alt

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে দূর্ভোগ, নিরাপত্তাহীনতায় আতংক, চলে গেছে ভারতীয় ঠিকাদার, থমকে আছে কাজ

মো.সাব্বির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4%201.jpeg

ভাঙ্গন গর্তে পরে জানমালের ক্ষতির শংকা, রাতে ছিনতাইয়ের আতংক। এ বাস্তবতায় চলছে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন প্রকল্পের সড়কে যানচালাচল।

বিকল্প সড়ক হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আভ্যন্তরিণ সড়ক, এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানযট। প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হবে তা ও অনিশ্চিত। জন দূর্ভোগ দিন দিন বাড়ছেই।

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/43.jpeg

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলার শত শত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত এই চার লেন প্রকল্পের কাজ চলছিল। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। সাময়িক চলাচল উপযোগী করার মতো পদক্ষেপও নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তা বলছেন, এতে তাদের করণীয় কিছু নেই। প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ বলেছেন, ‘এটি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা আমরা এখনো জানি না।’ বর্তমানে এই সড়কটি যেন অভিভাবকহীন।

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/42.jpeg

উষ্ণ দিনে ধূলিকনায় যেন মরুভুমি, টানা বৃষ্টির পানিতে সড়কের বড় বড় গর্ত গুলো ডোবার আকার ধারণ করেছে। এর ওপর দিয়েই চলছে গাড়ি। সড়কের কোথাও উল্টে পড়ছে ট্রাক-বাস বা অন্য কোনো যান। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। একটি গাড়ি বেকায়দায় পড়লে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। শেষ নেই দুর্ভোগের ।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার এই সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যা ফোরলেন প্রকল্প নামে পরিচিত। ভারতীয় ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ৩০শে জুন।

শুরু থেকে নানা কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা কবে ফিরবেন, কবে আবার কাজ শুরু হবে সবই অনিশ্চিত।

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4%205.jpeg

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ৩টি প্যাকেজে এই কাজ চলছে। এরমধ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল মোড় পর্যন্ত ১ নম্বর প্যাকেজের কাজ হয়েছে ৬২ ভাগ। দ্বিতীয় প্যাকেজ সরাইল মোড় থেকে আখাউড়া তন্তর পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৫২ ভাগ। আর তৃতীয় প্যাকেজে থাকা তন্তর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত কাজ শুরুই হয়নি। গড়ে সড়কের কাজ ৫০ ভাগ হয়েছে। বর্তমানে আশুগঞ্জ গোল চত্বর থেকে তন্তন পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে প্রায় ৪ কিলোমিটার অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মাইক্রোচালক পাভেল ভূইয়া জানান, ‘পুরো সড়ক গর্তে ভরা। কখন গাড়ি গর্তে আটকে যাই, সেই আতংকে থাকি। গাড়ি চালাতে হয় খুবই আস্তে-ধীরে। আস্তে চালাতে আবার ভয় করে ছিনতাইকারী এসে না ধরে। রাতে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘঠেছে এই সড়কে।’

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4.4.jpeg

সিএনজি চালক মনির মিয়া বলেন, ‘মালিককে প্রতিদিন পাচঁশত টাকা জমা দিতে হয়। আবার জামে পড়লে আদা-বেলা এখানেই শেষ। জামের কারণে সারাদিনে মালিকের জমার টাকাই রুজি করতে পারি না। নিজের পরিবারে জন্য কি রুজি করুম, খুব কষ্টে আছি।’

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ বলেন, ‘এটি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা আমরা এখনো জানি না। এটি ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছিল। তারা সবাই সেফটি ইস্যুতে নিজের দেশে চলে গেছেন। তবে মাল-মেটার, মেশিনপত্র সবই রয়েছে। কবে আসবেন সেটা বলছেন না। যেহেতু রাস্তাটা প্রজেক্টের আন্ডারে ঠিকাদারের কাছে ছিল। এর যাবতীয় মেইনটেন্যান্স বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তাদের হাতেই ছিল। তারা যেহেতু চলে গেছে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করার উপায় এই মুহূর্তে কারও হাতেই নেই। এর বাইরেও আমরা বিষয়টি চিফ স্যার এবং সচিব স্যারকে বলার চেষ্টা করছি। রাস্তার যে অংশটা বাকি আছে সেটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের মাধ্যমে করানোর জন্যে এর ইষ্টিমিটসহ চিফ স্যারের কাছে চিঠিপত্র পাঠিয়েছি। রাইট নাউ ফান্ড বা কোনোকিছুই যেহেতু নেই আমরা হয়তো ২-৪টা লেবার দিচ্ছি, মেশিন ভাড়া করে মালমেটার দিচ্ছি যা অপ্রতুল। এভাবে কিছু করে রাস্তার কিছু করাও সম্ভব নয়।’

