী জাপানি প্রতিষ্ঠানটি আগস্টের মাঝামাঝি কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয়। প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ করা কয়লা থেকে বর্তমানে অবশিষ্ট আছে ২ লাখ ৮০ হাজার টন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দিয়ে উৎপাদন চালু রাখা যাবে আর ১৫ দিনের মতো।

তাদের অভিযোগ, সুমিতমোর সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী কয়লা কেনার কথা থাকলেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে তা ক্রয় আটকে যায়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। তবে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কনসোর্টিয়াম অব বসুন্ধরা, ইকুইন্টিয়া ও অথ্রোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাই মাসে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, আইনগত বিষয়গুলো তাদের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি জানেন না।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি গত ডিসেম্বর থেকে এখনো পরীক্ষামূলক উৎপাদনে রয়েছে।

কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১০ আগস্ট বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রথম ইউনিট গত ১৭ আগস্ট এবং দ্বিতীয় ইউনিট গত ১৯ আগস্ট চালু করা হয়।

এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটে থেকে গড়ে ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি গড়ে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে দেওয়া হচ্ছে। কয়লার মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কম করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে শিগগিরই উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) হাতে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে কটি মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।

back to top