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4%206.jpeg

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, এতে তাদের করণীয় কিছু নেই। কাজ করলে প্রকল্পের মাধ্যমে করতে হবে। এই ৪ কিলোমিটার অংশ স্বল্প মেয়াদি মেরামতে ১৫ কোটি টাকা প্রয়োজন।

‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে’ যে কলমে লেখা হবে তা ভেঙে দেয়া হবে: হাসনাত

সংবাদ-এ খবর প্রকাশের পর পীরগাছায় ব্যাকডেটে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন

ছবি

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও বাবর খালাস

ছবি

মাটি চাপা পড়ার আধাঘন্টা পরে ফরিদপুরে শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার

গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ও ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু

ছবি

গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে প্রাণ গ্রুপের গাড়িতে ডাকাতি, লুট ৫৫ লাখ টাকা

ছবি

ইউপি চেয়ারম্যানদের উপস্থিতির খবর নিচ্ছে গ্রাম পুলিশ

ছবি

শিক্ষার্থী তনুশ্রী রায়ের হত্যাকারীর শাস্তির দাবীতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন

ছবি

অর্ধশত হত্যা মামলার আসামী সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা মতিও তার ছেলে ঢাকায় গ্রেফতার

কক্সবাজারে সাবেক কাউন্সিলর টিপু হত্যার রহস্য ঘনীভূত

ছবি

রংপুরে প্রিপেইড মিটার নিয়ে মতবিনিময় সভায় হট্টগোল, সভা পণ্ড

বটতলী ও দত্তপাড়া রোডের বেহাল দশা : খাদাখন্দকের কারনে যানবাহন চলাচল কষ্টকর,দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ

ছবি

আশুলিয়ায় পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

ছবি

চিন্ময় ইস্যুতে চট্টগ্রাম আদালতে হামলা, ৬৫ আইনজীবীর জামিন

ছবি

বগি লাইনচ্যুত, রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

ছবি

মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

ছবি

বৈষম্যবিরোধীদের হাতাহাতি, আহত ৫

ছবি

গাজীপুরে অপহৃত চিকিৎসক মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

রাজবাড়ীতে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১১

ছবি

গরু চুরি করে ভূরিভোজের আয়োজন, বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

ছবি

ভারত ও চীনে শনাক্ত নতুন ভাইরাস, সতর্কাবস্থায় ভোমরা স্থলবন্দর

ছবি

শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৩ জন গ্রেপ্তার

ছবি

সিরাজগঞ্জে পুলিশের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের বক্তব্যের পর বিতর্ক

ছবি

‘বৈষম্যবিরোধীদের’ হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, উত্তেজনার মধ্যে শেষ সংবাদ সম্মেলন

মুন্সীগঞ্জে স্পিডবোট ও ট্রলারের সংঘর্ষে নিহত ৪

নগরকান্দায় কবরস্থান নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫

ছবি

আলীকদম সীমান্তে রোহিঙ্গাসহ ৬৩ জন আটক

নগরকান্দায় কবরস্থান নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫

কুমিল্লায় বিদেশী পিস্তলসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ছবি

যুবদল নেতা ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধে অচল এক ঘণ্টা

ছবি

চট্টগ্রামে দুই কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত ১২

ছবি

বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

ছবি

হবিগঞ্জে বাসচাপায় তিন নারী শ্রমিক নিহত

ছবি

মুন্সীগঞ্জে স্পিডবোট-বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি

ধলেশ্বরীতে জাহাজ ছিনতাই, ৩ লাখ ৬৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল লুট

tab

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে দূর্ভোগ, নিরাপত্তাহীনতায় আতংক, চলে গেছে ভারতীয় ঠিকাদার, থমকে আছে কাজ

মো.সাব্বির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4%201.jpeg

ভাঙ্গন গর্তে পরে জানমালের ক্ষতির শংকা, রাতে ছিনতাইয়ের আতংক। এ বাস্তবতায় চলছে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন প্রকল্পের সড়কে যানচালাচল।

বিকল্প সড়ক হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আভ্যন্তরিণ সড়ক, এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানযট। প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হবে তা ও অনিশ্চিত। জন দূর্ভোগ দিন দিন বাড়ছেই।

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/43.jpeg

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলার শত শত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত এই চার লেন প্রকল্পের কাজ চলছিল। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। সাময়িক চলাচল উপযোগী করার মতো পদক্ষেপও নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তা বলছেন, এতে তাদের করণীয় কিছু নেই। প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ বলেছেন, ‘এটি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা আমরা এখনো জানি না।’ বর্তমানে এই সড়কটি যেন অভিভাবকহীন।

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/42.jpeg

উষ্ণ দিনে ধূলিকনায় যেন মরুভুমি, টানা বৃষ্টির পানিতে সড়কের বড় বড় গর্ত গুলো ডোবার আকার ধারণ করেছে। এর ওপর দিয়েই চলছে গাড়ি। সড়কের কোথাও উল্টে পড়ছে ট্রাক-বাস বা অন্য কোনো যান। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। একটি গাড়ি বেকায়দায় পড়লে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। শেষ নেই দুর্ভোগের ।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার এই সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যা ফোরলেন প্রকল্প নামে পরিচিত। ভারতীয় ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ৩০শে জুন।

শুরু থেকে নানা কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা কবে ফিরবেন, কবে আবার কাজ শুরু হবে সবই অনিশ্চিত।

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4%205.jpeg

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ৩টি প্যাকেজে এই কাজ চলছে। এরমধ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল মোড় পর্যন্ত ১ নম্বর প্যাকেজের কাজ হয়েছে ৬২ ভাগ। দ্বিতীয় প্যাকেজ সরাইল মোড় থেকে আখাউড়া তন্তর পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৫২ ভাগ। আর তৃতীয় প্যাকেজে থাকা তন্তর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত কাজ শুরুই হয়নি। গড়ে সড়কের কাজ ৫০ ভাগ হয়েছে। বর্তমানে আশুগঞ্জ গোল চত্বর থেকে তন্তন পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে প্রায় ৪ কিলোমিটার অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মাইক্রোচালক পাভেল ভূইয়া জানান, ‘পুরো সড়ক গর্তে ভরা। কখন গাড়ি গর্তে আটকে যাই, সেই আতংকে থাকি। গাড়ি চালাতে হয় খুবই আস্তে-ধীরে। আস্তে চালাতে আবার ভয় করে ছিনতাইকারী এসে না ধরে। রাতে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘঠেছে এই সড়কে।’

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4.4.jpeg

সিএনজি চালক মনির মিয়া বলেন, ‘মালিককে প্রতিদিন পাচঁশত টাকা জমা দিতে হয়। আবার জামে পড়লে আদা-বেলা এখানেই শেষ। জামের কারণে সারাদিনে মালিকের জমার টাকাই রুজি করতে পারি না। নিজের পরিবারে জন্য কি রুজি করুম, খুব কষ্টে আছি।’

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ বলেন, ‘এটি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা আমরা এখনো জানি না। এটি ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছিল। তারা সবাই সেফটি ইস্যুতে নিজের দেশে চলে গেছেন। তবে মাল-মেটার, মেশিনপত্র সবই রয়েছে। কবে আসবেন সেটা বলছেন না। যেহেতু রাস্তাটা প্রজেক্টের আন্ডারে ঠিকাদারের কাছে ছিল। এর যাবতীয় মেইনটেন্যান্স বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তাদের হাতেই ছিল। তারা যেহেতু চলে গেছে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করার উপায় এই মুহূর্তে কারও হাতেই নেই। এর বাইরেও আমরা বিষয়টি চিফ স্যার এবং সচিব স্যারকে বলার চেষ্টা করছি। রাস্তার যে অংশটা বাকি আছে সেটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের মাধ্যমে করানোর জন্যে এর ইষ্টিমিটসহ চিফ স্যারের কাছে চিঠিপত্র পাঠিয়েছি। রাইট নাউ ফান্ড বা কোনোকিছুই যেহেতু নেই আমরা হয়তো ২-৪টা লেবার দিচ্ছি, মেশিন ভাড়া করে মালমেটার দিচ্ছি যা অপ্রতুল। এভাবে কিছু করে রাস্তার কিছু করাও সম্ভব নয়।’

https://sangbad.net.bd/images/2024/September/18Sep24/news/4%206.jpeg

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, এতে তাদের করণীয় কিছু নেই। কাজ করলে প্রকল্পের মাধ্যমে করতে হবে। এই ৪ কিলোমিটার অংশ স্বল্প মেয়াদি মেরামতে ১৫ কোটি টাকা প্রয়োজন।

back to top